করোনা শঙ্কায় আইসোলেশনে ১০ ক্রিকেটার
শ্রীলঙ্কা সফর সামনে রেখে স্কিল ট্রেনিংয়ের জন্য ২৭ জনের স্কোয়াড ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। ছয় মাস পর ২০ সেপ্টেম্বর থেকে মিরপুর স্টেডিয়ামে শুরু হয়েছে বাংলাদেশের দলীয় অনুশীলন। কিন্তু শুরুর দিনে সব ক্রিকেটার অনুশীলনে অংশ নেননি। ১৬ জন ক্রিকেটারকে দেখা গেছে মিরপুর স্টেডিয়ামের মূল মাঠে অনুশীলন করতে।
করোনা আক্রান্ত সাইফ হাসান আগে থেকেই নিজ বাসায় আইসোলেশনে আছেন। এ ছাড়া বাকি ১০ জন ক্রিকেটার আইসোলেশনে আছেন বলে জানানো হয়েছে বিসিবির পক্ষ থেকে। এই ১০ ক্রিকেটারের সবাই মিরপুর স্টেডিয়ামের একাডেমি ভবনে অবস্থান করছেন। করোনা শঙ্কায় তাদেরকে আইসোলেশনে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
দুই দফায় সব ক্রিকেটার, সাপোর্ট স্টাফের করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে। দ্বিতীয় পরীক্ষায় সাইফ হাসান ছাড়া সবাই করোনা নেগেটিভ হয়েছেন। কিন্তু দ্বিতীয় পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করার পর দুজনের শরীরে করোনার উপসর্গ দেখা দিয়েছে। দুজন সর্দি-কাশিতে ভুগছেন। তাদের সংস্পর্শে যাওয়ায় আরও ৮ ক্রিকেটারকে আইসোলেশনে নেওয়া হয়েছে।
একডেমি ভবনে আইসোলেশনে থাকা ১০ ক্রিকেটার হলেন মোহাম্মদ মিঠুন, হাসান মাহমুদ, নাঈম হাসান, নাজমুল হোসেন শান্ত, খালেদ আহমেদ, এবাদত হোসেন, আবু জায়েদ রাহি, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, শফিউল ইসলাম ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন।
২১ সেপ্টেম্বর তৃতীয় দফায় ক্রিকেটার ও সাপোর্ট স্টাফদের করোনা পরীক্ষা করা হবে। এ সময় সাইফ হাসানসহ এই ১০ ক্রিকেটারের করোনা পরীক্ষা করা হবে। এই পরীক্ষায় নেগেটিভ হলে জাতীয় দলের অনুশীলনে অংশ নিতে পারবেন তারা। জৈব সুরক্ষা বলয়ের নিয়ম অনুযায়ী এসব ক্রিকেটার আগামী ২২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আইসোলেশনে থাকবেন।
এ নিয়ে বিসিবির সিনিয়র মিডিয়া ম্যানেজার রাবিদ ইমাম বলেন, 'ক্রিকেটার, কোচিং স্টাফদের সবাই করোনা নেগেটিভ। সেখানে দুইজনের উপসর্গ থাকায় তাদের আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। তাদের সংস্পর্শে আসা বাকিদেরও বাড়তি সতর্কতার জন্য আলাদা রাখা হয়েছে। করোনা পরীক্ষার পর প্রত্যেকে দলের সঙ্গে যোগ দিতে পারবেন।
আইসোলেশেন থাকলেও বসে নেই এসব ক্রিকেটার। একাডেমি মাঠে আলাদা করে অনুশীলন শুরু করেছেন তারা। রোববার বিকাল ৫টার দিকে একাডেমি মাঠে ফিটনেস ট্রেনিংশ শুরু করেন মিঠুন, শান্ত, এবাদত ও মোসাদ্দেক। প্রায় সোয়া এক ঘণ্টার মতো ফিটনেস নিয়ে কাজ করেন এই চার ক্রিকেটার।