অক্সিজেন! চাই অক্সিজেন!
ভারতের জনসংখ্যা ১৩৫ কোটি, বিশ্বের দ্বিতীয় জনবহুল দেশ। এরকম একটি দেশে করোনা মহামারিতে আক্রান্ত হয়নি, এমন কাউকে খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। সর্বত্রই থাবা বিস্তার করেছে এ মহামারি।
ভাইরাসে আক্রান্ত মৃতের সংখ্যা বাড়ছে হু-হু করে। চিতার আগুন নিভছেই না। হাসপাতালের বাইরেও রোগীদের দীর্ঘ লাইন। হাসপাতালে নেওয়ার পথে রাস্তায়ই মারা যাচ্ছেন অনেক করোনাক্রান্ত। চারদিকে অক্সিজেন ও টিকার জন্য হাহাকার।
ইউরোপ-আমেরিকায় যখন মহামারির দ্বিতীয় ঢেউ চলছিল তখন ভারতে প্রথম ঢেউ শেষ হয়েছে। ভারতীয়দের বিশ্বাস ছিল, মহামারি সমাপ্তি টেনেছে, আর ফিরবে না। কিন্তু তাদের শিশুসুলভ ধারণাকে চুরমার করে দিয়ে ফিরে এল মহামারি, আগের চেয়েও কয়েকগুণ তীব্রতায়।
ভারতে করোনা সবচেয়ে ভয়ংকর রূপ ধারণ করেছে এপ্রিলে। এপ্রিলে এক দিনে ৩,৭৯,২৫৭ জনেরও বেশি করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গেছেন ৩,৬৪৫ জন। সংক্রমণ ও মৃত্যুর হারে যুক্তরাষ্ট্র, ব্রাজিল ও মেক্সিকোর পরই স্থান করে নিয়েছে ভারত।
উদ্বেগের বিষয় হচ্ছে, ভাইরাসের নতুন ধরন ছড়িয়ে পড়ছে গোটা দেশে। ভারতের দ্বিতীয় জনবহুল রাজ্য্ মহারাষ্ট্রের ৬০ শতাংশ নতুন সংক্রমণই হয়েছে নতুন ধরনগুলোর দ্বারা।
'ডাবল মিউট্যান্ট' বি.১.৬১৭ ধরন ছড়িয়ে পড়ছে ভারতে। ধারণা করা হচ্ছে, নতুন এই ধরনটির সংক্রমণ-ক্ষমতা করোনার প্রথম ধরনের চেয়ে অনেক বেশি। নতুন ধরনে একটির বদলে দুটি স্পাইক প্রোটিন রয়েছে।
অথচ গত বছর এই সময়ই ভারত সরকার সগর্বে ঘোষণা দিয়েছিল যে তারা ভাইরাসটির বিরুদ্ধে যুদ্ধে জিতেছে। সায়েন্টিফিক আমেরিকান ম্যাগাজিন গত আগস্ট সংখ্যায় বলেছে, ভারত করোনা মহামারির ভয়াবহতাকে স্বীকারই করেনি। ভারত সরকার তো প্রথম দিকে ভাইরাসটির 'কমিউনিটি ট্রান্সমিশনে'র কথাই অস্বীকার করে আসছিল।
মহামারির প্রথম ঢেউ ঠিকমতো শেষ হওয়ার আগেই দেশটি স্বাভাবিক জীবনযাপনে (যদিও কয়েক ধাপে) ফিরে যায়। বহু মানুষ স্বাস্থ্যবিধির বালাই না রেখেই চলাফেরা শুরু করে। এমনকি গত বছর মহামারির তীব্রতা 'চূড়া'য় থাকবার পরও অনেকে ন্যূনতম স্বাস্থ্যবিধি মানার তোয়াক্কা করেনি। না মাস্ক পরেছে, না বজায় রেখেছে সামাজিক দূরত্ব।
এসবের হাত ধরেই করাল রূপ নিয়েছে করোনা। চারদিকে এখন অক্সিজেনের জন্য হাহাকার, হাসপাতালগুলো রোগীদের ঠাঁই দিতে পারছে না। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অক্সিজেনের জন্য সাহায্য চেয়ে পোস্ট দিচ্ছেন অনেকে। কিন্তু সেসব পোস্টের ওপর কড়া বিধিনিষেধ আরোপ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার।
চারদিকে মানবিকতা আর দুর্যোগের গল্প। মহারাষ্ট্রের নাগপুরের বাসিন্দা নারায়ণ ধবলকার। বয়স ৮৫ বছর। অক্সিজেনের পরিমাণ কমে যাওয়ায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। ভর্তি হওয়ার পর দেখেন কোভিড আক্রান্ত ৪০ বছর বয়সি এক মুমূর্ষুরোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হচ্ছে না অক্সিজেন নেই বলে। এ ঘটনা দেখে অশীতিপর বৃদ্ধ এমনই নাড়া খান যে, তিনি ডাক্তারদের পরামর্শের বিরুদ্ধে নিজের বেড ছেড়ে দিয়ে সেই ৪০ বছর বয়সি রোগীকে ভর্তি হওয়ার সুযোগ দেন। নারায়ণ ধবলকার পরে নিজ বাড়িতে মারা যান।
নির্বাচনী প্রচারণার জনসমাগম
ভারতে সংক্রমণ এভাবে হু-হু করে বেড়ে যাওয়ার কারণ কী? সমালোচকদের মতে গত মাসে পশ্চিমবঙ্গ, তামিলনাড়ু, আসাম ও পুদুচেরিতে অনুষ্ঠিত নির্বাচনী জনসমাগম।
ভারতে নির্বাচন মানেই বিশাল আয়োজন। দীর্ঘস্থায়ী উৎসবের মতো ব্যাপার। সবগুলো প্রধান দলই নিজেদের শক্তিমত্তা প্রদর্শনের জন্য বারবার নির্বাচনী মিছিল-মিটিঙের আয়োজন করেছে। গায়ে গা লাগিয়ে সেসব মিছিল মিটিঙে হাজিরা দিয়েছে সহস্র মানুষ। তাদের অনেকের মুখেই মাস্ক ছিল না।
এমনকি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও রাজনৈতিক প্রচারণা চালিয়েছেন। গত মার্চেই এরকম একটি সমাবেশে তিনি বলেছেন, 'এমন বিশাল জনসভা আমি কখনও দেখিনি।'
মোদির এসব সমাবেশের তীব্র সমালোচনা করেছেন ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন-এর সহসভাপতি ডা. নভজোত ধাইয়া। তিনি বলেছেন, 'অক্সিজেনের অভাবে সারা দেশে বহু রোগী মারা পড়ছেন। অথচ এখনও বেশ কয়েকটি অক্সিজেন উৎপাদন প্রকল্পের অনুমোদন ঝুলিয়ে রেখেছে সরকার। অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই কাজের দিকে মোদি সরকার কোনো নজরই দেয়নি।'
গোদের ওপর বিষফোঁড়া হয়ে এসেছে কুম্ভমেলা। ১২ বছর পরপর অনুষ্ঠিত হয় এই সুবিশাল ধর্মীয় অনুষ্ঠান। এ বছর হিমালয়ের পাদদেশে, হরিদ্বারে কুম্ভমেলা শুরু হয় মার্চের ২৮ তারিখে। উৎসবের প্রথম দিনে লক্ষ লক্ষ মানুষ এলাহাবাদের গঙ্গা ও যমুনা নদীতে স্নান করে। অনুষ্ঠানটির অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে জানানো হয়, শুরু হওয়ার পর থেকে এবারের কুম্ভমেলাতেই সবচেয়ে বেশি জনসমাগম হয়েছে।
ভারতের নির্বাচন কমিশনকেও এই শোচনীয় অবস্থার জন্য সমানভাবে দায়ী করেছেন মাদ্রাজ হাই কোর্ট। কোভিড-১৯ স্বাস্থ্যবিধি না মানা এবং রাজনৈতিক দলগুলোকে বড় সমাবেশ আয়োজনের অনুমতি দেওয়ার জন্য নির্বাচনকে কমিশনকে কঠোর ভাষায় ভর্ৎসনা করেছেন আদালত।
অক্সিজেন সংকট
এছাড়াও মহামারি পরিস্থিতি এমন শোচনীয় আকার ধারণ করার আরেকটি অন্যতম প্রধান কারণ হলো অক্সিজেন সংকট। বেশিরভাগ রাজ্যে বহু রোগীকে অক্সিজেন দেওয়া যাচ্ছে না। নয়া দিল্লির একটি হাসপাতালে শুধু অক্সিজেনের অভাবেই মারা যান পঁচিশজন রোগী।
অক্সিজেনের অভাবে করোনা রোগীর মৃত্যুকে 'গণহত্যা'র শামিল বলে মন্তব্য করেছেন উত্তর প্রদেশের এলাহাবাদ হাইকোর্ট। আদালত বলেছেন, অক্সিজেন না পেয়ে হাসপাতালে করোনা রোগীর মৃত্যু একধরনের অপরাধ, কোনো অংশেই 'গণহত্যার চেয়ে কম নয়।'
অথচ ২০২০-এর এপ্রিল থেকে ২০২১-এর জানুয়ারির মধ্যে ভারত ৯,০০০ মেট্রিক টনের বেশি অক্সিজেন রপ্তানি করেছে। সরকার এখন অন্যান্য শিল্পখাত থেকে স্বাস্থ্যখাতে অক্সিজেন সরবরাহ করার নির্দেশ দিয়েছে। কিন্তু তাতেও কুলিয়ে ওঠা যাচ্ছে না। অল্প সময়ের মধ্যে অক্সিজেন উৎপাদন সক্ষমতা বাড়ানোও অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়ছে।
পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল দেশের সব অঞ্চলের পত্রিকার মাধ্যমে অক্সিজেন চেয়ে আবেদন জানান। এপ্রিলের শেষ সপ্তাহে তিনি জানান, এক মাসের মধ্যে সরকার দিল্লিতে ৪৪টি নতুন অক্সিজেন প্ল্যান্ট বসাবে।
কোথাও কোথাও কোভিড-আক্রান্ত রোগীর আত্মীয়স্বজনরা অক্সিজেন সিলিন্ডারবাহী ট্রাকও লুট করে নেন। নিরাপত্তার জন্য অক্সিজেনবাহী ট্রাকের সঙ্গে পুলিশও দিতে হয়। এ ধরনের ঘটনা এতই বেড়ে যায় যে দিল্লি হাই কোর্ট অক্সিজেন লুটকারীদের খুনের দায়ে ফাঁসিতে ঝোলানোর হুমকি পর্যন্ত দেন। এক ব্যক্তি গাড়িতে করে ২৪ ঘণ্টায় ১,৪০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে বোকারা থেকে নয়ডায় আসেন বন্ধুর জন্য অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে।
মুমূর্ষু রোগীদের ঠাঁই দেয়ার মতো বেডও নেই বহু হাসপাতালে। নয়াদিল্লি, মুম্বাই, চেন্নাইসহ অনেক বড় শহরেই এমন পরিস্থিতি।
টিকা-স্বল্পতা
ভারতে কোভিডের বিরুদ্ধে যুদ্ধের পথে আরেকটি অন্তরায় হচ্ছে টিকা-স্বল্পতা। ১৩৫ কোটি মানুষের দেশে টিকা নিয়েছে বড়জোর দেড় কোটি মানুষ। পূর্ণ ডোজ নিয়েছে মাত্র ১.৮ শতাংশ মানুষ, এক ডোজ নিয়েছে ৭.১১ শতাংশ। মাত্র ১০.৫ শতাংশ মানুষ টিকার আওতায় এসেছে।
এপ্রিলের শেষ সপ্তাহে প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ টিকা গ্রহণকারীদের কেউই টিকা পাননি। কমপক্ষে আধডজন রাজ্যটিকা-স্বল্পতার অভিযোগ জানিয়েছে।
টিকা সরবরাহের জন্য প্রস্তুত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ভারত ৯৫টি দেশে প্রায় ৭ কোটি ডোজ টিকা পাঠিয়েছে। ফলে চরম প্রয়োজনের সময়ও নিজের জনগণকে টিকা সরবরাহ করতে পারেনি দেশটি।
অথচ আমেরিকা বলতে গেলে টিকার গুদামের ওপর বসে আছে। প্রয়োজনের চেয়েও বেশি টিকা মজুদ করেছে দেশটি। ৬৯ শতাংশ আমেরিকান ইতিমধ্যে টিকার আওতায় চলে এসেছে। কদিন আগে হোয়াইট হাউস বলেছে, তার ৬০ মিলিয়ন ডোজ অ্যাস্ট্রাজেনেকা এজেডএন টিকা অন্য দেশগুলোকে দেবে তারা। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মধ্যকার এক ফোনকলের পর হোয়াইট হাউস জানায় ভারতকে টিকা উৎপাদনের কাঁচামাল সরবরাহ করবে তারা।
কোভিড-১৯-এর ধাক্কায় সবচেয়ে মারাত্মক অবস্থা দিল্লির। এপ্রিলে সেখানে দুই সপ্তাহের লকডাউন ঘোষণা করা হয়। মহারাষ্ট্র সরকারও ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত লকডাউন ঘোষণা করেছিল। তামিলনাড়ু সরকার প্রতি রবিবারে লকডাউন ঘোষণা করেছে। কিন্তু এতেও কোনো ফল দেয়নি। কারণ লোকে কেনাকাটা করার জন্য শনিবারে রাস্তায় নেমে আসছে, ভিড় জমাচ্ছে দোকানপাটে।
আরেকটি হাস্যকর ব্যাপার হচ্ছে, তামিলনাড়ু সরকার মন্দির, গির্জা, মসজিদসহ সব ধরনের উপাসনালয় বন্ধ করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অথচ রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন মদ বিক্রির কেন্দ্রগুলো খোলা রাখার অনুমতি দিয়েছে। এসব বিক্রয়কেন্দ্রে উপচে পড়া ভিড় হয়। হই-হুল্লোড় করে করে পানাহার করতে আসে মানুষ।
তামিলনাড়ু সরকার ২৬ এপ্রিল থেকে মন্দিরে জনসাধারণের উপাসনা নিষিদ্ধ করেছে। অর্থাৎ, নিম্ন আয়ের পুরোহিতদের সামান্য যে রোজগারের বন্দোবস্ত ছিল এতদিন এবার তা-ও বন্ধ হয়ে গেল। গত বছর শ্রমিকশ্রেণির মতো পুরোহিতদেরও প্রতিবেশীদের দয়া-দাক্ষিণ্যের ওপর নির্ভর করে বাঁচতে হয়েছিল। কিন্তু এ বছর সেই প্রতিবেশীরাও করোনার আঘাতে বিপর্যস্ত। অনেকেই করোনাক্রান্ত হয়ে চিকিৎসার খরচ মেটানোর জন্য নিজেদের সমস্ত সঞ্চয় খরচ করে ফেলেছেন।
এত হতাশার মাঝেও মানবিকতার গল্পগুলো এখনও লড়াই ও আশা বাঁচিয়ে রেখেছে। সম্পূর্ণ অপরিচিত মানুষ অভাবী, অসহায়দের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। এই মানবিকতার, ভালোবাসার গল্পগুলো এখনও লড়াইয়ের রসদ জোগাচ্ছে মানুষকে। শারীরিক দূরত্বের মাঝেও মানুষ আত্মিকভাবে পরস্পরের কাছাকাছি এসেছে। সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে বিপদগ্রস্তদের দিকে।
হায়দ্রাবাদের কালিগোটলা টেকনোলজিসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কে ভেঙ্কট মুরালি তার 'নো ফুড ওয়েস্ট' নামক এনজিওর মাধ্যমে প্রতিদিন দেড় হাজারের দরিদ্রের জন্য খাবার সরবরাহ করছেন। তামিলনাড়ুর কয়েম্বাতোরের কাছাকাছি পেরুরের বাসিন্দা ৭৬ বছর বয়সি এস. গৌরি। ২০টি রাস্তার কুকুরকে খাওয়াবার জন্য প্রতিদিন মন্দিরের কাছে ভিক্ষা করছেন তিনি। এস. গৌরির স্বামী লরি রেন্টাল অফিসে কাজ করতেন। তিনি নিজে ছিলেন ঝাড়ুদার। তারা নিঃসন্তান। এস. গৌরির ভাইয়েরা তার চেয়ে শিক্ষিত। তারা তামিলনাড়ু বিদ্যুৎ বোর্ড ও কৃষি বিভাগে চাকরি করেন। স্বামীর মৃত্যুর পর এস. গৌরি তার ভাইদের সন্তানদের ওপর বোঝা হয়ে থাকতে চাননি। সেজন্য জীবনের বাকি দিনগুলো মন্দিরে কাটানোর সিদ্ধান্ত নেন।
রাজনৈতিক ও আমলাতান্ত্রিক বিবাদ পাশে রেখে ভারত সরকার এখন কেন্দ্রীয় ও রাজ্য স্তরে মানুষের জীবন বাঁচানোর জন্য আন্তরিক চেষ্টা চালাচ্ছে। যদিও তাদের বোধোদয় হতে দেরি হয়ে গেছে বলেই মনে হচ্ছে আপাতদৃষ্টিতে।
প্রত্যেকের জন্য আতঙ্ক হয়ে এসেছে কোভিড-১৯। অল্পবয়সিরা আছে কর্মহীন হওয়ার ঝুঁকিতে, আর বয়স্করা আছেন এই ভাইরাসের থাবায় প্রাণ খোয়ানোর ঝুঁকিতে। এসব কিছু চাক্ষুষ করেও শিক্ষা নেয়নি পৃথিবীর বহু মানুষ। মাস্ক ছাড়া নিজেদের খেয়াল-খুশিমতো রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছে তারা। রোগ ও মৃত্যুর প্রকোপ সত্ত্বেও মানছে না সামাজিক দূরত্ব।এসব থেকে সরকারগুলো কবে শিক্ষা নেবে কে জানে!
- সূত্র: মার্কেট ওয়াচ, লেটার ফ্রম ইন্ডিয়া