বুলবুল ও নকল গোলাপের প্রেম
বাগান, ফুল বা পাখির সাথে আমার সখ্য নেই বললেই চলে। বোন এবং ভাইয়েরা বাগান, পাখি নিয়ে খুব সিরিয়াস হলেও আমি তেমন ধৈর্য্যশীল নই। বোনের বিয়েতে একটা গোলাপের গাছ কিনেছিলাম ওর হলুদের মঞ্চের পাশে রাখার জন্য। কয়েক বছর পরে সে গাছের স্থান হয় আমার দক্ষিণের বারান্দায়। মাঝে মাঝে ধুয়ে চকচকে রাখতাম। আসল গোলাপ ফোটানোর যেহেতু ধৈর্য্য নেই তাই নকল গোলাপই শ্রেয়তর ভেবেছি। আমার রুম আর বারান্দা ভুতের দখলেই থাকে বেশির ভাগ সময় কারণ আমি থাকি কর্মস্থলে।
অনেকদিন পর লকডাউনে বাড়ি এসে এতদিনে বাড়িতে থাকা আর রাতে বারান্দায় বসে কফি খাওয়ার সুযোগ হয়েছে। সেই নকল গোলাপ গাছটার পাশে বসেই কফি খাই বা চুপচাপ বসে থাকি তবু টের পাইনি এখানে কোনো দম্পত্তি সুখের নীড় রচনা করছে আমারই চুল দিয়ে! হ্যাঁ একদিন গোলাপ গাছের একপাশে অনেকচুল আটকে থাকতে দেখে তা পরিস্কার করতেই টের পেলাম চুল ছাড়াও অনেক খড়কুটো দিয়ে একটা বাটির মতো পাখির বাসা আর তাতে দুটো ছোপ ছোপ ডিম।
ডিমওয়ালা হিংস্র মুরগি দেখার অভিজ্ঞতা আছে আমার, তাই ভয়ে সরে আসি। না জানি কোন পাখি এসে মাথায় ঠোকর দেয়। তবু ছবি তোলার লোভ সামলাতে পারি না। আরেক ভয় পাই যদি মা পাখি দূর থেকে দেখে যে ওর ডিম ছুঁয়েছি বা সরিয়েছি বাসাটা এদিক সেদিক হয়েছে তাহলেও তো মুশকিল। জানিনা কোন পাখির ডিম, তার স্বভাব কেমন?
সারাদিন একটু পরপর আসি ডিমের মালিককে দেখার জন্য। বারান্দার সামনেই বেশ কয়েকটা বড় বড় গাছ, মেহগনি, কাঁঠাল, ডুমুর, নিম আরও কিছু গাছ। বুলবুলি, ঘুঘু, কাঠ ঠোকরা, চড়ুই, কাকসহ আরো বেশ কিছু পাখি সারাক্ষণই উড়াউড়ি করে এই বাগানে। কার ডিম তা বোঝা গেল এক জোড়া বুলবুলির হাবভাব দেখে। মনে পড়ল চার বছরের জাফরিন আমাকে বুলবুলি চিনিয়েছিল এভাবে, আপু যে পাখির পাছু লাল সেটা বুলবুলি মনে রেখো। আমি চিনতাম তবে এইভাবে কাউকে চিনাতে পারতাম না! বুলবুলি দেখলে আমি গুনগুন করে উঠলাম,
মোহাম্মদ নাম জপেছিলি বুলবুলি তুই আগে।
তাই কি রে তোর কণ্ঠের গান এমন মধুর লাগে।
ওরে গোলাব নিরিবিলি
(বুঝি)নবীর কদম ছুঁইয়েছিলি
(তাই) তাঁর কদমের খোশবু আজও তোর আতরে জাগে।
নজরুলের এই গযলটা আমার বুলবুলি দেখলেই মনে পড়ে। হোক আামার নকল গোলাপ তবু সেই গোলাপের জন্যই যে বুলবুলি এসেছে আমার বারান্দায় এটা অতি আনন্দের ব্যাপার।
পাখি নিয়ে জানাশোনা খুবই কম আমার তবু যখন অতিথি হয়ে এসেছে তো অতিথির খোঁজ খবর নিতেই হয়। গুগল করে যৎসামান্য জ্ঞান হলো:
বিশ্বে প্রায় ১৪০টি প্রজাতি থাকলেও বাংলাদেশে আছে ১১টি বুলবুলির প্রজাতি। এর মধ্যে আমার বারান্দায় সংসার সাজিয়েছে সিপাহি বুলবুলি। এরা নিচু গাছেই বাসা বানায় সাধারণত। দুই থেকে পাঁচটি ডিম পাড়ে। এখন তিনটা ডিম আশা করি আরো হবে। স্ত্রী বুলবুলি ডিমে তা দেয় তবে খাদ্য সংগ্রহ করে জোড়া ধরেই। পাকা ফলই প্রধান খাদ্য তবে পোকামাকড়ও খায়। এরা প্রায় আট বছর বাঁচে। চেহারাটা রাগী রাগী হলেও খুব ভদ্র পাখি। যতবারই আমি বারান্দায় যাই ফুড়ৃৎ করে উড়ে গ্রিল গলে গাছের ডালে বসে।
সিপাহি বুলবুল বাদামি ও সাদা রঙের মিশেলে মাঝারি আকারের একটি পাখি। সচরাচর দেখা যায় এমন একটা বুলবুলির মধ্যে সবচেয়ে বড় ও দর্শনীয়। এদের দৈর্ঘ্য কমবেশি ২০ সেন্টিমিটার। ঠোঁট থেকে ঝুঁটি হয়ে পুরো মাথা ও ঘাড়ের কিছু অংশ উজ্জ্বল কালো। পিঠ ও ঘাড়ের বাকি অংশ বাদামি। ঝুঁটি একদম খাড়া। কাঁধ থেকে বুকের দিকে একটি বাদামি অর্ধ-বন্ধনী নেমে এসেছে। থুতনি, গাল ও গলা সাদা।
গালের ও গলার সাদা অংশ একটি হালকা কালো রেখা দিয়ে আলাদা করা। চোখের পেছনে একটি টকটকে লাল কান-ঢাকনি থাকে। এই একমুঠো লাল পালকের জন্যই প্রজাতিটির ইংরেজি নাম রেড হুইস্কার্ড। দেহতল সাদা বা ময়লাটে সাদা। প্রকৃতির বিরূপ প্রভাবের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে টিকে থাকার অসাধারণ ক্ষমতা আছে বুলবুলির। নানাবিধ প্রাকৃতিক ও মানবসৃষ্ট প্রতিক'লতার প্রভাবে পাখিদের বিলুপ্ত হবার হার ক্রমশ বাড়লেও বুলবুলি টিকে আছে সাফল্যের সাথে।
আমার নকল গোলাপে বুলবুলে বাসা আমাকে সত্যিই ভীষণ অবাক করেছে। এপ্রিলের শেষ থেকে জুলাই গোলাপ ফোটার সময়, কাকতালীয় ভাবে বুলবুলিরও এটা প্রজনেনর সময়। এ সময় পুরুষ বুলবুল মাথা ঝুঁকিয়ে, ডানা ঝুলিয়ে এবং লেজ ছড়িয়ে স্ত্রী বুলবুলের মন জয় করার চেষ্টা করে। গোলাপ আর বুলবুলির ভূমিকা ফার্সী উর্দু কবিতায় খুবই উল্লেখযোগ্য। সুফীবাদের আশেক মা'শুকের প্রতীক এই বুলবুলি আর গোলাপ। পুরুষ আর নারী বুলবুলির দৃশ্যত কোনো পার্থক্য চোখে পড়ে না তাই বুলবুলিকে পুরুষ প্রেমিকের প্রতীক আর গোলাপকে নারী প্রেমিকার প্রতীক করা হয়েছে। বুলবুলি আত্মা আর গোলাপ হলো স্রষ্টার প্রতীক। প্রতিটি আত্মা যেমন খোদার সাথে সাক্ষাতের জন্য উদগ্রীব তেমনি বুলবুলিও অস্থির গোলাপের সাথে সাক্ষাতের জন্য।
হায়দার আলী আতিশের গযলে বুলবুলিকে অস্থির প্রেমিকের সাথে তুলনা করা হয়েছে:
ইয়ে আরজু থি তুঝে গুল কে রুবারু কারতে
হাম আউর বুলবুল -এ বেতাব গুফতাগু কারতে
(ইচ্ছে ছিলো তোমাকে গোলাপের মুখোমুখি করি
যেন তোমার মতো অস্থির বুলবুলির সাথে মন খুলে কথা বলতে পারি।)
সুফী কবিতায় বুলবুলের গোলাপের প্রতি এই তীব্র আকাঙ্খাকে তুলনা করা হয় খোদার সাথে আত্মার আকুল আকাঙ্খার রূপক হিসেবে। জার্মান কবি গ্যেটে পারস্যের সুফী কবি হাফিজের দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে দিওয়ান লিখেন। গজলে মুগ্ধ হয়েছিলেন রিলকেও। বুলবুল এবং গোলাপে মুগ্ধ হয়েছিল ভিক্টোরিয়ান যুগের কবিরা। অস্কার ওয়াইল্ডের রোজ এন্ড দ্য নাইটিংগেল ছোট গল্পটি খুবই জনপ্রিয়। গভীর মায়ায় প্রেমিক নাইটিংগেল গোলাপের কাঁটা নিজের বুকে ফুটিয়ে, চাঁদের আলো আর নিজের গানের সুর দিয়ে সারারাত ধরে তৈরি করে একটি গোলাপ।
গোলাপ ফুল বা সৌন্দর্য বা প্রেম হলো অস্থায়ীত্বের প্রতীক। বুলবুলি গান গেয়ে গেয়ে বহু কষ্টে গোলাপ ফোটায় আর সেই ফুল যখন ঝরে পড়ে যায় তখন প্রেমিক আশাহত হয়। প্রেম ক্ষণস্থায়ী, ভঙ্গুর আবার চিরন্তনও। এ দুটোই প্রকাশ করে এই বুলবুল আর গোলাপের ধারণাটি। একটা গোলাপ ঝরে পড়ে তো আরেকটা ফোটে আরেক বুলবুলের গানে। বায়দা ই বুলবুল বা বুলবুলির ডিম ভীষণ উত্তেজনার সৃষ্টি করে গোলাপের বাগানে কারণ এই ডিম ঘোষণা করে নতুন প্রেমিক আসছে।
বুলবুলে অনুবাদ নাইটিংগেল করা হলেও এই দুই পাখি এক নয়। যেহেতু এরা দুজনেই গায়ক পাখি তাই মিল খোঁজা হয়। মীর তকী মীরের কবিতায়-
যিস চামান যার কা হ্যায় তু গুল এ তার
বুলবুল উস গুলিস্তাঁ কে হাম ভি হ্যায়
(যদি তুমি বাগানের গর্বিত ফুল হও
তবে আমিও সে বাগানের বুলবুল)
গালিবের ভাষায়-
কেহতা হ্যায় কৌন নালা এ বুলবুল কো বে আসার
পারদে মে গুল কে লাখ জিগার চাক হো গায়ে
( কে বলে বুলবুলের বিলাপ বৃথা যায়?
গোলাপের রূপ নিয়ে লক্ষ হৃদয় কি ব্যথিত হয় না!)
বুলবুলির পাখি নিয়ে মজার এক গল্প আছে আরবি সাহিত্যে। এটি আব্বাসী খলিফা মানসুরের দরবারের কাহিনী। যদিও আরব্য রজনীর গল্প এটি। খলিফার দরবারে কবিদের খুব আনাগোনা ছিল কারণ মানসুর ভীষণ কবিতা পছন্দ করতেন এবং একবার শুনেই তা মনে রাখতে পারতেন। তার দাসদাসীর মধ্যে এক দাস ছিলো যে, যে কোন কবিতা দুইবার শুনলে এবং আরেক দাসী, যে কোনো কবিতা তিনবার শুনেই মনে রাখতে পারতো। খলিফা একবার ঘোষণা করেন যে তাকে নতুন কবিতা শোনাতে পারবে তাকে তিনি সেই কবিতা যার উপর লেখা হবে সেটার সমপরিমাণ স্বর্ণমূদ্রা দিবেন।
হুলুস্থল পড়ে গেল কবিদের মধ্যে। অনেক পরিশ্রম করে কবিতা লিখে আনেন একেক কবি আর খলিফাকে শোনান। শোনার পরে তিনি বলেন এ কবিতা তো পুরনো, আমার মুখস্থ। বলেই তিনি পুরো কবিতা আবার আবৃত্তি করেন কারণ তার তো একবার শুনলেই মনে থাকে। পর্দার আড়ালে থাকা দাসের ততক্ষণে শোনা হয় দুইবার। খলিফা বলেন, শুধু কি আমার মুখস্থ আরো অনেকেই এটা জানে। ডাকেন সেই দাসকে, দাসও মুখস্থ বলে। এরপর খলিফা ডাকেন সেই দাসীকে যার তিনবার শোনার পর মুখস্থ হয়। এভাবে সব কবিরাই অপদস্থ হতে থাকেন দরবারে। কেউ ভেবেই পান না দিনরাত খেটে যে কবিতা লিখে নিয়ে আসেন তা কিভাবে আগে থেকেই সবার মুখস্থ হতে পারে। এ সময়ের অন্যতম ব্যকরণবিদ ও নামকরা তরুণ কবি আসমায়ী খলিফার এই রহস্য আন্দাজ করতে পারেন। তিনি এবার সম্পূর্ণ নতুন ছন্দের কবিতা রচনা করেন এবং খলিফার দরবারে যান। সওতু বুলবুল বা বুলবুলের আওয়াজ নামে কবিতাটায় একই শব্দ বারবার অনুরণিত হয়েছে খুব কৌশলে। কারো পক্ষেই এটা এক দুইবার শুনে মনে রাখা সম্ভব না। যার ভাবার্থটা এমন:
"শিষ দিয়ে যায় আমার বুলবুল
আমার মাতাল হৃদয় উত্তজিত হয়
আপনি আমার নেতা
আমার অভিভাবক আমার প্রভু!
আমি মাওসুলের উজ্জল সাহিত্যিক
আমি এমন কবিতা রচনা করি
যা মানুষকে বিমুঢ় করে দেয়।
আমি শুরুই করেছি বুলবুলের শিষে দিয়ে।"
এ কবিতায় অর্থের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এর সুর আর ছন্দ। শব্দের ঝংকার আর অভিনব শব্দের ব্যবহার। আসমায়ী কোনো অর্থপূর্ণ কবিতার চেয়ে জোর দিয়েছেন গোলমেলে শব্দের ব্যবহারের প্রতি, কারণ তার উদ্দেশ্য তো অতি চালাক খলিফাকে বোকা বানানো।
খলিফা হতবাক এমন কবিতা শুনে, স্বীকার করতে বাধ্য হলেন এমন কবিতা আগে কখনোই শোনেননি। যথারীতি ডাকলেন তার দাস এবং দাসীটিকে। তারাও একবাক্যে স্বীকার করলো জীবনে এমন কবিতা শোনার সৌভাগ্য তাদের হয়নি। এবার পুরস্কার দেবার পালা। কবিদের বোকা বানিয়ে এতদিন খলিফা বিনা হাদিয়ায় নতুন নতুন কবিতা শুনে আনন্দ নিতেন কিন্তু আজ তো তার পরাজয়ের দিন। খলিফা নির্দেশ দিলেন, আসমায়ী যে কাগজের বা পাতার উপর কবিতাটা লিখেছে সেই ওজনে তাকে স্বর্ণমূদ্রা দাও।
আবারও সবাইকে হতভম্ব করে দিয়ে আসমায়ী বললেন, আমিরুল মু'মেনীন আমি তো এই কবিতা কোনো কাগজে বা পাতায় লিখিনি। আমি এটি লিখেছি মার্বেল পাথরের উপর যা বহন করতে আপনার চারজন সৈন্য লাগবে। সেই পাথর ওজন করে যে পরিমাণ স্বর্ণমূদ্রা হলো তা কোষাগারে নেই। তাহলে কি উপায়? আসমায়ী বললেন একটি শর্তে তিনি এই মূদ্রার দাবী ত্যাগ করতে পারেন আর তা হলো খলিফা অবশ্যই নতুন কবিতা আনা সকল কবিকে প্রাপ্য অনুযায়ী স্বর্ণমূদ্রা দিবেন। এভাবেই খলিফা মানসুর পরাজিত হন কবি আসমায়ীর বুদ্ধিমত্তার কাছে।
বুলবুলি পাখি বাচ্চাদের গানেও আছে। লাল টকটকে শিমুল গাছে বুলবুলিদের রাজত্ব। শিমুল ফুলের মধু তাদের খুব প্রিয়।
গুগল করে আরো জানলাম বুলবুলিকে লড়াকু পাখি বলা হয়। এদের পোষা হতো লড়াই করানোর জন্য। রাজা বাদশাদের আমলে এদের ভালো কদর ছিলো। এখনো ঝাড়গ্রামে মকরসংক্রান্তির দিনে বুলবুলি লড়াই হয় এবং হাজার হাজার মানুষ তা দেখতেও আসে। লড়াইয়ের আগের দিন থেকে পাখি দুটোকে না খাইয়ে রাখা হয় আর লড়াইয়ে দেয়া হয় কলা। যেটা দখলের জন্য দুই পাখি লড়াই করে। পরাজিত পাখিটির ঝুঁটি কেটে দেওয়া হয়।
ডিম ফুটে বাচ্চা ফোটার এখনো বেশ কয়েকদিন বাকি। এখন আমি ভয়ে আছি কাক আর বিড়ালের। আগে যখন বাসায় অসংখ্য কবুতর ছিলো, প্রায়ই কাক এসে কবুতরের ডিম বা সদ্যফোটা বাচ্চাকে নিয়ে যেত। বারান্দাতে কাকের আনাগোনা কম না এখন। বিড়াল আমার কাছে ভয়ের একটা প্রাণী। এই আতঙ্ক আমি কাটাতে পারিনা। একবার আমাদের আমড়া গাছের নীচে একটা আহত বাচ্চা টিয়ে পাখি কুড়িয়ে পেয়েছিলাম। কাকের আঘাতে আহত ছিলো। বহু যত্নে তাকে সারিয়ে তুলেছিলাম। কলা খেয়ে যখন একটু নাদুসনুদুস তখন এক রাতে বিড়াল ওকে খেয়ে ফেলে। বুলবুলির ডিম আসার পরে একদিন দেখি এক কুচকুচে বিড়াল আমার রুমে হাজির। সিঁড়ি দিয়ে আমার রুম পর্যন্ত আসা অনেক কঠিন কিন্তু ঠিকই সেদিন বিড়াল আসে দরজা খোলা পেয়ে।
একদিন ভুল করে বারান্দায় বড় বড় দুটো লাইট জ্বালানো ছিল অনেক রাত পর্যন্ত। যখন খেয়াল হলো এসে দেখি পাখিটি তখনো বাইরে ডালে।
বুলবুল পাখি ময়না টিয়ে
আয় না যা না গান শুনিয়ে...