দুটি শহরে ‘মানবিক করিডোর’ খুলে দিয়ে আংশিক যুদ্ধবিরতির ঘোষণা রাশিয়ার
ইউক্রেনের মারিওপোল ও ভলনোভাখা শহরে মানবিক করিডোর খুলে দিয়ে আংশিক যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দিয়েছে রাশিয়া। শনিবার দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এ ঘোষণা দেয়।
"মস্কোর স্থানীয় সময় সকাল ১০টা থেকে রাশিয়া এই যুদ্ধবিরতির ঘোষণার মাধ্যমে নাগরিকদের দেশত্যাগের জন্য মারিওপোল ও ভলনোভাখা মানবিক করিডোর খুলে দিচ্ছে," রাশিয়ান প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাতে জানিয়েছে রাশিয়া সংবাদ মাধ্যমগুলো।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার, বেসামরিক নাগরিকদের সরিয়ে নেওয়ার জন্য মানবিক করিডোর তৈরির বিষয়ে সমঝোতায় পৌঁছায় উভয় পক্ষ।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা মাইখাইলো পডোলিয়াক বলেছেন, বেসামরিক নাগরিকদের সরিয়ে নেওয়ার জন্য সম্ভাব্য অস্থায়ী যুদ্ধবিরতির পরিকল্পনা করেছে উভয়পক্ষ।
"এই যুদ্ধবিরতি সবখানে নয়, শুধু সে সব জায়গায় যেখানে মানবিক করিডোর থাকবে, সেখান থেকে নাগরিকদের সরিয়ে নেওয়ার সময়টুকুর জন্য যুদ্ধবিরতি কার্যকর করা সম্ভব হবে," বলেছিলেন তিনি।
ভয়ঙ্কর লড়াইপূর্ণ জায়গাগুলোতে নাগরিকদের জন্য ওষুধ এবং খাবার পৌঁছে দেওয়ার বিষয়েও তারা সমঝোতায় পৌঁছায়।
এক সপ্তাহ আগে ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন শুরুর পর এই প্রথম দুই পক্ষ কোনো বিষয়ে সম্মত হয়েছে।
তবে পডোলিয়াক বলেছেন, এ ফলাফল কিয়েভের আশানুরূপ হয়নি।
"আফসোসের বিষয়, আমরা যে ফলাফল আশা করছিলাম তা পাইনি," বিস্তারিত কিছু না বলে এমন মন্তব্য করেন তিনি।
"আমি শুধু বলতে পারি, আমরা মানবিক দিক নিয়ে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করেছি, কারণ অনেক শহর ঘিরে ফেলা হয়েছে। ওষুধ, খাবার, নাগরিকদের সরিয়ে নেওয়া সবমিলিয়ে নাটকীয় পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে ," বলেন পডোলিয়াক।
এর আগে, ইউক্রেন সীমান্তের কাছে অজ্ঞাত এক স্থানে রুশ ও ইউক্রেনের প্রতিনিধিদের মধ্যে আলোচনা শুরু হয়।
মানবিক করিডোর ছাড়াও অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবি ছিল ইউক্রেনের।
এদিকে, রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন বলছেন, বেসামরিক নাগরিকদের যুদ্ধ চলছে ইউক্রেনের এমন এলাকাগুলো ছেড়ে যাওয়ার জন্য নিরাপদ করিডোরের প্রস্তাব দিয়েছে রুশ সামরিক বাহিনী।
পুতিন তার নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যদের সাথে একটি ভিডিও কলে আলাপকালীন অভিযোগ করেছেন, ইউক্রেনীয় জাতীয়তাবাদী দলগুলো বেসামরিক নাগরিকদের দেশত্যাগে বাধা দিচ্ছে।
তিনি বলেন, তারা বেসামরিক নাগরিকদের ঢাল হিসাবে ব্যবহার করছে, রাশিয়ান বাহিনীকে উস্কে দেওয়ার জন্য ফায়ারিং অবস্থানে আছে। তবে পুতিনের এ দাবি যাচাই করা সম্ভব হয়নি।