বঙ্গদেশের ছড়িয়ে থাকা ভূতুড়ে রেলস্টেশন
বঙ্গদেশের ছড়িয়ে থাকা রেলপথগুলো যেন ভূত সম্প্রদায়ের আড্ডাখানা! পুরুলিয়া জেলার বেগুনকোদর-এর কথাই যদি বলি - ভারতের একমাত্র ভূতুরে স্টেশন, যাকে ১৯৬৭ সালে এর স্টেশন মাস্টাররা এবং অন্যান্য কর্মীরা পরিত্যক্ত ফেলে চলে গিয়েছিল। প্রায় অর্ধ শতাব্দী তাড়িয়ে বেড়ানোর পরেও বেগুনকোদরের নিকষ অন্ধকার যেনো একরকম ঘণিভূত।
ঔপনিবেশিক আমলের সঙ্গে বাংলার দ্বিপাক্ষিক যে গাঁটছড়া তা কল্পনার মতো মনে হলেও কালে কালে যেনো সত্য হয়ে উঠেছে। এই বঙ্গদেশই ভারতীয় উপমহাদেশের এমন একমাত্র ভূখণ্ড যেখানে পাঁচটি ইউরোপীয় ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি কাছাকাছি সময়ে তাদের বসতি স্থাপন করেছিল। ফরাসিরা চন্দননগরে, ওলন্দাজরা চিনসুরায়, শ্রীরামপুরে দিনেমার, চট্টগ্রামে পর্তুগিজ এবং ব্রিটিশরা কলকাতা, হুগলি এবং আরও দুয়েকটি জায়গায় উপনিবেশ গড়ে তোলে। ১৮৪০-এর দশকে, স্টিফেন রোল্যান্ড ম্যাকডোনাল্ড তদানিন্তন শিল্পপতি দ্বারকানাথ ঠাকুরের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় বঙ্গদেশে ভারতীয় রেলপথ স্থাপনের প্রাথমিক পরিকল্পনাটি হাতে নেন, যার ফলশ্রুতিতে বঙ্গীয় রেলওয়ের গ্রেট ওয়েস্টার্ন এবং ইস্ট ইন্ডিয়ান রেলওয়ে সংস্থাগুলি কাজ শুরু করে। সভ্য সমাজে নিজেদের ঠাঁই খুঁজে না পেয়ে, পূর্ববর্তী উপনিবেশের ভূত সম্প্রদায় বাংলার রেলপথ এবং বাংলা সাহিত্যেও আশ্রয় খুঁজে নিল, এবং যা এখনও এই এক শতাব্দীরও বেশি সময় পরে এসেও জারি আছে।
দ্য ডপেলগ্যাঞ্জার এফেক্ট
সত্যজিৎ রায়ের 'অনাথ বাবুর ভয়' (১৯৬২)-এর পাঠকরা মনে করতে পারবেন যে, গল্পের কথক রঘুনাথপুরগামী ট্রেনে উঠে পড়বে এবং সে যাত্রায় প্রথমবারের মতো অনাথ বন্ধু মিত্রের সাথে তার দেখা হবে। মিত্রবাবু তখন মঞ্চাভিনয়ের জন্য পুরানো কেতার কোট এবং বুটসমেত সাজ নিয়ে বসে আছেন– যা মূলত একটি সার্থক ভূতের গল্প বলার পক্ষে মোক্ষম চিত্রায়ন। ভূতেরা মিত্রবাবুর আধিভৌতিক যমজ বা দ্য ডপেলগ্যাঞ্জার এফেক্ট এবং নানান অলৌকিক বিষয়-আশয় সম্পর্কে ঝানু হওয়ার কারণে তিনিও তাদের বেশ ঘনিষ্ঠভাবেই জানেন।এক পর্যায়ে তিনিও ভূত বনে যান। রঘুনাথপুরের ভুতুড়ে আবহ কোনও ইউরোপীয় ভূত দ্বারা নয় বরং হালদার পরিবারের রক্তাক্ত ইতিহাস দ্বারাই ঘণিভূত হয়, যে হালদার পরিবার একদা ব্রিটিশ বাংলার জমিদার ছিলেন। বাংলায় রাজমহলের গুপ্তহত্যাগুলো প্রায়শই এমন বর্ণনার দিকে পরিচালিত করে যেখানে ভুতুড়ে কর্মকাণ্ডসমুহ ঘটে রাজ্যপাট বা সম্পত্তি হাতছাড়া হওয়ার লোভে বা ভয়ের বশবর্তী হয়ে, যেমন আর্থার কোনান ডয়েলের দ্য হাউন্ড অফ দ্যা বাস্কারভিল এবং এ-র বাংলা চলচ্চিত্রায়ন জিঘাংসা (১৯৫১)।
অবশ্য সত্যজিৎ রায়ের গল্প 'প্রথম শ্রেণীর কামরা '(১৯৮১)-য় একজন ব্রিটিশ ভূতও হাজির হয়েছেন। গল্পের প্লটটি রেলগাড়ির বগিতে মেজর ডেভেনপোর্টের ভূতের মাধ্যমে ঘণিভূত হয়ে ওঠে। গল্পের রঞ্জন কুন্ডু, লন্ডন থেকে ফিরে এসে ভারতকে বেশ বিদ্রোহী বাতাবরণে দেখতে পেয়েছিল, সে দেখতে পায় ব্রিটিশ আমলের গড়ে দেওয়া স্বাচ্ছন্দ্য ও বিলাসব্যসনের সঙ্গে কি নিদারুণ বিনিময় ঘটছে ভর্তুকি আর অবহেলায়ভরা একটি সেবা। বোম্বে মেইল-এর প্রথম শ্রেণীর কামরায় ভ্রমণ করার সময় তার মনে পড়ে কেলনার-এর চিকেন কারি, সুস্বাদু চালের ভাত এবং অমৃতসম কাস্টার্ড পুডিংয়ের কথা। মদির আলোকসজ্জা, অনবদ্য চামড়াআটা গদি এবং চকচকে কলি ফোটানো আসবাবের আবহে, কুণ্ডু একটি গোয়েন্দা উপন্যাস বের করে পড়তে পড়তে ঘুমিয়ে পড়ে। যখন জেগে উঠে, দেখে যে তার বগিটি প্ল্যাটফর্মের ম্লান আলোয় নিমগ্ন। কামরায় একজন সহযাত্রীকে বসা দেখে চমকে উঠলেন, সহযাত্রীর মুখমণ্ডলটি নিকেল-রঙা, ছোট ছোট চুমুকে হুইস্কি পান করছে। কুণ্ডুর সাড়া পেয়ে, সাহেবকেতার লোকটি, তাকে বগি থেকে নেমে যাওয়ার জন্য আদেশ দেয় এবং তাকে 'নোংরা নিগ্রো' বলে অভিহিত করে।
ডেভেনপোর্টের ভূতসত্তা ১৯৩২ সালেই আটকে আছে এবং তার কাছে বৃটিশরাজ এখনও অজেয়-অমর। মেজর ডেভেনপোর্ট রঞ্জন কুন্ডুর অ্যাংলোফিলিয়ার চরম দশা - ১৯৩০-এর দশকে ঘটে যাওয়া একটি ঘটনার রেশ যেখানে পাওয়া যায়, সে সময় রেলের বগিতে এক বাঙালি যাত্রীর সাথে বাকবিতণ্ডায় জনৈক ব্রিটিশ সেনা অফিসার মারা গিয়েছিলেন। যাই হোক, সে-রাতে অপমান সয়ে কুন্ডু বাবু বগি ছেড়ে বেরিয়ে যান এবং পেল্লায় বগিতে মেজরের ভূত সারা রাত সূরা পান করে। ভোরবেলায়, রেলগাড়িটি টাটানগর স্টেশন ছাড়িয়ে আসার পরপরই কুন্ডু বাবু রাতের বগিটি খুঁজতে নামেন এবং দেখেন যে সেখানে তখন সাহেবটি নেই। বহু বছর পরে কলকাতায়, বন্ধু পুলকেশ সরকার তাঁর কাছে স্বীকার করেন যে মেজর ডেভেনপোর্টের চরিত্রটি বস্তুত বানানো অর্থাৎ নাটুকে চরিত্র এবং গল্পটি স্রেফ কুন্ডু বাবুর দাম্ভিকতাকে চুরচুর করে দেবার নিমিত্তে ফাঁদা হয়েছিল।
সত্যজিত রায়ের আরেকটি গল্প 'রতন বাবু আর সেই লোকটা' নার্সিসাসের পৌরাণিক গল্পেরই একটি প্রাণবন্ত রূপান্তর। এটিও এমন আরেকটি গল্প যা রেলওয়ে স্টেশন ঘিরেই শুরু হয়। কলকাতা থেকে একটু দূরে টাটানগরেরই নিকটবর্তী এক প্রাদেশিক রেলওয়ে স্টেশন সংলগ্ন শহরে হাওয়া বদলে আসেন রতন লাল। রতন লাল ভারতের ভূতাত্ত্বিক জরিপের একজন কর্মচারী যিনি প্রায় কোনও সামাজিকতার ধার ধারেন না। তো অবকাশ যাপনের সময় রতন বাবু এমন এক ব্যক্তিকে আবিষ্কার করেন, যার নাম মণি লাল, দেখতে অবিকল তারই মতো, একই বয়সের, একই রকম স্বভাব এবং কণ্ঠস্বর, মাস শেষে রতন বাবু ঠিক যতো টাকা মাইনে পান, এই মণি লালও তা-ই পান। এক ক্ষয়াটে দূপুরে তারা একসাথে কোনও একটা উদ্দেশে রওয়ানা দেয়। রতন বাবু যতোই তার দেখতে যমজ মানুষটির সাথে ঘনিষ্ঠ হতে লাগলেন, ততোই তিনি হতাশায় নিমজ্জিত হতে শুরু করেন। একসময় তিনি মণি লালকে ওভার ব্রিজ থেকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেন - একটি দ্রুতগামী ইঞ্জিনের চাকায় দেহবসান ঘটে মণি লালের। পরের বার রতন বাবু একা ঠিক একই জায়গা দিয়ে ফিরছিলেন, একটি অদৃশ্য হাত তাকে ধাক্কা দেয় অথবা একটি অনিয়ন্ত্রিত কল্পনা তাকে অতল গহ্বরে ডুবিয়ে দেয় এবং রতন বাবুও রেল ইঞ্জিনের চাকার নীচে পিষ্ট হয়ে মারা যান।
ভূতের ঘ্রাণ
বেগুনকোদরের গল্পে ফিরে আসি। কিংবদন্তিটি এমন যে, ওই স্টেশনের স্টেশনমাস্টার একদিন শাদারঙা শাড়ি পড়া এক নারীকে স্টেশন চত্বরে ঘুরে বেড়াতে দেখেন। নারীটি এরপর বেশ কয়েক রাত ধরেই স্টেশনের আশে-পাশে দেখা দিতে থাকে। মাত্রাতিরিক্ত ভয়ের চোটে স্টেশন মাস্টার মারা যান। তার পরবর্তী যে স্টেশনমাস্টার এলেন তিনিও সহসা চাকরিতে ইস্তফা দিয়ে পালান এবং তাঁর সাথে সাথে স্টেশনের অন্যান্য কর্মীরাও পালিয়ে যান। সেই থেকে এই স্টেশনটি পরিত্যাক্ত হয়ে থাকে এবং রেলওয়ের নথিতে দাপ্তরিকভাবে এই গত দশক অবধি এই স্টেশনে কোনও স্টপেজ রাখা ছিল না। তবে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন বিষয়টিকে উড়িয়ে দিয়ে পুনরায় স্টেশন চালুর আদেশ দেন কেবল তখন থেকে বেগুনকোদরে আবারও ট্রেন থামতে শুরু করে।
সত্তরের দশকে, সৈয়দ মুস্তফা সিরাজের ছোট গল্প 'স্টেশনের নাম ঘুম-ঘুমি' দারুণ সাড়া জাগায়, যদিও গল্পটির নাম দার্জিলিংয়ের নিকটবর্তী ঘুম স্টেশন থেকে আহরিত বলেই মনে করা হয়। গল্পের কথক কলকাতার একজন স্নাতক, যে তার অরুণ মামার সঙ্গে দেখা করতে প্রত্যন্ত জনপদ ঘুম-ঘুমে আসে, এই মামা আবার স্থানীয় রেলওেয় স্টেশনের স্টেশনমাস্টার। অরুণ মামা শুরুতেই ভাগনেকে হুঁশিয়ারি করে দেন যে আসলে এমন কতকগুলো বিষয় আছে যা ঘুম-ঘুমির লোকেরা প্রায়শই দেখে থাকে অথচ বাস্তবে যার কোনও অস্তিত্ব নেই। এর প্রথম দলিল হলো মঞ্জু নামের এক অল্প বয়সী মেয়ের ভূত, যে ট্রেনের চাকার তলায় কাটা পড়েছিলো।
লোকেরা তাকে প্রায়ই এক নির্জন ঝাঁকড়া গোলাপ গাছের কাছে দেখতে পায়, কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হলো মঞ্জু মারা যাওয়ার পর থেকে ওই গোলাপ ঝাড়টি তার কড়া-মনকাড়া সুবাস হারিয়ে ফেলে! অরুণ মামা জানান যে মঞ্জু আদতে ভূত, তার অ্যাংলো-ইন্ডিয়ান বাবা ছিলো ঘুম-ঘুমির স্টেশনমাস্টার এবং ঘুম-ঘুমিতে যতো ট্রেন থামে তার সবই ভুতুড়ে ট্রেন। অনেক পরে, গল্পের কথকও আবিষ্কার করে যে তার মামা এবং স্টেশনের সহকারীও আদতে ভূত! গল্পটি বেগুনকোদর কিংবদন্তির সাথে বেশ মিলে যায়, যেখানে স্টেশনমাস্টার এবং স্টেশনমাস্টারের মেয়ে উভয়েরই মৃত্যু হয়েছে বলে সন্দেহ করা হয়েছে, সন্দেহজনকভাবে মৃত্যু দুটি রেলস্টেশনের অদূরেই ঘটে।
শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের গল্প 'গন্ধটা খুব সন্দেহজনক'-এ একটা গোটা ভূতেদের কলোনির কথা পাই যাদের তিনি 'ওরা' হিসেবে অভিহিত করেন। গল্পে দেখতে পাই, ব্রিটিশ আমলে প্রতিষ্ঠিত ডোমোহনী শহরের ভূতেরা ব্রিটিশ আধিকারিকদের কোয়ার্টারের ব্রিটিশ ভূত নয় যদিও, তবে ওই জনপদের স্থানীয় বাসিন্দাদের পাড়া থেকেই এদের আগমন যে পাড়াটি উপনিবেশ আমলের আগে এবং বাবু সম্প্রদায়ের বাড়বাড়ন্তের আগেই গড়ে উঠেছিল। গল্পে প্রথম ভূত হিশেবে হাজির হয় এক গৃহকর্মী, নেহায়েত কুলি-কামিন এক নারী, যে পাকেচক্রে ভূতে পরিণত হয়। ঘটনার অব্যবহিত পরপরই জনৈক প্রতিবেশী এসে পরামর্শ দেয়, ''পরের বার একজন 'মানুষ' গৃহপরিচারিকা নিযুক্ত করতে সাবধান থেকো।''
গল্প একটু এগুতেই পাই, গল্প কথকের পিতামহের একটি ঘটনা। পিতামহ ছিলেন ডুয়ার্সের একটি রেলওয়ে স্টেশনের প্রহরী, একদিন তিনি দেখতে পান চেনা রুটের মালগাড়ীটি স্রেফ ভুতুড়ে একটি ট্রেনে পরিণত হয়েছে! তিনি যখন তদন্তের খাতিরে স্টেশনে নামেন দেখতে পান ড্রাইভার এবং পয়েন্টসম্যান উভয়েই গভীর ঘুমে নিমজ্জিত অথচ ট্রেনটি দিব্যি চলছে। ওদিকে ডোমোহনীতে, একটি সন্দেহজনক ঘ্রাণ ঘুরে বেড়ায়, মনে হয় যে 'ওরা' যে যে জায়গা অতিক্রম করে যায় সেখানেই সেই অদ্ভূত গন্ধটি বিরাজ করে। এই প্রসঙ্গে গাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেসের 'ক্রনিকল অফ এ ডেথ ফোরটোল্ড'-এ বর্ণিত সান্তিয়াগো নাসারের মৃতদেহের দুর্গন্ধের কথাই যেনো মনে পড়ে। যেনো নাসার হত্যার অনেক পরেও মৃতদেহেরে গন্ধটি ওই শহরকে তাড়া করে বেড়ায়।
এই গল্পের গল্পকথকের দাদা-দাদী ভূতদের ডেকে আনার অভ্যাস রপ্ত করেন, নাক কুঁচকে শুঁকে শুঁকে তার বলেন, 'ওই তো! সেই সন্দেহজনক গন্ধ!' এই গন্ধ শোঁকার খেলা ততদিন অবধি চলল, যতদিন না সত্যি সত্যি এক ভূত এসে দাদা-দাদীর গায়ের গন্ধ শুঁকে বলল 'এই তো! সন্দেহজনক ঘ্রাণ! কি অনাসৃষ্টি! তুমি কে?' আর ঠিক তখনি এই খেলার অন্ত হয়। গল্পটি শেষ হয় এক বিদ্রূপাত্মক অথচ গভীর সংবেদনশীল আবহে। তুমি কে ? সত্যিই তো, জিজ্ঞাসার এ-এক ভিন্ন উপায়, তুমি কি সত্যিই এখানে বিরাজ করছো ?
যাই হোক, ঔপনিবেশবাদ কখনোই একহারা কিছু ছিলো না বরং বিবিধ সংস্কৃতির অভিজ্ঞতা সঞ্জাত ছিল। লুণ্ঠন, শোষণ, জটিলতা, ষড়যন্ত্র এবং বন্ধুত্বের প্রচ্ছায়ায় এন্তার হত্যাকাণ্ড, বিপ্লব, বৈজ্ঞানিক অগ্রগতি এবং সংস্কার...এ মতন অযুত-নিযুত অস্থিরতার বিন্দু দিয়ে গড়া সময়। ইতিহাসে বা তাত্ত্বিকভাবে সেই অভিজ্ঞতাটি লেখা যখন অসম্ভব হয়ে যায়, তখনই কোনও এক লেখক বা কথক ভূত আবিষ্কার করার চেষ্টা করেন। আর তখনই, বঙ্গদেশের রেলস্টেশন এবং তার আশেপাশে ঘটে চলা ভৌতিক গল্পগুলি সেই অবচেতন জায়গাগুলিতে প্রকাশ পায় যেখানে ট্রেনের বগি প্রবেশ করতে পারলেও সভ্যতার পরিপূর্ণ সাম্রাজ্য সেখানে ধরা দেয় না। বারোগ, সিমলা, মুসৌরি, ল্যান্ডোর এবং নীলগিরির পাহাড়ে পাহাড়ে ঘুরে বেড়ানো কিংবদন্তিগুলিতে, বাংলার রেলপথে তাদের আত্মারা আত্মীয় কিংবা দূরাচারী পাপাত্মাদের খুঁজে পায়।
সূত্র: স্ক্রল