২০২২ সালের শুরুতেই হয়তো ওমিক্রনের টিকা এসে যাবে
করোনাভাইরাসের নতুন ধরন 'ওমিক্রন' থেকে সুরুক্ষা দিতে ২০২২ সালের শুরুতেই টিকা তৈরির ঘোষণা দিয়েছে মার্কিন ফার্মাসিউটিক্যাল প্রতিষ্ঠান মডার্না। রোববার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক অনুষ্ঠানে মডার্নার চিফ মেডিকেল অফিসার পল বার্টন এ কথা জানান।
বার্টন বলেন, "সুরক্ষা দেওয়ার ব্যাপারে বর্তমান টিকাগুলোর কার্যক্ষমতা সম্পর্কে আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই আমাদের জানতে হবে।"
"যদি আমাদের একেবারে নতুন টিকা তৈরির প্রয়োজন হয়, তাহলে আমি মনে করি এটি ২০২২ সালের শুরুতেই সম্ভব," তিনি আরও যোগ করেন।
বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের অতি সংক্রমণ ক্ষমতাসম্পন্ন ওমিক্রন ধরন নিয়ে উদ্বেগের মাঝেই সুখবর দিলো পৃথিবীর অন্যতম বৃহৎ টিকা প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান মডার্না।
এখনও পর্যন্ত যারা টিকা নেয়নি তাদেরকেও দ্রুত টিকা নেওয়ার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বার্টন। তার মতে, বর্তমান টিকাগুলোও ওমিক্রনের বিরুদ্ধে কিছুটা হলেও সুরক্ষা দেবে।
মডার্নার এই শীর্ষ নির্বাহী কর্মকর্তা বিবিসির সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে বলেন, "ভাইরাসের এই ধরনটি বিপজ্জনক বলেই মনে হচ্ছে। তবে, আমি মনে করি এর বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য আমাদের অস্ত্রাগারে এখন যথেষ্ট সরঞ্জাম রয়েছে।"
প্রথমবারের মতো দক্ষিণ আফ্রিকায় শনাক্ত হয় করোনার ওমিক্রন ধরন। উচ্চ মিউটেশনের ফলে নতুন এই ধরনে অত্যন্ত দ্রুত গতিতে সংক্রমিত হচ্ছে মানুষ। ওমিক্রনের বিস্তার রোধে ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশে আবারও জারি করা হয়েছে লকডাউন; বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে সীমানা, সেইসঙ্গে কঠোর করা হয়েছে বিধিনিষেধ।
দক্ষিণ আফ্রিকার স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এখন পর্যন্ত ওমিক্রন দ্বারা আক্রানের লক্ষণগুলো খুবই হালকা।
তবে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) ইতোমধ্যেই যথাযথ সতর্কতা অবলম্বন করার আহ্বান জানিয়ে বলেছে, অল্প বয়সীদের মাঝে ওমিক্রনের লক্ষণগুলো হালকা। তবে, এর বিস্তারে সর্তক থাকতে হবে।
সংস্থাটি বলছে, "নতুন ধরনের তীব্রতা বুঝতে কয়েক দিন থেকে কয়েক সপ্তাহ পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। এছাড়া, ওমিক্রনের লক্ষণগুলো যে অন্যান্য ধরনগুলো থেকে আলাদা, এ ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়ার মতো কোনো নির্ভরপযোগ্য তথ্য এই মুহূর্তে আমাদের কাছে নেই।"
সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস