অবশেষে গ্রেপ্তার আলোচিত পুলিশ কর্মকর্তা ডিআইজি মিজান

অবশেষে গ্রেপ্তার করা হয়েছে সম্পদের তথ্য গোপন ও অবৈধ অর্থ উপার্জনের অভিযোগে সাময়িকভাবে বরখাস্ত আলোচিত পুলিশ কর্মকর্তা মিজানুর রহমানকে।
সোমবার (১ জুলাই) বিকেলে ডিআইজি মিজানুর রহমানের আগাম জামিনের আবেদন খারিজ করে তাকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেয় হাই কোর্ট। হাইকোর্টের নির্দেশের পর তাকে গ্রেফতার করে শাহবাগ থানা পুলিশ।
ডিআইজি মিজান রহমান হাইকোর্টে আগাম জামিনের আবেদন করলে বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামানের হাই কোর্ট বেঞ্চ তা নামঞ্জুর করে এ আদেশ দেন।
জামিন আবেদনের শুনানি শেষে বেঞ্চের জ্যেষ্ঠ বিচারক বলেন, “সে (মিজান) পুলিশের ভাবমূর্তি পুরোপুরি নষ্ট করেছে। আমরা টিভিতে দেখেছি, (দুদকের একজন পরিচালককে) ঘুষ দেওয়ার ব্যাপারে সে ডেসপারেট বক্তব্য দিয়েছে।”
এরপর দুই বিচারক আদালত কক্ষ ত্যাগ করেন। আদালতের আদেশের কপি কোর্ট প্রশাসন শাহবাগ থানাকে জানালে পুলিশের রমনা বিভাগের একজন অতিরিক্ত উপ-কমিশনার ও শাহবাগ থানার ওসি হাইকোর্টে আসেন। এরপরই গ্রেপ্তার করা হয় আলোচিত এই পুলিশ কর্মকর্তাকে।
এর আগে গত ২৪ জুন সম্পদের তথ্য গোপন ও অবৈধ অর্থ উপার্জনের দায়ে পুলিশ কর্মকর্তা মিজানুর রহমান, তার স্ত্রী ও দুই স্বজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
যেভাবে আলোচনায় আসেন ডিআইজি মিজান
অবৈধ সম্পদ অর্জনের দায়ে দুদকের অভিযুক্তের তালিকায় থাকা ডিআইজি মিজান সম্প্রতি দুদক কর্মকর্তা খন্দকার এনামুল বাছিরের বিরুদ্ধে তার থেকে ঘুষ নেয়ার অভিযোগ আনেন। ডিআইজি মিজান গণমাধ্যমের কছে দাবি করেন, দুদকের তদন্তে তাকে নির্দোষ প্রমাণের সার্টিফিকেট দেয়ার কথা বলে দুদক পরিচালক বাছির তার থেকে ৪০ লক্ষ টাকা ঘুষ নেন। দাবির সপক্ষে দুজনের মধ্যে ‘কথোপকথনের’ কয়েকটি অডিও ক্লিপও সংবাদমাধ্যমকে দেন তিনি।
গতবছরের মে মাসে মিজানের অবৈধ সন্ধানের খোঁজে তদন্তে নামে দুদক। জানুয়ারিতে এক নারীকে জোরপূর্বক বিয়ে এবং মারধোরের ঘটনার পর আলোচনায় আসেন তিনি। এর পরপরই তাকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের পদ থেকে সরিয়ে দেয়া হয়।
গত ১২ই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামাল ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে বলেছিলেন, দুদক কর্মকর্তাকে ঘুষ দেয়ার অভিযোগে ডিআইজি মিজানের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেয়া হবে।