সীমিত আকারে হজ আয়োজনের পরিকল্পনা সৌদি আরবের
বিশ্ব মহামারির প্রেক্ষিতে ২২২ বছর পর, চলতি বছরের এপ্রিলে প্রথম হজ আয়োজন না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সৌদি আরব। কিন্তু, সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসে এখন সীমিত আকারে হজ অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটি।তবে এই সিদ্ধান্তের আওতায় হাজিদের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কমিয়ে আনা হবে।
আন্তর্জাতিক জ্বালানি বাজারে দরপতনের প্রভাবে সৌদি অর্থনীতি পড়েছে সংকটে। সামাজিক সুরক্ষার নানাখাতে বিশাল অংকের ভর্তুকি বাতিল করার পদক্ষেপ নিয়েছে সৌদি সরকার।
একইসঙ্গে, দেশটিতে চলমান করোনার মহামারিতে আক্রান্তের সংখ্যা এক লাখ ছাড়িয়েছে। এরমধ্যেই, আর্থিক প্রাপ্তির বিবেচনায় চলতি বছর সীমিত আকারে হজ অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা সংশ্লিষ্ট সূত্রের বরাতে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
সপ্তাহব্যাপী হজ করতে ইসলামের পবিত্রতম তীর্থ মক্কা এবং মদিনায় প্রতিবছর ২৫ লাখ মুসলিম দেশ-বিদেশ থেকে আসেন। সামর্থ্যবান প্রত্যেক মুসলমানের ওপর হজ করা ফরজ।
সৌদি আরবের সরকারি তথ্যানুসারে, গতবছর মূল হজ এবং বছরব্যাপী চলমান ছোট হজ বা ওমরা থেকে মোট ১২শ কোটি মার্কিন ডলার আয় করে দেশটি।
গত মার্চে সৌদি সরকার পরিবর্তী নোটিশ দেওয়ার আগপর্যন্ত ওমরা পালনে ইচ্ছুক মুসলিমদের তাদের পরিকল্পনা স্থগিত রাখার আহ্বান জানিয়েছিল। ওমরার বিষয়ে এখনও কোনো শিথিলতা অনুসরণ করা হচ্ছে না।
তবে মূল হজে কিছু সংখ্যক হাজির প্রতীকী অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হবে। সৌদি প্রশাসনের দুইটি সংশ্লিষ্ট সূত্রের বরাতে বার্তা সংস্থা রয়টার্স বিষয়টি সম্পর্কে নিশ্চিত করে। সূত্র জানায়, এবছর বয়স্কদের হজ পালনের ব্যাপারে অনুমতি দেওয়া হবে না। পাশাপাশি কড়াকাড়িভাবে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হবে হাজিদের।
এসব পদক্ষেপের আওতায় প্রতিটি দেশের জন্য নির্দিষ্ট হাজি কোটা থেকে ২০ শতাংশকে হজ পালনের সুযোগ দেওয়ার কথা ভাবছে দেশটির হজ কর্তৃপক্ষ। সিদ্ধান্তের সঙ্গে জড়িত আরেকটি সূত্র এটি জানিয়েছে।