ক্রিকেটারদের জন্য মাশরাফির চাওয়া
বিদায় বলে দিয়েছেন ওয়ানডে অধিনায়কত্ব থেকে। এখন তিনি আর দশজন ক্রিকেটারের মতো একজন। পারফরম্যান্স করতে পারলে দলে সুযোগ হবে, অন্যথায় জায়গা দর্শক সারিতে। এই হিসেব ভালো করেই জানেন কদিন আগে ওয়ানডের অধিনায়কত্ব থেকে সরে দাঁড়ানো মাশরাফি বিন মুর্তজা।
দলে জায়গা পেতে অভিজ্ঞ এই পেসারকে এখন লড়াই করতে হবে তরুণ মুস্তাফিজ, সাইফউদ্দিনদের সঙ্গে। নিজেকে ফিট রাখতে তাই আগের মতোই জিমে ঘাম ঝরাচ্ছেন মাশরাফি। বাংলাদেশ যখন জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলায় ব্যস্ত, তিনি তখন জিমে সময় পার করছেন।
সিলেটে ওয়ানডে সিরিজ খেলে ঢাকায় ফিরে একদিনের বিশ্রাম শেষেই মিরপুরমুখী হয়েছেন বাংলাদেশের সবচেয়ে সফল এই অধিনায়ক। মিরপুরের একাডেমি মাঠে এসে আরও কয়েকজন ক্রিকেটারের সঙ্গে দেখা হয়েছে তার, যারা নিজে থেকেই অনুশীলন চালিয়ে যাচ্ছেন। এসব ক্রিকেটারদের সঙ্গে নেই কোনো কোচ।
ব্যাপারটি মাশরাফিকে নতুন করে ভাবাচ্ছে। সে কারণে হাই পারফরম্যান্স ইউনিটের (এইচপি) প্রতি জোর বাড়ানোর পরামর্শ দিচ্ছেন তিনি। এইচপির সুযোগ-সুবিধা বাড়ালে জাতীয় দলের বাইরে থাকা, উদীয়মান এবং সিনিয়র ক্রিকেটারদের অনুশীলনে সুবিধা হবে বলে মনে করেন মাশরাফি। এ কারণে এইচপিতে বছরে অন্তত আট মাস অনুশীলন চান তিনি।
মাশরাফি বলেন, 'আমি মনে করি এইচপিতে বছরে নূন্যতম আট মাস অনুশীলন রাখা হলে ভালো হয়। তাতে করে জাতীয় দলের বাইরে থাকা, উদীয়মান এবং অভিজ্ঞরা নিয়মিত অনুশীলনের মধ্যে থাকতে পারবে। কারণ এইচপি থেকে কোচ পাওয়া গেলে ছেলেরা নিজেদের সঠিক পরিচর্যা করার সুযোগ পাবে। একটা প্রক্রিয়ার ভেতরে থাকলে উন্নতি হবেই।'
ভারতের ন্যাশনাল ক্রিকেট একাডেমির দায়িত্বে আছেন দেশটির সাবেক ক্রিকেটার রাহুল দ্রাবিড়। ক্রিকেটারদের অনুশীলন থেকে শুরু করে ইনজুরি, পুনর্বাসন প্রক্রিয়া পর্যন্ত তদারকিতে রাখেন পরিচালকের দায়িত্বে থাকা ভারতের কিংবদন্তি এই ব্যাটসম্যান।
ভারতের ন্যাশনাল ক্রিকেট একাডেমির উদাহরণ টেনে মাশরাফি বলেন, 'ভারতে হাই পারফরম্যান্স সেন্টার (ন্যাশনাল ক্রিকেট একাডেমি) আছে। ইশান্ত শর্মা ইনজুরিতে পড়ে দেশে ফেরেন। ফেরার পর তাকে রাহুল দ্রাবিড়ের কাছে রিপোর্ট করতে হয়েছে। দ্রাবিড় তাকে ট্রেনার এবং ফিজিও দিয়েছেন এবং প্রতি সপ্তাহে রিপোর্ট করতে বলেছেন।'
বাংলাদেশের হাই পারফরম্যান্স ইউনিটেও একই ধরনের সুযোগ-সুবিধা চান মাশরাফি। তার মতে, হাই পারফরম্যান্স ইউনিটে ভালোভাবে নজর দিলে এর ইতিবাচক প্রভাব বাংলাদেশের ক্রিকেটের সবখানেই পড়বে।
বাংলাদেশ জাতীয় দলের বাইরে থাকা, উদীয়মান এবং সিনিয়র ক্রিকেটারদের এইচপির কার্যক্রমে রাখা হয়। কিন্তু বছরের একটা নির্দিষ্ট সময়ে চলে এই কার্যক্রম। বাকি সময় এইচপি নিয়ে বিসিবির কোনো পদক্ষেপই দেখা যায় না। এই জায়গাটা থেকে বেরিয়ে আসতে পরামর্শ দিচ্ছেন মাশরাফি।