ঈদের আগেই চালু হচ্ছে ‘বনলতা এক্সপ্রেস’ - রেলমন্ত্রী

রেলপথমন্ত্রী অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, ঈদুল আজহার আগেই ঢাকা থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পর্যন্ত আন্তঃনগর ‘বনলতা এক্সপ্রেস’ চলাচল শুরু হবে।
শুক্রবার (৫ জুলাই) সকাল ১০টায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার সোনামসজিদ স্থলবন্দর পরিদর্শন শেষে শ্রমিক লীগ আয়োজিত এক মতবিনিমিয় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, যে দেশ যত উন্নত, সে দেশের রেলপথও তত উন্নত। তাই দেশের রেলপথ উন্নয়নের জন্য বর্তমান সরকার অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কাজ করে যাচ্ছে।
মন্ত্রী বলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জবাসীর আকাঙ্খা পূরণ করতে সোনামসজিদ স্থলবন্দরের রেল সম্প্রসারণের কাজ খুব শিগগির শুরু হবে। সেইসঙ্গে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের সঙ্গে সমঝোতা হলে সোনামসজিদের বিপরীতে ভারতের মহদীপুর থেকে মালদা পর্যন্ত রেললাইন স্থাপন সম্ভব হবে। আর এতে সোনামসজিদ বন্দর আরো এক ধাপ এগিয়ে যাবে।
সেইসঙ্গে চাঁপাইনবাবগঞ্জবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি বিরতিহীন ঢাকা-চাঁপাইনবাবগঞ্জ আন্তঃনগর ট্রেন বনলতা এক্সপ্রেস আসন্ন ঈদুল আজহার আগেই চালু হবে।
রেল নিরাপদ, সাশ্রয়ী ও আরামদায়ক বাহন উল্লেখ করে ভারতকে উদাহরণ দিয়ে মন্ত্রী বলেন, ওই দেশের সিংহভাগ মানুষ রেলপথে চলাচল করে। কিন্তু বাংলাদেশে সেভাবে রেল ব্যবস্থা গড়ে ওঠেনি। আজকে আমরা নিম্ন আয়ের দেশ থেকে মধ্যম আয়ের দেশের দিকে যাচ্ছি। আমাদের খাদ্যের অভাব নেই, বস্ত্রের অভাব নেই। আমরা মানুষকে শতভাগ শিক্ষা দিতে চেষ্টা করছি। সাধারণ শিক্ষা ব্যবস্থার জন্য বিনামূল্যে বই দেওয়া হচ্ছে। কৃষিখাতে ভর্তুকি দেওয়া হচ্ছে।
পরে রেলপথমন্ত্রী চাঁপাইনবাবগঞ্জ রেল স্টেশন পরিদর্শন এবং আন্তঃনগর ট্রেন চালুর ব্যাপারে স্টেশন এলাকায় অগ্রগতি দেখেন।
রেলপথমন্ত্রী ৩ জুলাই (বুধবার) থেকে ৭ জুলাই (রোববার) পর্যন্ত যশোর, খুলনা, বাগেরহাট, নাটোর, রাজশাহী, পঞ্চগড় এবং নীলফামারী জেলা সফর করবেন। সেই অংশ হিসেবে শুক্রবার চাঁপাইনবাবগঞ্জ সফরে আসেন তিনি।
প্রসঙ্গত রাজশাহী-ঢাকা রুটের একমাত্র বিরতিহীন ট্রেন ‘বনলতা এক্সপ্রেস’ চালুর কথা ছিল রোববার (১৪ এপ্রিল)। তবে প্রস্তুতি শেষ না হওয়ায় পরবর্তিতে ২৫ এপ্রিল তারিখ ঘোষনা করা হয়। অবশেষে ঈদুল আজহার আগে চালু হবার ঘোষনা দিলেন রেলমন্ত্রী।
দীর্ঘদিন ধরেই এ অঞ্চলের মানুষের দাবি ছিলো অন্তত, একজোড়া বিরতিহীন ট্রেন।
জানা গেছে, অত্যাধুনিক এ ট্রেনে যুক্ত হয়েছে নানা সুযোগ-সুবিধা। এই প্রথম দেশের আন্তঃনগর কোনো ট্রেনে যুক্ত হয়েছে উড়োজাহাজের মতো বায়ো-টয়লেট। এখন থেকে মলমূত্র আর রেললাইনের ওপরে পড়বে না। স্টেশনে দাঁড়ানো অবস্থায় টয়লেট ব্যবহার করতে পারবেন যাত্রীরা।
প্রথমবারের মতো ট্রেনটিতে যুক্ত হয়েছে রিক্লেনার চেয়ার। যেখানে পা এবং হেলান দেয়ার আরামদায়ক সুবিধা থাকছে। এসি বাথের কেবিনে বেডরেস্ট সুবিধা তো থাকছেই। যেখানে রাতে বিছিয়ে দিলেই ছোট খাটের মতো হয়ে যাবে। আর কেবিনে ওপরের সিটে ওঠার জন্য স্টিলের মইয়ের বাদলে থাকছে সিঁড়ি।