সিগন্যালে হর্ন যত, অপেক্ষা বাড়বে তত
বিভিন্ন দেশের ট্রাফিক আইন বিভিন্ন রকম হলেও ভারতীয় উপমহাদেশের গাড়ির চালকরা একটা বিষয় মোটামুটি সবাই বিশ্বাস করেন। আর তা হলো- সিগন্যালে পড়লে যত জোরে হর্ন বাজাবেন, ট্রাফিকের সবুজ বাতি তত দ্রুত জ্বলে উঠবে।
সিগন্যালে পড়া গাড়ির চালকদের এমন বেপরোয়া আচরণে বিরক্ত হয়ে এবং শব্দ দূষণ রোধ করতে তাই নতুন একটি ধারণা নিয়ে এসেছে মুম্বাই পুলিশ।
নতুন এই পদ্ধতি বেশ সহজ। ‘যত বেশি হর্ণ, তত বেশি অপেক্ষা’।
এই পদ্ধতির নাম দেওয়া হয়েছে ‘দ্য পানিশিং সিগন্যাল’। রাজপথের মোড়ে মোড়ে লাগানো এই নতুন এই সিগন্যাল বাতির সঙ্গে শব্দ মাপার একটি যন্ত্রও জুড়ে দেওয়া হয়েছে। সিগন্যালে যখন লাল বাতি জ্বলে অর্থাৎ গাড়ি যখন থেমে থাকে, তখন ওই পাশটায় শব্দের মাত্রা যদি ৮৫ ডেসিবলের উপর উঠে, তাহলে লাল বাতি আবারও শুরু থেকে চালু হয়ে যায়। হর্ন দিতে যেসব চালক পছন্দ করেন, অধৈর্য্য সেই চালকদের জন্য অপেক্ষার মাত্রা তখন আরও বেড়ে যায়।
মুম্বাই পুলিশের এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। সেখানে তারা বলেছে, ‘এই শহরের রাস্তায় যখন সিগন্যালে লাল বাতিতে গাড়ি থেমে থাকে, তখনও লোকজন হর্ন বাজায়। তারা হয়তো ভাবে, বেশি বেশি হর্ন দিলে দ্রুতই সবুজ বাতি জ্বলে উঠবে। এই বিষয়টি নিয়ে আমরা মুম্বাই পুলিশ কিছু একটা করার চেষ্টা করছি।’
টমটম ট্রাফিক ইনডেক্সের তথ্য অনুযায়ী, যানজটের বিচারে মুম্বাই শহরের অবস্থান বিশ্বে চতুর্থ। ওই শহরে বছরে চালকরা গড়ে ৮ দিন ১৭ ঘণ্টা যানজটেই বসে কাটান।