আইপিএল খেলার অনুমতি পাননি মুস্তাফিজ
শেষ বেলায় হলেও এবারের ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) খেলার সুযোগ এসেছিল মুস্তাফিজুর রহমানের। দুটি দল থেকে প্রস্তাব পেয়েছিলেন বাংলাদেশের বাঁহাতি এই পেসার। মুস্তাফিজেরও ইচ্ছা ছিল দুবাইয়ে অনুষ্ঠেয় আইপিএল খেলার। কিন্তু ঘরোয়া ক্রিকেটের সবচেয়ে জমজমাট এই আসরে খেলা হচ্ছে না তার।
আইপিএল খেলার জন্য মুস্তাফিজকে অনাপত্তিপত্র দেয়নি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। শ্রীলঙ্কা সফরে তিন টেস্টের সিরিজে জাতীয় দলের পরিকল্পনায় থাকা মুস্তাফিজকে ছাড়তে রাজি নয় বিসিবি।
মুস্তাফিজের অনাপত্তিপত্র না পাওয়ার বিষয়টি দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে জানিয়েছেন বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্সের চেয়ারম্যান আকরাম খান। বাংলাদেশের সাবেক এই অধিনায়ক বলেছেন, 'মুস্তাফিজ আইপিএল খেলার প্রস্তাব পেয়েছিল। কিন্তু আমরা তাকে অনাপত্তিপত্র দেইনি। কারণ শ্রীলঙ্কা সফরে সে আমাদের জাতীয় দলের পরিকল্পনায় রয়েছে।'
মুস্তাফিজও বিষয়টি নিয়ে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন। বাঁহাতি এই পেসার জানিয়েছেন, দুটি ফ্র্যাঞ্চাইজি তাকে প্রস্তাব দিয়েছিল। কিন্তু সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে বিসিবির কোর্টে বল ঠেলে দিয়েছেন তিনি। জাতীয় দলের সূচির কথা ভেবে বিসিবি এমন প্রস্তাবে রাজি হয়নি।
আইপিএলের দল মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স ও কলকাতা নাইট রাইডার্স মুস্তাফিজকে প্রস্তাব দিয়েছিল। লাসিথ মালিঙ্গা শেষ মুহূর্তে আইপিএল ছেড়ে আসায় একজন পেসারের খোঁজে ছিল মুম্বাই। মুস্তাফিজকে না পেয়ে তারা দলে ভিড়িয়েছে জেমস প্যাটিনসনকে।
হ্যারি গার্নির বিকল্প হিসেবে এখনও কাউকে খুঁজে পায়নি কলকাতা। বাঁহাতি পেসারের অভাব পূরণ করতে মুস্তাফিজের দিকে হাত বাড়িয়েছিল তারা। কিন্তু অনাপত্তিপত্র না মেলায় মুস্তাফিজ কোনো প্রস্তাবেই সাড়া দিতে পারেননি।
এরআগেও অবশ্য আইপিএল খেলার প্রস্তাব পেয়েছিলেন বাংলাদেশের পেস আক্রমণের অন্যতম সেরা এই অস্ত্র। গত মার্চে মুস্তাফিজকে দলে ভেড়ানোর চেষ্টা করেছিল রাজস্থান রয়্যালস। কিন্তু সে সময় করোনাভাইরাসের কারণে সবকিছু অনিশ্চিত হয়ে পড়ায় প্রস্তাবে সাড়া দিতে পারেননি বাঁহাতি এই পেসার।