পাহাড়ধসে সড়কে ২৫ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি
বান্দরবানে প্রবল বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থার ক্ষতি হয়েছে প্রায় ২৫ কোটি টাকার। বিভিন্ন জায়গায় সড়ক ভেঙ্গে ও সড়কের উপর পাহাড়ধসে সারাদেশের সাথে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়।
আট দিন পর চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও রাঙ্গামাটির সাথে যান চলাচল স্বাভাবিক হলেও এখনো বন্ধ বান্দরবান থেকে রোয়াংছড়ি-রুমা-থানচি সড়কটি। এতে বন্ধ হয়ে আছে সব ধরনের যান চলাচল।
সংস্কারে রোয়াংছড়ি রুটে হালকা যান চলাচল শুরু হলেও চরম ভোগান্তিতে রয়েছে রুমা ও থানচি এই দুই উপজেলার মানুষ। একদিকে অতিরিক্ত ভাড়ায় মালামাল নিয়ে আসতে হচ্ছে, অন্যদিকে বাস বন্ধ থাকায় ঝুঁকি নিয়ে ভাড়ায় চালিত মোটর সাইকেলে যাতায়াত করতে হচ্ছে যাত্রীদের। ফলে সময় ও খরচ গুনতে হচ্ছে দ্বিগুণ।
ভাড়ায়চালিত মোটর সাইকেলে করে আসা সুরেশ তঙ্গ্যা ও মেমং মারমা বলেন, রুমা থেকে ওয়াইজংশনে পৌঁছতে আগে দেড় ঘন্টা লাগত। এখন রাস্তা ভেঙ্গে ভেঙ্গে আসতে প্রায় চার ঘন্টা লাগে। ভাড়াও বেশি দিতে হয়।
তরি-তরকারি নিয়ে বান্দরবান শহর থেকে রুমায় যাচ্ছিলেন ব্যবসায়ী আকবর হোসেন। বৃষ্টিতে রাস্তার উপর পাহাড়ধসে বসন্ত পাড়ায় আটকা পড়েন তিনি। আকবর হোসেন জানান, পেঁয়াজ ও আলু পঁচে লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। ভাড়াও দিতে হয়েছে দ্বিগুণ।
সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সজীব আহমেদ জানান, এবারে ভারী বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক আরও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে এমন সড়কগুলো সংস্কারের জন্য ২২ থেকে ২৫ কোটি টাকা বাজেট পাঠানো হয়েছে।
তবে চিম্বুক পাহাড়ে ওয়াইজংশন এলাকা থেকে রুমা পর্যন্ত ২৭ কিলোমিটার সড়কটি অত্যন্ত নাজুক অবস্থা। সড়ক ভেঙ্গে এবং পাহাড়ধসে চলাচল বন্ধ হয়ে যায় প্রতি বর্ষা মৌসুমে। এর স্থায়ী সমাধানে আরও পাঁচ’শ কোটি টাকা লাগবে। তবে সড়কটি সেনাপ্রকৌশল বিভাগ তদারকি করে বলে জানান সড়ক ও জনপথ বিভাগের এই প্রকৌশলী।