এ বছরের ফুটবল লিগ বাতিল হয়ে যাচ্ছে

করোনাভাইরাসের থাবায় বন্দি পুরো বিশ্ব। কোনো কিছুই আর আগের মতো নেই। সবখানে এখন স্থবিরতা। বিশ্বের প্রায় সব দেশেই এখন লকডাউন অবস্থা। এর প্রভাব পড়েছে খেলার মাঠেও। বৈশ্বিক সব টুর্নামেন্টই স্থগিত হয়ে গেছে। কিছু কিছু টুর্নামেন্ট আবার বাতিলও করা হয়েছে।
বাংলাদেশেও তেমন হতে যাচ্ছে। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) এ বছর আর না হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। স্থগিত হয়ে যাওয়া লিগ বাতিল করে আগামী বছর নতুন লিগ আয়োজনের দাবি করেছে প্রিমিয়ার লিগের ক্লাবগুলো।
অনির্দিষ্টকালের জন্য বাংলাদেশের সব খেলাধুলা স্থগিত রাখা হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে তখন বলা হয়েছিল, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেই কেবল মাঠে গড়াবে খেলা। কিন্তু স্বাভাবিক হওয়া তো দূরের কথা, আরও জটিল হচ্ছে অবস্থা। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্ত রোগী ও মৃতের সংখ্যা।
এমন অবস্থায় কী করণীয় বা আগামীতে কী হতে পারে, অর্থাৎ প্রিমিয়ার লিগের ভবিষ্যৎ নির্ধারণে সভায় বসেছিল ক্লাবগুলো। এই সভাতে নতুন লিগ আয়োজনের প্রস্তাব জানায় ক্লাবগুলো। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সভায় যোগ দেন ১৩টি ক্লাবের কর্মকর্তা।
নতুন লিগ আয়োজনের যৌক্তিক ব্যাখ্যাও দিয়েছে ক্লাবগুলো। করোনাভাইরাসের কারণে লিগ স্থগিত হয়ে যাওয়ার আগে মাত্র ৬ রাউন্ডের খেলা হয়েছে। ১৮ রাউন্ডের খেলা বাকি। এই পরিস্থিতি কবে ঠিক হবে, তার কোনো কূল-কিনারা নেই। তাই ক্লাবগুলোর দাবি, এবারের লিগটি বাতিল করে আগামী বছর নতুন লিগ শুরু করা হোক।
ক্লাবগুলোর দাবির বিষয়টি বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) নির্বাহী কমিটির কাছে পাঠানো হবে। লিগ বাতিলের পক্ষেই যে সিদ্ধান্ত আসবে, সেটা একপ্রকার নিশ্চিত।
এ বিষয়ে লিগ কমিটির সভাপতি সালাম মুর্শেদী বলেছেন, 'আমাদের চাওয়া খেলা হোক। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতির কারণে ক্লাবগুলো এ বছর আর লিগ খেলতে চায় না। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আমার পক্ষে দেওয়া সম্ভব নয়। তাই বিষয়টা ফেডারেশেনের নির্বাহী কমিটিতে পাঠাব।'
ঘরোয়া ফুটবলের সবচেয়ে বড় লিগ বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ। এই লিগ বাতিল হয়ে গেলে থমকে যাবে পুরো ঘরোয়া ফুটবলই। ঘরে শুয়ে-বসে সময় কাটানো ছাড়া উপায় থাকবে না ফুটবলারদের। কারণ প্রিমিয়ার লিগ না হলে চ্যাম্পিয়নশিপ লিগের ভাগ্যও অন্ধকারে পড়ে যাবে। সব মিলিয়ে হয়তো ঘরোয়া ফুটবলের সামনে কঠিন সময়ই অপেক্ষা করছে।