৯ মে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক যুদ্ধের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেবেন পুতিন!
আগামী ৯ মে-র মধ্যে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন ইউক্রেনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে 'সর্বাত্মক যুদ্ধের' ঘোষণা দিতে পারেন বলে মনে করছেন আমেরিকা ও পশ্চিমা কর্মকর্তারা। এর ফলে রাশিয়ার রিজার্ভ বাহিনী পূর্ণ শক্তিতে ইউক্রেনে হামলা চালাতে পারবে।
রাশিয়ায় ৯ মে 'বিজয় দিবস' হিসেবে পালিত হয়। ১৯৪৫ সালের এই দিনে দেশটি নাৎসিদের পরাজিত করে। পশ্চিমা কর্মকর্তাদের বিশ্বাস, এই দিনই পুতিন ইউক্রনের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক যুদ্ধের ঘোষণা দেবেন।
ব্রিটেনের প্রতিরক্ষা সচিব বেন ওয়ালেস গত সপ্তাহে এলবিসি রেদিওকে বলেন, রুশ প্রেসিডেন্ট হয়তো আগামী ৯ মে, রাশিয়ার বিজয় দিবসের কুচকাওয়াজেই সর্বাত্মক যুদ্ধের ঘোষণা দিতে পারেন। পুতিন চলমান যুদ্ধকে নাৎসিবিরোধী যুদ্ধের মোড়ক দিতে চাইবেন বলে মন্তব্য করেন তিনি।
এদিকে, পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর সাবেক প্রধান রিচার্ড শেরিফ হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, কিছুদিনের মধ্যেই ইউক্রেনের বিরুদ্ধে হয়তো রাশিয়ার চরম আগ্রাসন দেখতে চলেছে পুরো বিশ্ব। এ ব্যাপারে তিনি পশ্চিমাদের 'প্রস্তুত' থাকতে সতর্ক করেছেন।
পশ্চিমা গণমাধ্যমগুলো বলছে, কিয়েভে হামলায় ব্যর্থ হওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়েছে রুশ সেনারা। পুরোনো ব্যর্থতা কাটিয়ে তারা এখন ইউক্রেনে ভেতরে সর্বশক্তি দিয়ে প্রবেশ করতে চাইছে।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ৯ মে সর্বাত্মক যুদ্ধের ঘোষণা দিলে হামলার পক্ষে পুতিন ব্যাপক জনসমর্থন পাবেন।
২০১৪ সালে ইউক্রেনের ক্রিমিয়া অঞ্চল রুশ দখলে চলে যাওয়া এবং পূর্ব ইউরোপের দনবাস অঞ্চলে মস্কোপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদীদের রাশিয়ার প্রত্যক্ষ সমর্থনের পর ইউক্রেনের অনেকেই মনে করেন, দীর্ঘ ৮ বছর ধরে চলছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র নেড প্রাইস সোমবার বলেছেন, ৯ মে-তে রাশিয়া ইউক্রেনের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক যুদ্ধের ঘোষণা দেবে—এমনটা বিশ্বাস করার যথেষ্ট যুক্তিসংগত কারণ রয়েছে।
তিনি বলেন, 'আমি যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী যে ৯ মে-তে মস্কোর কাছ থেকে একটা ঘোষণা আমরা শুনতে পাব।'
৯ মে-তে আমিরেকা ও ন্যাটোভুক্ত দেশগুলোর কাছ থেকেও একটা ঘোষণা শোনা যেতে পারে বলে মন্তব্য করেন প্রাইস।
- সূত্র: সিএনএন