আগস্টে চালু হবে মালয়েশিয়ার শ্রম বাজার: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

বাংলাদেশি শ্রমিকদের জন্য আগামী মাসে আবার খুলছে মালয়েশিয়ার শ্রম বাজার। রোববার (৭ জুলাই) রাতে রাজধানীর রমনায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় দুদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়।
এ সময় বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন এবং মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাইফুদ্দিন বিন আব্দুল্লাহ দুদেশের স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট নানা বিষয়ে কথা বলেন। যাতে প্রাধান্য পায় জনশক্তি এবং রোহিঙ্গা ইস্যু।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, গত ডিসেম্বর থেকে মালয়েশিয়া নতুন করে জনশক্তি নিচ্ছে না। মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, তারা সমন্বিত সমঝোতা তৈরি করছেন। প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদ এতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। আগামীতে কীভাবে জনশক্তি নেবেন তা ঠিক করছেন। তিনি আশা করছেন, আগস্ট থেকে দরজা আবার খুলে যাবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বৈঠকে রোহিঙ্গা সংকট সমাধান বিশেষ স্থান পেয়েছে। তিনি বলেন, এ বছরের শেষ দিকে বা আগামী বছর মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ সফরে আসতে পারেন। এ বছরের শেষ দিকে বাংলাদেশে একটি ইভেন্ট আছে। আগামী বছর এলে মাহাথির যেন ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে আসেন, সে ব্যাপারে মালয়েশিয়াকে বাংলাদেশ অনুরোধ করেছে।
মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, রোহিঙ্গারা যাতে প্রাপ্য সম্মান এবং নিরাপত্তার সাথে নিজ দেশে ফিরে যেতে পারে সেটি মালয়েশিয়াও চায়। এজন্য মিয়ানমারকে চাপ দেয়ার কথাও জানান তিনি।
উল্লেখ্য, মালয়েশিয়া ২০০৯ সালে বাংলাদেশ থেকে কর্মী নেয়া বন্ধ করে দেয়। ২০১২ সালের নভেম্বরে সরকারিভাবে কর্মী পাঠাতে দুই দেশ চুক্তি করে। এরপর মালয়েশিয়া পাঁচ বছরে পাঁঁচ লাখ লোক নেয়ার আশ্বাস দিলেও আড়াই বছরে আট হাজার কর্মী যায়। পরবর্তী সময়ে ২০১৬ সালে জিটুজি সমঝোতায় মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর চুক্তি হয়। ২০১৭ সালে দেশটিতে ৯৯ হাজার ৭৮৭ জন বাংলাদেশী শ্রমিক যান। আর ২০১৮ সালের আগস্ট পর্যন্ত ১০ রিক্রুটিং এজেন্সি পাঠিয়েছে ১ লাখ ২৫ হাজার ৮১৯ জন শ্রমিক। রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোর বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ উঠলে গত ১৪ আগস্ট এক বিশেষ কমিটির বৈঠকে জিটুপি প্লাস থেকে বাংলাদেশকে বাদ দেয়ার সিদ্ধান্ত নেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী।