এই পিএনজির বিপক্ষে ২৯ বছর আগে হেরেছিল বাংলাদেশ
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে প্রথম পর্বের তৃতীয় ম্যাচে আজ পাপুয়া নিউ গিনির (পিএনজি) বিপক্ষে মাঠে নামছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। নিশ্চিতভাবেই এই ম্যাচে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দল ফেবারিটের তকমা পাচ্ছে। ভবিষ্যদ্বাণীতে সবাই বাংলাদেশের জয়ের পক্ষেই মত দিচ্ছেন। অথচ এই পিএনজির বিপক্ষেই হারের রেকর্ড আছে বাংলাদেশের।
শুনতে অবাকই লাগতে পারে। পিএনজি আইসিসির সহযোগী দেশ। দেশটির ক্রিকেটের অবস্থা এখনও উন্নত নয়। প্রথমবারের মতো তারা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সুযোগ পেয়েছে। সেই পিএনজি কবে হারালো বাংলাদেশকে!
এটার জন্য বেশ পেছনে যেতে হবে। তখন বাংলাদেশও ক্রিকেটে নবীন দল। বড় দলের বিপক্ষে খেলার সুযোগ মিলতো না তখন, খেলতে হতো আইসিসি ট্রফি। সেখানেই বাংলাদেশকে হারিয়েছিল ওশেনিয়া অঞ্চলের দেশটি। ১৯৮২ সালে ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত সেই ওয়ানডে ম্যাচে বাংলাদেশকে ৩ উইকেটে হারিয়েছিল পিএনজি।
বাংলাদেশের বিপক্ষে তাদের যে জয় আছে, এটা পিএনজির এই দলের কজন জানেন সেটাও অবশ্য প্রশ্ন। তবে জেনে থাকলে ওই ম্যাচ নিশ্চয়ই আজ অনুপ্রেরণার রসদ হতে পারে তাদের জন্য। ২৯ বছর আগে হারানো দলকে নতুন করে হারানোর স্বপ্ন দেখতেই পারে দলটি। যদিও দলটির অলরাউন্ডার চার্লস আমিনি ইতোমধ্যেই জানিয়েছেন, বাংলাদেশকে হারিয়ে ইতিহাস গড়তে চান তারা।
পিএনজির বিপক্ষে আইসিসি ট্রফির সেই ম্যাচে আগে ব্যাটিং করতে নামে বাংলাদেশ। ইউসুফ রহমানের ১১৫, নাজিম সিরাজির ৫২, রাকিবুল হাসানে ১৩ ও ওমর মাহমুদের ১৩ রানের সুবাদে ৫৭.৫ (৬০ ওভারের ম্যাচ ছিল) ২২৪ রানে অলআউট হয় শফিক উল হীরার নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ। ম্যাচটি খেলেছিলেন গাজী আশরাফ হোসেন লিপু, তানজিব আহসান সাদরাও।
জবাবে ৭ উইকেট হারিয়ে ৫৭ ওভারে জয়ের বন্দরে পৌঁছায় পিএনজি। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬০ রানের ইনিংস খেলেন সাহা। এ ছাড়া তাউ আও ৩৯, অ্যাগোনিয়া ১৯, তাওনাও ভাই ২৩, অধিনায়ক আপি লেকা ৪১* ও আমিনি ১৪* রান করেন। ২টি করে উইকেট নেন আনোয়ারুল আমিন, ওমর মোহাম্মদ ও আশরাফ হোসেন লিপু।