ঘুষ গ্রহণের মামলায় হাইকোর্টে জামিন চেয়ে আবেদন দুদকের বাছিরের
সাময়িকভাবে বরখাস্থ পুলিশের ডিআইজি মিজানুর রহমানের কাছে ঘুষ গ্রহণের মামলায় দুর্নীতি দমন কমিশনের কারাবন্দি পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছির জামিন চেয়ে আবেদন করেছেন হাইকোর্টে।
রোববার (০১ আগস্ট) বিচারপতি ফরিদ আহমেদ ও বিচারপতি এ এস এম আবদুল মোবিনের অবকাশকালীন বেঞ্চে আবেদনটি করেন বাছিরের আইনজীবী এম এম জামাল হোসেন।
এই আইনজীবী জানান, জামিন আবেদনটি ফাইল করা হয়েছে। আদালতে উপস্থাপন করে শুনানি করা হবে।
গত ২৩ জুলাই খন্দকার এনামুল বাছির বিচারিক আদালতে এই মামলায় জামিন আবেদন করলে, তা না মঞ্জুর করেন আদালত। বিচারিক আদালতের ওই আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আবেদনটি করেছেন এনামুল বছির। এর আগে গত ২২ জুলাই বাছিরকে গ্রেপ্তার করে দুদক।
এর আগে গত ১৬ জুলাই ঘুষ লেনদেনের অভিযোগে সাময়িক বরখাস্ত পুলিশের ডিআইজি মিজানুর রহমান ও দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছিরের বিরুদ্ধে মামলা করেছিল দুদক।
দুদকের পরিচালক শেখ মো. ফানাফিল্যা দুদকের এক নম্বর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে এ মামলা দায়ের করেছিলেন।
দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে দায়ের করা এই মামলার এজাহারে বলা হয়, অবৈধ সম্পদ অর্জনের ‘দায় থেকে বাঁচার জন্য’ ডিআইজি মিজানুর অসৎ উদ্দেশ্যে ৪০ লাখ টাকা ঘুষ দিয়ে খন্দকার এনামুল বাছিরকে ‘প্রভাবিত করেন’ বলে অনুসন্ধানে প্রতীয়মান হয়েছে।
এক নারীকে জোর করে বিয়ের পর নির্যাতন চালানোর অভিযোগ ওঠায় গত বছরের জানুয়ারিতে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনারের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় মিজানকে। এর চার মাস পর তার সম্পদের অনুসন্ধানে নামে দুদক; এক হাত ঘুরে সেই অনুসন্ধানের দায়িত্ব পান কমিশনের পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছির। সেই অনুসন্ধান চলার মধ্যেই ডিআইজি মিজান গত ৮ জুন একটি গণমাধ্যমের কাছে দাবি করেন, তার কাছ থেকে ৪০ লাখ টাকা ঘুষ নিয়েছেন দুদক কর্মকর্তা বাছির।
এর স্বপক্ষে তাদের কথপোকথনের কয়েকটি অডিও ক্লিপ ওই টেলিভিশনকে দেন তিনি। ওই অডিও প্রচার হওয়ার পর দেশজুড়ে শুরু হয় আলোচনা।
অভিযোগ খতিয়ে দেখতে ফানাফিল্যাকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি অনুসন্ধান দল গঠন করে দুদক।
ফানাফিল্যার দায়ের করা মামলার এজাহারে বলা হয়, “খন্দকার এনামুল বাছির সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে কমিশনের দায়িত্ব হতে অর্পিত দায়িত্ব পালনকালে অসৎ উদ্দেশ্যে নিজে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার আশায় ক্ষমতা অপব্যবহারের মাধ্যমে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ডিআইজি মিজানুর রহমানকে অবৈধ সুযোগ প্রদানের হীন উদ্দেশ্যে ডিআইজি মিজানুর রহমার থেকে তার অবৈধ পন্থায় অর্জিত অপরাধলব্ধ ৪০ লাখ টাকা উৎকোচ/ঘুষ হিসেবে গ্রহণ করে উক্ত টাকার অবস্থান গোপন করেন।”