ওসাকার মাথায় সেরার মুকুট
ইউএস ওপেনের চ্যাম্পিয়ন হতে যাচ্ছেন ভিক্টোরিয়া আজারেঙ্কা; প্রথম সেট দেখার পর সবাই হয়তো এটাই ধরে নিয়েছিল। কিন্তু দ্বিতীয় সেট থেকেই বাতাস বইলো উল্টো দিকে। তাতে দিক হারালেন সাত বছর ধরে একটি গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ের অপেক্ষায় থাকা আজারেঙ্কা। মার্কিন মুলুকে রাজত্ব কায়েম করে সেরার মুকুট জিতে নিলেন জাপানের নাওমি ওসাকা।
ফাইনালে আজারেঙ্কার বিপক্ষে প্রথম সেটে এক প্রকার বিধ্বস্তই হতে হয় ওসাকাকে। ৬-১ ব্যবধানে হেরে যান জাপানের ২২ বছর বয়সী এই নারী টেনিস খেলোয়াড়। কিন্তু খেই হারাননি ক্যারিয়ারের তৃতীয় গ্র্যান্ড স্ল্যাম জেতা ওসাকা। পরের সেটেই ঘুরে দাঁড়িয়ে আজারেঙ্কাকে ১-৬, ৬-৩, ৬-৩ গেমে হারিয়ে দিয়েছেন তিনি।
ফাইনালে আজারেঙ্কাকেই এগিয়ে রেখেছিলেন সবাই। যুক্তরাষ্ট্রের কিংবদন্তি টেনিস খেলোয়াড় সেরেনা উইলিয়ামসকে হারিয়ে ফাইনালে ওঠেন তিনি। মনে হচ্ছিল দারুণ ছন্দে থাকা বেলারুশ তারকা ২০১৩ সালের পর প্রথম গ্র্যান্ড স্ল্যামটা এবার ছুঁয়ে দেখবেন। ফাইনালে শুরুটাও করেছিলেন দুর্দান্ত। কিন্তু ওসাকার তারুণ্যের জয়গানে শেষ হাসি হাসা হলো না তার।
প্রথম সেট ৬-১ গেমে জেতার পর দ্বিতীয় সেটেও দাপুটে শুরু করেন দুটি গ্র্যান্ড স্ল্যামজয়ী আজারেঙ্কা। এগিয়ে যান ৩-০ গেমে। কিন্তু এখান থেকে ওসাকা ঘুরে দাঁড়ালেন, আর দমানো যায়নি তাকে। তিনবার ইউএস ওপেনের ফাইনাল খেলেও শিরোপা ছুঁয়ে দেখা হলো না আজারেঙ্কার।
জেতার জন্য কতোটা মরিয়া ছিলেন, ম্যাচের পর সেটা জানিয়েছেন ওসাকা। জাপানের এই টেনিস তারকা বলেছেন, 'যখন আমি জেতার ব্যাপারে বেশি চিন্তা করি, তখনই সমস্যা হয়। আমি আর নিজের মতো থাকি না। জেতার জন্য ঠান্ডা মেজাকে থাকা খুব জরুরী।'
'কিছুক্ষণ খেলার পর মনে হচ্ছিল, জিততে পারব না। পরে ভাবলাম, আমি একটা ফাইনাল খেলতে এসেছি। অনেক মানুষ ফাইনাল খেলতে চায়। এমন অবস্থায় ঘন্টা খানেকের মধ্যে আমি ৬-৩, ৬-০ গেমে হেরে যেতে পারি না।' যোগ করেন ওসাকা।
ক্যারিয়ারের তৃতীয় গ্র্যান্ড স্ল্যাম জিতলেন ওসাকা। টেনিসের সবচেয়ে বড় স্বীকৃতি গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ের গল্প ইউএস ওপেন থেকেই লেখা শুরু করেন তিনি। ২০১৮ সালে ইউএস ওপেন জিতে প্রথমবারের মতো গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ের স্বাদ নেন তিনি। পরের বছর জেতেন অস্ট্রেলিয়ান ওপেন।