দুদক দপ্তরেই ডিআইজি মিজানের বিরুদ্ধে মামলা

সম্পদের তথ্য গোপন ও অবৈধ অর্থ উপার্জনের দায়ে আলোচিত পুলিশ কর্মকর্তা মিজানুর রহমান, তার স্ত্রী ও দুই স্বজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
সোমবার কমিশনের সভায় অনুমোদনের পর দুদকের পরিচালক মনজুর মোরশেদ বাদি হয়ে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এ মামলাটি দায়ের করেন বলে সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন দুদকের জনসংযোগ শাখার উপ-পরিচালক প্রণব কুমার ভট্টাচার্য।
তিনি বলেন, “সম্পদের তথ্য গোপন এবং অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে পুলিশের ডিআইজি মিজানুর রহমান, তার স্ত্রী সোহেলিয়া আনার রত্না, ছোট ভাই মাহবুবুর রহমান এবং ভাগ্নে পুলিশের এসআই মাহমুদুল হাসানের বিরুদ্ধে মামলাটি করা হয়েছে। দুদকের দপ্তরে করা এটিই প্রথম মামলা।”
এর আগে রোববার দুদক তাদের আইনের সংশোধিত বিধিমালা প্রকাশ করে। বিধিমালা অনুযায়ী, এখন থেকে দুর্নীতির তফসিলভুক্ত অপরাধের মামলা করতে দুদককে আর থানায় যেতে হবে না। নিজ দফতরেই মামলা করতে পারবে সংস্থাটি। সংশোধিত সেই বিধিমালা অনুযায়ী ডিআইজি মিজানের বিরুদ্ধে প্রথম মামলা হলো দুদকেরই দপ্তরে।
সংশোধিত এই বিধিমালায় আরও বলা আছে, কেউ যদি থানায় দুর্নীতির অভিযোগ করেন, সেক্ষেত্রে পুলিশ সেটি সাধারণ ডায়েরি হিসেবে রেকর্ড করবে। পরবর্তী সময়ে তা অনুসন্ধানের জন্য দুদকে পাঠাবে। শুধু তাই নয়, দুদক চাইলে গুরুত্ব বিবেচনায় যেকোন অভিযোগ দীর্ঘ সময় ধরে অনুসন্ধান না করে সরাসরি মামলাও করতে পারবে।
যেভাবে আলোচনায় আসেন ডিআইজি মিজান
অবৈধ সম্পদ অর্জনের দায়ে দুদকের অভিযুক্তের তালিকায় থাকা ডিআইজি মিজান সম্প্রতি দুদক কর্মকর্তা খন্দকার এনামুল বাছিরের বিরুদ্ধে তার থেকে ঘুষ নেয়ার অভিযোগ আনেন। ডিআইজি মিজান গণমাধ্যমের কছে দাবি করেন, দুদকের তদন্তে তাকে নির্দোষ প্রমাণের সার্টিফিকেট দেয়ার কথা বলে দুদক পরিচালক বাছির তার থেকে ৪০ লক্ষ টাকা ঘুষ নেন। দাবির সপক্ষে দুজনের মধ্যে ‘কথোপকথনের’ কয়েকটি অডিও ক্লিপও সংবাদমাধ্যমকে দেন তিনি।
গতবছরের মে মাসে মিজানের অবৈধ সন্ধানের খোঁজে তদন্তে নামে দুদক। জানুয়ারিতে এক নারীকে জোরপূর্বক বিয়ে এবং মারধোরের ঘটনার পর আলোচনায় আসেন তিনি। এর পরপরই তাকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের পদ থেকে সরিয়ে দেয়া হয়।
গত ১২ই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামাল ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে বলেছিলেন, দুদক কর্মকর্তাকে ঘুষ দেয়ার অভিযোগে ডিআইজি মিজানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।