কখনও যা হয়নি, নিউজিল্যান্ডে তাই করতে চান তামিম-সৌম্যরা

ঘরের মাঠে ওয়ানডেতে দুইবার নিউজিল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করার সুখস্মৃতি আছে বাংলাদেশের। ১৩টি ওয়ানডের মধ্যে ৮টিতেই বাংলাদেশের জয়। এই ফরম্যাটে নিরপেক্ষ ভেন্যুতেও কিউইদের দুইবার হারানোর স্বাদ নিয়েছেন তামিম-মুশিফকরা। কিন্তু নিউজিল্যান্ডের মাটিতে কোনো ফরম্যাটে কখনই জেতেনি বাংলাদেশ।
২০০১ সাল থেকে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে খেলে আসা বাংলাদেশ ৯ টেস্ট, ১৩ ওয়ানডে ও ৪টি টোয়েন্টির সবগুলোতে হেরেছে। সফর করে হারতে হারতে ক্লান্ত হয়ে ওঠা বাংলাদেশ এবারের নিউজিল্যান্ড সফর থেকে জয় ছিনিয়ে আনতে চায়। তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি খেলতে নিউজিল্যান্ডের উদ্দেশে দেশ ছাড়ার আগে মঙ্গলবার বিমানবন্দরে এমন আশার কথাই শুনিয়েছেন তামিম-সৌম্যরা।
বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবালের মতে, নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধ কন্ডিশনে জয় পাওয়া খুব কঠিন, তবে অসম্ভব নয়। তামিম বলেন, 'আমরা সবাই জানি যে নিউজিল্যান্ডের কন্ডিশন আমাদের জন্য কঠিন। কিন্তু অসম্ভব কিছুই না। আমরা চেষ্টা করব যে জিনিসটা নিউজিল্যান্ডে কোনোদিন অর্জন করিনি, এবার সেটা অর্জন করার। আমরা আশাবাদী।'
একইভাবে ভাবছেন সৌম্য সরকারও। বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান বলছেন, 'অবশ্যই ভালো কিছু হবে। সবাই যেভাবে মানসিক ও ক্রিকেটীয় প্রস্তুতি নিয়েছে, আশা করি সবাই ভালোই করবে।'
নিউজিল্যান্ডকে তাদের মাটিতে হারানো সম্ভব? এমন প্রশ্নের উত্তরে সৌম্য বলেন, 'হ্যাঁ, অবশ্যই। এবার আমরা আশা করব ওই জিনিসটা যেন ভেঙে আসতে পারি। আমরা যেন জিতে আসতে পারি। উইন্ডিজের সাথে ওয়ানডে সিরিজে সবাই ভালো করেছে। এই ধারাটা সবাই ধরে রাখতে পারলে ওখান থেকে আমরা ভালো ফলাফল নিয়ে ফিরতে পারব।'
এই সফরে বাংলাদেশ দলের সঙ্গে যাচ্ছেন বিসিবির মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস। ক্রিকেটারদের মতো তিনিও সফরটিকে কঠিন হিসেবে মানছেন। তবে বাংলাদেশ দলের ওপর আস্থা রাখছেন তিনি, 'কঠিন সফর। খুবই চ্যালেঞ্জিং একটা সিরিজ, এটাতে কোনো সন্দেহ নেই। ছেলেদের দেখে মনে হয়েছে ওরা প্রস্তুত। আমাদের যেমন করেই হোক, লড়াই করে আসতে হবে। আমাদের সিরিজটা ভালো খেলতেই হবে।'
নিউজিল্যান্ডে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে বাংলাদেশ দলকে। ২০ মার্চ ডানেডিনে প্রথম ওয়ানডে দিয়ে শুরু হবে সিরিজ। ২৩ মার্চ ক্রাইস্টচার্চে অনুষ্ঠিত হবে দ্বিতীয় ওয়ানডে। এই ম্যাচটি হবে দিবা-রাত্রির। ২৬ মার্চ ওয়েলিংটনে শেষ ওয়ানডেতে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড।
ওয়ানডের পর টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে দুই দল। ম্যাচ তিনটি ২৮, ৩০ মার্চ ও ১ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হবে। নেপিয়ার, অকল্যান্ড ও হ্যামিল্টনে টি-টোয়েন্টিতে লড়বে বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড। বাংলাদেশ দল সর্বশেষ ২০১৯ বিশ্বকাপের আগে নিউজিল্যান্ড সফরে গিয়েছিল। সেবার ক্রাইস্টচার্চে সন্ত্রাসী হামলার কারণে সফর শেষ না করেই ফিরে এসেছিল বাংলাদেশ দল।