বাংলায় প্রথম সাহিত্য পুরস্কার
হেমেন্দ্র মোহন বসু ছিলেন অনন্য মানুষ। রুচিসম্পন্ন, প্রতিভাবান এই উদ্যোক্তার ছিল সুগন্ধি তৈরির ব্যবসা। সেইসাথে ছিল একটি প্রিন্টিং প্রেস আর একটি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান। ভারতবর্ষের প্রথম বাইসাইকেল কারখানাএবংপ্রথম গ্রামোফোন রেকর্ড উৎপাদন কোম্পানির মালিকও ছিলেন হেমেন্দ্র বসু। এছাড়াও একটিমোটরকারকোম্পানির মালিকানাও ছিল তার। উপমহাদেশের রঙিন ফটোগ্রাফির পথিকৃতদের একজন ছিলেন তিনি।
তবে হেমেন্দ্র মোহন বসুকে বাঙালি ব্যবসায়ী সম্প্রদায় যতটা না মনে রেখেছে, তার চেয়ে বেশি মনে রেখেছে বাঙালি সাহিত্যিক সমাজ--বাংলার প্রথম সাহিত্য পুরস্কারের প্রবর্তক হিসেবে। উনিশ শতকের শেষ দিকে নিজেরসুগন্ধি চুলের তেলের নাম অনুসারে 'কুন্তলীন পুরস্কার' নামে একটি সাহিত্য পুরস্কার প্রবর্তন করেন তিনি। কাজটি তিনি করেছিলেন মূলত বিজ্ঞাপন হিসেবে। পুরস্কারটি অল্পদিনের মধ্যে বাংলার উদীয়মান এবং প্রতিষ্ঠিত, উভয় সাহিত্যিক মহলেই জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।
হেমেন্দ্র বসু ছিলেন অত্যন্ত বিচক্ষণ কিন্তু খেয়ালি ব্যবসায়ী। তার ব্যবসার মূল ভিত্তি ছিল সেসময়েরবৈজ্ঞানিকঅগ্রগতি ও উদ্ভাবন।
ইতিহাসবিদ মাইকেল কিন্নার তাঁর 'দ্য গ্রামোফোন কোম্পানি'স ফার্স্ট ইন্ডিয়ান রেকর্ডিংস ১৮৯৯-১৯০৮' (১৯৯৪) বইয়ে লিখেছেন, হেমেন্দ্র মোহন বসুর জন্ম ১৮৬৪ সালে বাংলার ময়মনসিংহ জেলার জয়সিদ্ধি গ্রামে।স্কুলের পড়াশোনার পাট চুকানোর পরতিনি কলকাতায় মেডিকেল কলেজে ভর্তি হন।কিন্তু একটি গুরুতর ল্যাব দুর্ঘটনার কারণে তার দৃষ্টিশক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ দুর্ঘটনার পর তিনি চিকিৎসা পেশা ছেড়ে দেন।
মাত্র ২৬ বছর বয়সে হেমেন্দ্র বসু ভাবলেন, আটপৌরে চাকরিবাকরি করে নীরস জীবনযাপন করার কোনো মানে হয় না। তার মাথায় তখন নানা আইডিয়া গিজগিজ করছে।যেমন ভাবা, তেমনি কাজ--ব্যবসা করতে নেমে পড়লেন তিনি। ১৮৯০ সালে ২৪, মুসলমানপাড়া লেনে তেল তৈরির কারখানা স্থাপন করলেন। শিগগিরই তিনি আরও পণ্য ছাড়লেন বাজারে। এসবের মধ্যে ছিল জনপ্রিয় দেলখোস সুগন্ধি, তাম্বুলীন পান মশলা এবং বেশ কয়েক ধরনের ফলের শরবত।
পরবর্তীতে বসু ৫ শিবনারায়ণ দাস লেনের একটি বাড়িতে উঠে যান। কারখানা স্থানান্তরিত করেন ৬২ বউবাজার স্ট্রিটে। ৫২ অ্যামহার্স্ট স্ট্রিটে বাড়ি কেনার পর ৫ শিবনারায়ণ দাস লেনের বাড়িটা তিনি ছাপা ও প্রকাশনার কাজে ব্যবহার করতে আরম্ভ করেন। তার এই ছাপাখানাটির নাম ছিল কুন্তলীন প্রেস। বিখ্যাত মাসিক পত্রিকা 'প্রবাসী'র বেশ কয়েকটি সংখ্যা এ প্রেস থেকে ছাপা হয়।
ব্যবসায় সফল হওয়ার পর হেমেন্দ্র বসু পণ্য ব্র্যান্ডিংয়ের গুরুত্ব উপলব্ধি করতে পারেন। প্রতিদ্বন্দ্বীদের পণ্য বাজারে বেশি চললেও হেমেন্দ্রর বিজ্ঞাপনের স্বকীয় ধরন তাকে অন্যদের থেকে আলাদা করে। 'প্রবাসী', 'আনন্দবাজার পত্রিকা'র মতো সুখ্যাত সব পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতেন তিনি।
চন্দক সেনগুপ্ত তার 'দ্য রায়স বিফোর সত্যজিৎ' বইয়ে লিখেছেন:
'তার বিজ্ঞাপনে কোনো দেব-দেবী কিংবা অবতার থাকত না। বিজ্ঞাপনের মানুষগুলোও সিংহভাগই ছিল ভারতীয়। তার বিজ্ঞাপনের নারীদের থাকত লম্বা ও সুন্দর চুল। সুরেন্দ্রনাথ ব্যানার্জি, লালা লাজপত রায়, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মতো বিখ্যাত মানুষের ছবিও ব্যবহার করা হতো বিজ্ঞাপনে। হেমেন্দ্রর বিজ্ঞাপনগুলোর জন্য দারুণ সব ছবি এঁকে দিতেন তার জ্যেষ্ঠ পুত্র হিতেন্দ্রমোহন (১৮৯৩-১৯৬৩) এবং চিত্রশিল্পী পূর্ণচন্দ্র ঘোষ (১৮৮৫-১৯৪৯)। বাণিজ্যিক শিল্পকর্মকে রুজিরোজগারের মাধ্যমে পরিণত করেছিলেন এই দুজন।'
দুঃখের ব্যাপার হলো, এসব বিজ্ঞাপনের প্রায় কোনোটার নমুনাই এখন অবশিষ্ট নেই। সামান্য কিছু বিজ্ঞাপন টিকে আছে সংগ্রাহকদের কাছে। মাঝে মাঝে এসব দুর্লভ সংগ্রহের প্রদর্শনীর আয়োজন করেন তারা। বসু অন্যান্য ধরনের বিজ্ঞাপন নিয়েও পরীক্ষানিরীক্ষা চালিয়েছেন। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, ট্রাম গাড়িতে পোস্টার সাঁটিয়ে বিজ্ঞাপন দিতেন তিনি।
হেমেন্দ্র বসু সম্ভবত নিজের তেল উৎপাদন এবং তার প্রচারণা চালানো উপভোগ করতেন। সবসময়ই নিত্যনতুন বিজ্ঞাপনের কৌশল উদ্ভাবন করতেন তিনি। অন্যান্য কোম্পানি যখন নিজেদের পণ্যের জন্য নানা ধরনের প্রশংসা বাক্য ব্যবহার করত, হেমেন্দ্র বসু ব্যবহার করতেন অভিনব এক জিঙ্গেল। সেই জিঙ্গেলটি এখনও বাংলা সাহিত্যের সমঝদারদের মধ্যে বেশ জনপ্রিয়। জিঙ্গেলটি হলো:
'কেশে মাখো কুন্তলীন/
রুমালেতে দেলখোস
পানে খাও তাম্বুলীন,
ধন্য হোক এইচ বোস'।
কুন্তলীন চুলের তেলের প্রচারণার জন্য আরেকটি কৌশল অবলম্বন করতেন হেমেন্দ্র বসু--স্বদেশপ্রেমের আবেগ। বসু তার বিজ্ঞাপনে ইশারা-ইঙ্গিতে বলতেন, যারা বিদেশি পণ্য ব্যবহার করতেন, তাদের মধ্যে 'আত্মসম্মানবোধে'র অভাব আছে।
তবে হেমেন্দ্র বসুর মাস্টারস্ট্রোক ছিল 'কুন্তলীন' নামের একটি ম্যাগাজিন প্রকাশ। এই ম্যাগাজিনের মাধ্যমে তিনি বাংলা সাহিত্যকে ব্যবহার করে শিক্ষিত বাঙালি সমাজের কাছে নিজের পণ্য পৌঁছে দেন।
তবে লেখকদেরকে একটি শর্ত দেওয়া থাকত--গল্প লেখার সময় 'কুন্তলীন' চুলের তৈল কিংবা 'দেলখোস' শব্দগুলো এমনভাবে ব্যবহার করতে হবে যেন সেসবে বিজ্ঞাপনের গন্ধও যাতে না থাকে। 'তবে সে গল্প লেখার একটি বিশেষ শর্ত ছিল, 'গল্পের সৌন্দর্য কিছুমাত্র নষ্ট না করিয়া কৌশলে কুন্তলীন এবং এসেন্স দেলখোসের অবতারণা করিতে হইবে, অথচ কোনো প্রকারে ইহাদের বিজ্ঞাপন বিবেচিত না হয়।' উনিশ শতকের প্রেক্ষাপটে এটি ছিল অসাধারণ বিজ্ঞাপন-কৌশলের উৎকৃষ্ট নজির।
প্রথম কুন্তলীন পুরস্কার ঘোষণা করা হয় ১৮৯৬ সালে। এবারও বসু জাতীয়তাবাদের আবেগ পুঁজি করেন বিজয়ী গল্প বাছাই করবার জন্য। বিদেশি লেখকদের থেকে অনুপ্রাণিত কিংবা নকল করা গল্পগুলোকে পত্রপাঠ বাতিল করে দিয়েছিলেন। অন্যদিকে, বিদেশি প্রভাববর্জিত এবং অভিনব প্লটের গল্পগুলোকে গুরুত্ব দিয়েছিলেন বেশি। এমনকি গল্পগুলোর লেখনশৈলী খারাপ হলেও ওগুলোই বেশি গুরুত্ব পেত।
বিশ শতকের শুরুর দিকে শিক্ষিত বাঙালিদের মাঝে কুন্তলীন পুরস্কার দারুণ জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। অনেক লেখকই, যারা পরবর্তীতে জনপ্রিয় হন, 'কুন্তলীন' পত্রিকায় তাদের গল্প ছাপান। প্রতি বছরের পুরস্কারের জন্য মনোনীত গল্পগুলো নিয়ে আলাদা বইও প্রকাশ করতেন হেমেন্দ্র বসু। এতে করে তার কোম্পানির সমস্ত পণ্যের নাম, বিশেষ করে কুন্তলীন, প্রায় প্রতি ঘরেই পরিচিত হয়ে ওঠে।
বিখ্যাত বিজ্ঞানী ও লেখক জগদীশ চন্দ্র বসু অন্যান্য অনেক লেখকের মতোই ছদ্মনামে নানা ম্যাগাজিনে লিখতেন। বাংলা ভাষায় প্রথম কল্পবিজ্ঞান কাহিনি 'নিরুদ্দেশের কাহিনি' তারই লেখা। এ গল্পের কাহিনি শক্তিশালী এক ঘূর্ণিঝড় নিয়ে। ঘূর্ণিঝড়টির কারণে কলকাতা ধ্বংস হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দেয়। জনমনে ভয় যখন তুঙ্গে, তখনই আচমকা ঘূর্ণিঝড়টি উধাও হয়ে যায়। এ উধাও-রহস্যেরউত্তর আছে কেবল কুন্তলীন চুলের তেল ব্যবহারকারী নায়কের কাছে। ঘূর্ণিঝড়ের আবির্ভাবের সময় সে ছিল জাহাজে।গল্পের শেষ দিকে দেখা যায়, জাহাজটি ঘূর্ণিঝড়ের কবলে পড়ার পর নায়ক নিজেকে বাঁচাবার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে।তখনই তার মনে পড়ে, বইয়ে পড়েছিল যে তেল পানিতে ভাসে।কথাটা মনে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে সে তার সঙ্গে থাকা কুন্তলীন তেল ছুড়ে মারে পানিতে। ওটা ফেলার সাথে সাথে ঘূর্ণিঝড় থেমে যায়, বেঁচে যায় জাহাজের সবাই। গল্পটি একটু বেশিই কষ্টকল্পিত মনে হওয়ায় জগদীশচন্দ্র ওটাকে একটু পরিমার্জিত করে ১৯২১ সালে আবার প্রকাশ করেন। প্রসঙ্গত, জগদীশচন্দ্র বসু সম্পর্কে ছিলেন হেমেন্দ্র বসুর মামা।
আরও অনেক বিখ্যাত লেখকই এই ম্যাগাজিনে লেখেন। পরের বছর কুন্তলীন পুরস্কার জেতেন ঔপন্যাসিক প্রভাত কুমার মুখোপাধ্যায়। তিনি লিখতেন রাধামনি দেবী ছদ্মনামে।শুধু বিখ্যাত লেখকরাই নন, অনেক নবাগত লেখকই কুন্তলীন পুরস্কার বগলদাবা করে নেন।শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের প্রথম গল্পও, ১৯০২ সালে, প্রকাশিত হয়েছিল 'কুন্তলীন' পত্রিকায়। 'মন্দির' নামের গল্পটি তিনি লিখেছিলেন ছদ্মনামে।
১৯০৩ সালে হেমেন্দ্র বসু 'কুন্তলীন'-এর একটি বিশেষ সংখ্যা বের করেন। সংখ্যাটিতে মাত্র একটি গল্প ছাপা হয়েছিল, আর কোনো লেখা ছাপা হয়নি। গল্পটি লিখেছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। এ সংখ্যায় পূর্ণচন্দ্র ঘোষের আঁকা কিছু ছবিও ঠাঁই পেয়েছিল।
'কুন্তলীন' পত্রিকায় ছাপা গল্পগুলো নিয়ে ১৯৮৯ থেকে ১৯৯৬ সালের মধ্যে গল্প সংকলন ছাপা হলেও, বর্তমানে এ ম্যাগাজিনের কোনো সংখ্যার কপি পাওয়া প্রায় অসম্ভব।
হেমেন্দ্র বসু অন্য আরও কিছু ব্যবসাতেও পথিকৃৎ হিসেবে সমাদৃত। ১৯০০ সালে তিনি গ্রেট ইস্টার্ন মোটর কোং-এর পত্তন করেন। এছাড়াও কলকাতার পার্ক স্ট্রিটে গ্রেট ইস্টার্ন মোটর ওয়ার্কস নামে কোম্পানিটির গাড়ি মেরামত ইউনিট স্থাপন করেন। হেমেন্দ্র সাইকেল আমদানি করে উপমহাদেশে সর্বপ্রথম ভারতীয় মালিকানাধীন প্রথম সাইকেল কোম্পানি এইচ. বোস অ্যান্ড কোং প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিষ্ঠানটির শোরুম খোলা হয়কলকাতার ৬৩-১, হ্যারিসন রোডে।ভারতে রঙিন ফটোগ্রাফির পথিকৃতদের একজন ছিলেন হেমেন্দ্র বসু। তাকে ভারতীয় সাউন্ড রেকর্ডিংয়ের জনকও বলা হয়। অটোক্রোম লুমিয়ের স্লাইড ব্যবহার করে রঙিন ছবির প্রচলন করেছিলেন তিনি।১৯০০ সাল নাগাদ তিনি একটি 'এডিসন ফোনোগ্রাফ' আনিয়ে ব্যক্তিগত উদ্যোগে কিছু বন্ধু এবং সে কালের বিখ্যাত কিছু শিল্পীর গান মোমের সিলিন্ডারে রেকর্ডবন্দি করেছিলেন। তার সেসব বন্ধুদের মধ্যে ছিলেনজগদীশচন্দ্র বসু, প্রফুল্লচন্দ্র রায়, সুরেন্দ্রনাথ মৈত্র, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, দ্বিজেন্দ্রলাল রায় প্রমুখ।
ধর্মতলা স্ট্রিটে (বর্তমান লেনিন সরণি) তিনি 'টকিংমেশিন হল' খোলেন। ওখানে গিয়ে সবাই নিজের কণ্ঠস্বর বা গান রেকর্ড করতে পারত। তিনি ফোনোগ্রাফের প্রথম বিজ্ঞাপন প্রকাশ করেন ১৯০৬ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তার অনেকগুলো গানই সিলিন্ডারের রেকর্ডে করা হয়েছিল। ১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গের সময় হেমচন্দ্র বসু অনেক রাজনৈতিক বক্তৃতা ও গান এ যন্ত্রে রেকর্ড করেছিলেন। আন্দোলনের সময় রবীন্দ্রনাথ এবং দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের গাওয়া দেশাত্মবোধক গান ঘরে ঘরে পৌঁছে দিয়েছিল হেমেন্দ্রমোহনের মোমের তৈরি সিলিন্ডার রেকর্ড। সিলিন্ডার রেকর্ডেই রবীন্দ্রনাথ রেকর্ড করেছিলেন যদুভট্টের সুরে বন্দেমাতরম। রবীন্দ্রনাথের ছেলে রথীন্দ্রনাথ 'পিতৃস্মৃতি'তে তার পিতা ও হেমেন্দ্র বসুর মধ্যকার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক নিয়ে লিখেছেন। দুঃখজনকভাবে এসব মূল্যবান নথিপত্রের কোনোটাই আর টিকে নেই।
হেমেন্দ্র মোহন বসু দাঁতে সংক্রমণের ফলে ১৯১৬ সালের ২৬ আগস্ট মারা যান। ৫২ অ্যামহার্স্ট স্ট্রিটে তার বাড়িটি আজওআড়ম্বরহীন অবস্থায় টিকে আছে। বাড়িটি যে বাংলা সাহিত্যের প্রথম সাহিত্য-পুরস্কার প্রবর্তকের, তা নির্দেশ করার জন্য সড়কটিতে কোনো ফলক বা ভাস্কর্য নেই। ভারতবর্ষে আজ বহু সাহিত্য-পুরস্কার থাকলেও, বর্তমান সাহিত্য-পুরস্কারদাতারা তাদের আদিপুরুষের কথাই বিস্মৃত।
- অনুবাদ: মারুফ হোসেন