ব্যঙ্গ কবিতায় বাঙ্গালী চেনা
ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্তের (১৮১২-১৮৫৯) কবিতার পাঠক গবেষকরা জানেন তিনিই বাংলা ভাষার প্রথম স্বাধীন কবি। রবীন্দ্রনাথের জন্মের দু'বছর আগেই তিনি প্রয়াত। ব্যঙ্গ কবিতায় 'মা ভিক্টোরিয়া' এবং তার ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি সরকারকে তিনি বিস্তর গালমন্দ করেছেন। ছাড়েননি অভাগা বাঙ্গালীকেও।
কালসাপ তো আর ব্যাঙকে দয়া করে না। সামনে পেলেই টপাটপ গ্রাস করে নেয়- কালসাপকে ব্যাঙের লালন পালনের দায়িত্ব দেয়া যায় না। ঈশ্বরচন্দ্র শুরুতে মহারানি ভিক্টোরিয়ার সরকারকে কালসাপ আখ্যা দিয়ে বলেছেন 'হোলে ভক্ষকেতে রক্ষাকর্তা ঘটে সর্বনাশ।' কিন্তু বাঙ্গালী হচ্ছে কেনা দাসস্য দাস।
'বাঙ্গালী তোমার কেনা এ কথা জানে কেনা
হয়েছি চিরকোল দাস
করি শুভ অভিলাষ।
তুমি মা কল্পতরু আমরা সব পোষা গরু
শিখিনি সিং বাঁকানো
কেবল খাবো খোল বিচিলি ঘাস।...
আমরা ভুসি পেলেই খুশি হব
ঘুসি খেলে বাঁচব না।'
ঈশ্বরচন্দ্র রাঙ্গালিকে বাঘের মুখোমুখি ছাগের মতোই দেখেছেন।
'কাঙালী বাঙ্গালী যত চিরদিন অনুগত
জানি নে মন্দ আচরণ
পূজি তোমার শ্রীচরণ।'
এই নিবন্ধটিতে গবেষণামূলক ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ প্রত্যাশা করা নিরর্থক। ব্যঙ্গ কবিতায় বাঙ্গালী কিভাবে উঠে এসেছে তার কিছু সরাসরি উদাহরণ ও উদ্ধৃতি তুলে ধরাই নিবন্ধের লক্ষ।
ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্তের প্রত্যক্ষ লালনে বেড়ে উঠেছেন কবি মনোমোহন বসু (১৮৩১-১৯১২)। তার ব্যঙ্গ বড্ড তিতকূটে--তার বাঙ্গালী 'ঘানি টানে গরুর মতন।'
তার কবিতায় শাসন-প্রশাসন যন্ত্রে একটি জীবন্ত চিত্রও পাওয়া যায়।
পেনাল কোড কথায় কথায় যত লাগায় গায়
ঘানি টানার গরুর মতন,
বংশ-মান যার যা যেমন, জন্মের মতন
দাগ চড়ে যায়--হয় না মোচন!
জাতিধর্ম নির্বিশেষে ব্রাহ্মণ থেকে চাড়াল সবার গায়ে একই রকম অমোচনীয় দাগ পড়ে যায়--সে দাগ দাসত্বের। তার বাঙ্গালী বাবুরা সব রেস খেলে, লীলায় মত্ত থাকে, নাট্যমন্দিরে নিশিযাপন করে।
অমৃতলাল বসু (১৮৫৩-১৯২৯) গুরু হয়ে শিষ্যদের চানক্য শ্লোক শোনাচ্ছেন: সাহেবঞ্চ বাঙ্গালীঞ্চ নৈব্য তুল্য কদাচন। সাহেব কখনো বাঙ্গালির তুল্য হতে পারেন না:
সাহেবরা আমাদের তুল্য নহে হক।
সাহেব থাপ্পড়দাতা বাঙ্গালী খাদক,
শ্বেতচর্মে সাহেবের সর্বদোষ কাটে।
কালোচাম ঢাকা পিলা পদে পদে ফাটে'
গিরি-বাসে পুষ্প বাসে সাহেবের যক্ষা
মুন্সিপাল ড্রেনাঘানে বঙ্গ স্বাস্থ্য রক্ষা।
'সঙের ছড়া'য় তিনি বেশ বাঙালি ধোলাই করেছেন:
সাহেব সাজো মোগল, সাজো সাজো ইন্ডিয়ান
বাঙালি নামের করো নাক গয়ায় পিন্ডিদান
রাখো বাংলার পালাপার্বণ, খেলাধুলো
নিজের জোতের ভাতের থাল-
ভাড়াটে কোটার চেয়ে অনেক ভালো বাস্তুভিটের খড়ের চাল
ডি এল রায়ের (১৮৬৩-১৯১৩) চেয়ে ভালো করে বাঙ্গালীকে আর কে চেনেন? বাঙ্গালী যে জুতোর বাড়ি খেয়েই আসছে--দু'ঘা বেশি আর দু'ঘা কম এতে কী এসে যায়। দু'ঘা বেশি হলেও সয়ে যাবে। 'জিজিয়া কর' তার কবিতার নাম।
পড়ে আছি চরণ তলায়
নাকটি গুঁজে অনেক কাল
সৈবে সবই, নই ত মানুষ
আমরা সবাই ভেড়ার পাল
যে যা করিস দেখিস চাচা
মোদের পৈত্রিক প্রাণটা বাঁচা
শাসটা খেয়ে আঁশটা ফেলে
দিসরে দুটো দুবেলায়।
তোরাই রাজা তোরাই মুনিব,
মোরা চাকর মোরা পর
মনে করিস চাচা এটা
তোদের বাড়ি তোদের ঘর।
বাঙ্গালির 'নন্দলালীয়' মানবপ্রেম ও দেশপ্রেম নিয়ে অসাধারণ একটি ব্যঙ্গ কবিতার জনক ডিএল রায়। ১২০ বছর আগে প্রকাশিত কবিতাটিতে নন্দলাল পন করে ফেলল যেভাবেই হোক দেশের জন্য জীবন তাকে দিতেই হবে, সে যদি এই দেশ উদ্ধার না করে তা হলে এই মহান দায়িত্ব পালন করতে অন্য কারো তো এগিয়ে আসার সম্ভাবনা নেই। সকলেই তাকে 'বাহবা বাহবা বাহবা বেশ' বলে জয়ধ্বনী দিল--ভারতবর্ষে এমন দৃঢ়প্রত্যয়ী দেশ প্রেমিক তো আগে দেখা যায়নি। এর মধ্যেই ঘটল এক দুর্বিপাক নন্দলালের ভাই কলেরায় মরণাপন্ন, ভাইয়ের সেবায় এগিয়ে যেতে সবাই তাকে বলল, কিন্তু নন্দলাল তো জানে রোগটা ছোয়াছে এবং সেবাশুশ্রূসার কাজটাও তেমন আরামদায়ক কিছু নয়, সুতরাং সিদ্ধান্ত নেবার ভারটা জনগণকেই দিলেন এবং
নন্দ বলিল, 'ভায়ের জন্য জীবনটা যদি দিই--
না হয় দিলাম--কিন্তু অভাগা দেশের হইবে কি?
বাঁচাটা আমার অতি দরকার, ভেবে দেখ চারিদিক;
তখন সকলে বলিল- হাঁ হ্যাঁ হ্যাঁ, তা বটে তা বটে ঠিক।
একদা স্কুল পাঠ্য এই কবিতাটি সাথে বহু সংখ্যক বাঙ্গালির পরিচিতি রয়েছে। নন্দলাল লিখতে শুরু করল--গদ্যেপদ্যে তার বিদ্যা জাহির হলো, মশহুর এই মানুষটির জন্য ধন্য ধন্য রব পড়িল--কারণ তিনি দেশের জন্য খেটে খেটে একেবারেই খুন। ঢের লেখালেখিও তাকে করতে হয়। তবে নন্দলালকে টিকে থাকার জন্য কিঞ্চিত খানাপিনাওতো দরকার--
পড়িল ধন্য দেশের জন্য নন্দ খাটিয়া খুন
লেখে যত তার দ্বিগুণ ঘুমায় খায় তার দশগুণ
খাইতে ধরিল লুচি ও ছোকা ও সন্দেশ খান খান
তখন সকলে বলিল--বাহবা বাহবা নন্দলাল।
সতেন্দ্রনাথ দত্ত (১৮৮২-১৯১২) লিখেছেন 'বাঙ্গালী চরিত্র'- খুব ভালো তিনি চিনেছেন তিনি স্বজাতিকে যে জাতির প্রেম জাবর কাটার মধ্যেই সীমিত:
বিপদের নামে থাকি গো অটল
কাছে এলে আঁখি টলটল
আর স্কন্ধে চাপিলে তুলি গো পটল
ভয়েতে হইয়া মাটি
মোরা মচকাই তবু ভাঙ্গিনা কখন
মুখের দাপটে ছাঁটি
আমরা বাঙ্গালী খাটি।
সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত জানেন পরের ছিদ্র খুঁজতে গিয়ে বাঙ্গালির কত বিনিদ্র রাত কেটে যায়, কিন্তু নিজের রন্ধ্র দেখার দৃষ্টিশক্তি তার এতটুকুও নেই। অহরহ কুৎসা কলহ তো আছেই, নকলে সিদ্ধ বাঙ্গালী পৃথিবীর ভালো কিছু নকল করে না--যা কিছু মন্দ দক্ষতার সাথে তুলে নেয়।
স্বার্থনীতিই মোদের কেতাব
চাই মোরা শুধু লম্বা খেতাব
রায় বাহাদুর, রাজা মহাতাব
নবাব খাঞ্জা খাঁটি।
বাঙ্গালী নিয়ে রবীন্দ্রনাথ ও নজরুলের যত রমকাব্য আছে, তা নিয়ে পৃথক নিবন্ধ হতে পারে। তবুও নজরুলের কয়েকটি যোগ করছি :
নখদন্ত বিহীন চাকুরী অধীন আমরা বাঙ্গালী বাবু
গায়ে গোদ, গায়ে ম্যালরিয়া
(বুকে) কাশি লয়ে সদা কাবু।
বেশি কাবু হলে যা হবার, নজরুল জানেন উঠে দাঁড়াতে কাবু মানুষটিকে সাবুই খেতে হবে।
বাঙ্গালী বাবু ও বিবি নিয়ে রঙ্গ-ব্যঙ্গ
ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত (১৮১২-১৮৫৯) স্পষ্টই দেখেছেন নবযুগের বাবুরা বাবা ঠাকুদা আর বাহ্মণ পুরুতদের বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে জুতো পায়ে কুকুর নিয়ে ঠাকুরঘরে প্রবেশ করছে।
হোলো কর্মকাণ্ড লন্ডভন্ড
হিঁদুআনি কিসে রবে
যত দুধে শিশু ভোজে ঈশু
ডুবে মলো ভবে টবে।
আগে মেয়েগুলো ছিল ভালো
ব্রতধর্ম কোর্তো সবে
একা 'বেথুন' এসে শেষ করেছে
আর কি তাদের তেমন পাবে।
যত ছুড়ীগুলো তুড়ী মেরে
কেতাব হাতে নিচ্ছে যবে
তখন এ বি শিখে বিবি সেজে
বিলাতী বোল কবেই কবে।
বাঙ্গালী হিন্দুর ধর্ম গেলরে গেলরে রব উঠেছে। দুধের শিশুও হিন্দুর ভগবান ভুলে ঈশ্বর (ঈশ্বর যীশু! ইসা!) অর্চনায় ডুবেছে, কবিতার ডব টব হচ্ছেন আলেকজান্ডার ডাফ।
ইয়ং বেঙ্গলের প্রধান নেতা ডিরোজিও সাহেবের সমকালীন পাদরি। নব্যবঙ্গের তরুণদের মাথা যখন ব্রিটেনের দিকে ঘুরে গেছে, গোরা সাহেবরাই বাপদাদার চেয়ে বড় হয়ে উঠেছেন, আলেকজান্ডার ডাফ এ সুযোগটা কাজে লাগিয়ে তাদের খিষ্ট ধর্মে দীক্ষিত করতে শুরু করলেন। বেথুন হচ্ছেন গভর্নর জেনারেলের আইন সচিব জন ড্রিঙ্কওয়াটার বিটন; তার হাতেই ভারতবর্ষে নারী শিক্ষার আন্দোলনটি গড়ে ওঠে-- কিন্তু বাঙ্গালীর প্রশ্ন তো এটাই- নারীর তো এমনিতেই কাজের শেষ নেই। তাকে শিখতে হবে কেনো? পড়াশোনা একদিকে তাকে বিধবা বানাবে, অন্যদিকে বিবি হয়ে যাবে--ভারতবর্ষ বাবু সামলাতেই হিমহিম খাচ্ছে, বিবি সামলাবে কেমন করে।
হারাণচন্দ্র রাহার জন্ম ও মৃত্যুর সন অনাবিষ্কৃত, তবে তিনি দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুর বা গিরিশচন্দ্রের সমসাময়িক। তিনি বাঙ্গালী হিন্দু নন, খ্রিষ্টান। অবকাশরঞ্জন নামে তার একটি কাব্যগ্রন্থের দ্বিতীয় সংস্করণ ১৮৮০ সালে প্রকাশিত হয়। তার কবিতায় বঙ্গ নারী তার বিলেত ফেরত স্বামীর কথায় বিবি সাজতে রাজি নয়:
আমি ত হব না বিবি থাকিতে এ প্রাণ
কেমনে হোটেলে যাব?
কেমনে হোটেলে খাব?
কেমনে সহিব বল পিয়াজের ঘ্রাণ?
হায় বাবু, তুমি বড় কঠিন পরাণ
এই নারী তার ঢাকাই শাড়ি ছাড়তে নারাজ, লাজলজ্জা ভুলে ঘোমটা খুলতে নারাজ, অন্যের সাথ্যে বাক্য আলাপন করতে নারাজ, ফাউলকারি কিংবা কাটলেট খেতে নারাজ, সিঁথি সিঁদুর শূন্য রাখতে নারাজ।
আমি ত হব না বিবি তোমার পীড়নে
আপনি সেজেছ বেশ
পরেছ ফিরিঙ্গি বেশ
ফিরিঙ্গিনী আমি কভু হব না জীবনে।
কালাপানি পেরোলেই তো ধর্মনাশ, সে ক্ষেত্রে বাঙ্গালির জন্য একটাই উপায় বের করেছেন কবি অমৃত লাল বসু (১৮৫৩-১৯২৯)। ধর্মের সীমানা বাড়িয়ে দিতে হবে।
ঘন ঘন ঘন ঘন ঘনং
বাবুদের বিলাত গমনং
ধর্মের বেড়েছে মাত্রা
সমুদ্রে হবে যাত্রা
বাপের হয় না গঙ্গাযাত্রা গৃহে মর নং।
আসছে সব বিধি নিতে
এমন বিধি হবে দিতে
দেখেন নি যা বিধির পৈতে চৌদ্দ ভুবনং।
ঋগ্বেদে যাই লিখা থাকুক বিধিতে আকন্ঠ মাটন খাওয়া যাবে, অখাদ্যে সংযোগ ঘটবে মদ্যের--
বাবার আর গঙ্গাযাত্রা হবে না, পটল তুলবেন নিজ গৃহে।
ডি এল রায় বাংলাকে যেমন ভালো চেনেন, বিলেতকে কম নয়। ১৮৮৪ সালে রাষ্ট্রীয় বৃত্তি নিয়ে তিনি ইংল্যান্ডের কৃষি ব্যবস্থার উপর পড়াশোনা করতে গেলে জাত যাবে জেনেও কালাপানি পেরিয়ে বিলেত গেলেন। খুব ভালো করে পরীক্ষায় পাশ দিয়ে ফেলো অব রয়াল এগ্রিকালচারাল সোসাইটি- এফআরএএস হয়ে তিন বছর সাহেব মেমদের দেশে কাটালেন কিন্তু গলায় ঝুলিয়ে একটি মেমও আনতে পারলেন না, ১৮৮৬ তে ফিরলেন, ১৮৮৭-তে একজন হোমিওপ্যাথ ডাক্তারের মেয়ে সরমাদেবীকে বিয়ে করলেন। বিলাত ফেরত বন্ধুদেরও দেখলেন, তারা মিস্টারের বদলে বাবু সম্বোধিত হলে চটেন, মিত্র মিটার আর রায় রে হয়ে যান, তারা চাকরকে বলেন বেয়ারা, মুটোকে বলেন কুলি, হ্যাট ও বুট না পরলে অস্বস্তি বোধ করেন :
আমরা হাতে খেতে বড় ডরাই
আমরা স্ত্রীকে ছুরি কাটা ধরাই
আমরা মেয়েদের জুতো মোজা, দিদিমাকে
জ্যাকেট কামিজ পরাই...
আমরা সাহেবের মত হাঁটি
স্পীচ দিই ইংরেজি খাঁটি
কিন্তু বিপদেতে দেই বাঙ্গালিরই মত
চম্পট পরিপাটি।
মুকুন্দ দাস (১৮৭৮-১৯৪৩) দেখলেন বাঙ্গালির জীবনে ঘোর কলিকাল এসে গেছে-- গিন্নি করছে মাথার উপর কর্তাগিরি আর মা হয়েছে দাসী, বাবু খাচ্ছে সদা মদ আর পতিতা তার পরম সম্পদ--
কলিতে বৌ হয়েছে রং-এর বিবি
স্বামী মানে না
শাশুড়ি হন ময়নামাগী স্বামী খানসামা
তারা ভাসুর শ্বশুর কেয়ার করে না
বাপকে বলে মাই ডিয়ার।
এ অবস্থার বড় কারণ সাদা ভূত। বাবুদের কাঁধে সাদা ভূত চেপেছে, সত্য ভোলানো চশমা চোখে তারা সোনা আর ইস্পাতের তফাৎ ধরতে পারে না।
চোখের ঐ চশমা জোড়া দেখ না বাবু খুলে
কুল নিয়েছে মান নিয়েছে, ধন নিয়েছে বলে
ডু ইউ নো ডিপুটি বাবু নাউ হেড ফিরিঙ্গির বুটের তলে।
মনোমোহন বসু সেই আফসোসই করেছেন:
যে জাতি সুঁই সূতো পর্যন্ত বিদেশ থেকে আনে, দেশলাইয়ের কাঠিও নিয়ে আসে বন্দরের জাহাজ, এমনই দুর্দশাগ্রস্ত জাতি স্বাধীন হতে পারে না। বাঙ্গালী সোনার বাংলা নিয়ে যত আস্ফালন করুক, বুক চিতিয়ে হাতের বাইসেপ ফুলিয়ে যত বাহাদুরিই দেখাক, যে জাতিকে সূঁচও আমদানি করতে হয়--সে জাতি কখনো স্বাধীন নয়।