প্রতিরোধহীন হারের অপেক্ষায় বাংলাদেশ
চট্টগ্রাম টেস্টের চারদিন শেষ হলো। এর মধ্যে কেবল একটা দিন ভালোয় ভালোয় কেটেছে বাংলাদেশের। বাকি দিন তিন স্বস্তিতে শেষ করেছে পাকিস্তান। চতুর্থ দিনের শেষটাও থাকলো পাকিস্তানের দখলে। ছোট লক্ষ্যে ব্যাটিং করতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে অনেক পথ পাড়ি দিয়ে জয়ের সুবাশ নিয়ে দিন শেষ করলো বাবর আজমের দল।
শাহিন শাহ আফ্রিদি, সাজিদ খান, হাসান আলীদের দারুণ বোলিংয়ের বিপক্ষে দ্বিতীয় ইনিংসে ১৫৭ রানেই গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ। প্রথম ইনিংসে ৪৪ রানের লিড পাওয়ায় পাকিস্তানকে ২০২ রানের লক্ষ্য দেয় ঘরের মাঠের দলটি। জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমে বিনা উইকেটে ৩৩ ওভারে ১০৯ রান তুলেছে সফরকারীরা। জয়ের জন্য তাদের দরকার আর ৯৩ রান। আবিদ আলী ৫৬ ও আবদুল্লাহ শফিক ৫৩ রানে অপরাজিত আছেন।
এর আগে ৪ উইকেটে ৩৯ রান নিয়ে চতুর্থ দিনের খেলা শুরু করে বাংলাদেশ। তৃতীয় বলেই ফিরে যান মুশফিকুর রহিম, ১৬ রান করেন তিনি। লিটন দাস ও ইয়াসির আলী রাব্বি ভালোই খেলছিলেন, গড়েন ৪৭ রান রানের জুটি। কিন্তু শাহিন শাহ আফ্রিদির শর্ট বলে মাথায় আঘাত লাগায় মাঠ ছাড়েন রাব্বি, কনকাশন সাব হিসেবে ব্যাটিংয়ে যান নুরুল হাসান সোহান। রাব্বির ব্যাট থেকে আসে ৩৬ রান।
লিটন-সোহান জুটিও জমছিল, কিন্তু সোহান নিজের উইকেট বিলিয়ে দলের ইনিংসেরই অপমৃত্যু ডেকে আনেন। ১৫ রান করে ছক্কা মারতে গিয়ে আউট হন সোহান, মেহেদী হাসান মিরাজ করেন ১১ রান। আগের ইনিংসে সেঞ্চুরির পর এই ইনিংসে ৫৯ রানের ইনিংস খেলা লিটন আউট হলে আর এগোয়নি বাংলাদেশের ইনিংস। আফ্রিদি ৫টি, সাজিদ ৩টি ও হাসান আলী ২টি উইকেট নেন।
উইকেটের দেখা নেই, হারের পথে হাঁটছে বাংলাদেশ
প্রথম ইনিংসে হতাশার শুরু হলেও মুশফিকুর রহিম ও লিটন কুমার দাসের ব্যাটে মাঝারি পূঁজি মিলেছিল বাংলাদেশের। দ্বিতীয় ইনিংসে সেই ব্যাটিংও করতে পারেনি মুমিনুল হকের দল। লিটনের হাফ সেঞ্চুরির পরও ১৫৭ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ। পাকিস্তানকে মাত্র ২০২ রানের লক্ষ্য দিয়েছে ঘরের মাঠের দলটি।
জয় তুলে নেওয়ার জন্য দেড় দিনেরও বেশি সময় পাওয়া পাকিস্তান সাবধানী শুরুর পর সাবলীল ব্যাটিং করে যাচ্ছে। প্রথম ইনিংসের মতো এই ইনিংসেও তাদের দুই ওপেনার আবিদ আলী ও আবদুল্লাহ শফিক দারুণ শুরু করেছেন। এখনও তাদের সামনে বাধার দেয়াল তুলতে পারেননি বাংলাদেশের বোলাররা।
২১ ওভার শেষে বিনা উইকেটে পাকিস্তানের সংগ্রহ ৬১ রান। আবিদ ৩৫ ও শফিক ২৬ রানে ব্যাটিং করছেন। জয়ের জন্য তাদের প্রয়োজন আর ১৪১ রান। হাতে এখনও বেশ সময় ও ১০ উইকেট।