এনামুলের পর সাজেদুল

জাতীয় দলে খেলা হয়নি দীর্ঘদিন। তবু খেই হারাননি সাজেদুল ইসলাম, নিয়মিত খেলে গেছেন ঘরোয়া ক্রিকেট। গত মার্চেও রংপুর বিভাগের হয়ে জাতীয় ক্রিকেট লিগ খেলেছেন বাঁহাতি এই পেসার। কয়েক মাস পরে এই সাজেদুলের পরিচয়ই বদলে গেল। আম্পায়ারিং শুরু করেছেন তিনি।
খেলা ছাড়লেও মাঠ ছাড়ছেন না তিনি। ক্রিকেটেই নতুন ইনিংস শুরু হলো বাংলাদেশ জাতীয় দলের হয়ে ৩টি টেস্ট ও একটি টি-টোয়েন্টি খেলা সাজেদুলের। বুধবার আম্পায়ার হিসেবে অভিষেক হয়েছে তার।
চলমান শেখ কামাল অনূর্ধ্ব-১৮ জাতীয় ক্রিকেট টুর্নামেন্টে সাভারের বিকেএসপিতে সিলেট ও বরিশালের মধ্যকার ম্যাচে আম্পায়ার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
বাংলাদেশের সাবেক খেলোয়াড় এনামুল হক মনি দীর্ঘদিন আম্পায়ারিংয়ের দায়িত্ব পালন করেন। বাঁহাতি সাবেক এই স্পিনারের পর দ্বিতীয় টেস্ট ক্রিকেটার হিসেবে আম্পায়ারিংয়ে নাম লেখালেন সাজেদুল।
২০০৫ সালে প্রথম শ্রেণি ও লিস্ট 'এ' ক্রিকেটে অভিষেক হয় সাজেদুলের। ধারাবাহিক পারফরম্যান্স দিয়ে ২০০৮ সালে জাতীয় দলে জায়গা করেন নেন তিনি। ডানেডিনে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সাদা পোশাকে অভিষেক হয় তার।
যদিও জাতীয় দলের তিথু হওয়া হয়নি সাজেদুলের। ২০১৩ সালে বাংলাদেশের হয়ে শেষ টেস্ট খেলা ৩৩ বছর বয়সী এই পেসার ৩ টেস্টে ৩টি উইকেট নিয়েছেন। এই সফরেই একমাত্র টি-টোয়েন্টি ম্যাচটি খেলেন সাজেদুল, পাননি কোনো উইকেট।
ঘরোয়া ক্রিকেটে সাজেদুল ছিলেন নিয়মিত পারফর্মার। রংপুরের এই ক্রিকেটার ৯৯টি প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ম্যাচ খেলেছেন। ২৮.৩৫ গড়ে নিয়েছেন ২৪১ উইকেট। লিস্ট 'এ' ক্রিকেটে ৫৫ ম্যাচে তার শিকার ৬৭ উইকেট। ৭টি টি-টোয়েন্টিতে নিয়েছেন ৭ উইকেট। প্রথম শ্রেণিতে ব্যাট হাতে ৫টি হাফ সেঞ্চুরিও আছে তার।