সাবেক নিশান প্রধানকে পালাতে সাহায্য করায় বাবা-ছেলের শাস্তি
২০১৯ সালে নির্মাতা প্রতিষ্ঠান 'নিশান' এর সাবেক প্রধান, কার্লোস ঘোসেনকে জাপান থেকে লেবাননে পালাতে সাহায্য করায় এক আমেরিকান বাবা ও তার ছেলেকে সাজা দেয়া হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের স্পেশাল ফোর্সেস এর সাবেক সদস্য মাইকেল টেইলরকে দুই বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে টোকিও আদালত। তার ছেলে পিটারকেও ১ বছর ৮ মাসের কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে।
জাপান থেকে ঘোসেনকে একটি লাগেজে ঢুকিয়ে বিমানে পাচার করে দেয়ার অপরাধে তাদেরকে জাপানের কাছে হস্তান্তর করেছিল যুক্তরাষ্ট্র।
জাপানি প্রসিকিউটররা মাইকেল টেইলরকে দুই বছর ১০ মাস এবং ছেলে পিটারকে দুই বছর ৬ মাস কারাদণ্ড দেওয়ার আবেদন করেছিলেন।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে পশ্চিম জাপানের কানসাই এয়ারপোর্ট থেকে ঘোসেনের লেবাননে পালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা প্রণয়নের দায়ে অভিযুক্ত হন বাবা-ছেলে। এই কাজের বিনিময়ে তারা ১ দশমিক ৩ মিলিয়ন ডলার (৯৫০,০০০ পাউন্ড ) পেয়েছিলেন।
বাবা-ছেলে দুজনেই ইতিমধ্যে নিজেদের দোষ স্বীকার করে ক্ষমা চেয়েছেন এবং তারা জানিয়েছেন, এই কাজের জন্য তারা অনুতপ্ত।
ইউএস সুপ্রিম কোর্ট মামলাটি জাপান কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করার আগে থেকেই মামলার হস্তান্তর ঠেকাতে গত কয়েক মাস ধরে লড়ে যাচ্ছেন প্রাইভেট সিকিউরিটি স্পেশালিস্ট মাইকেল টেইলর ও তার ছেলে পিটার।এ
এই মুহূর্তে সাবেক নিশান বস ঘোসেন একজন আন্তর্জাতিক পলাতক হিসেবে লেবাননে তার শৈশবের আবাসস্থলে রয়েছেন। তবে লেবাননের সাথে জাপানের কোনো আসামী বিনিময় চুক্তি নেই।
প্রাইভেট জেট বিমানে করে পালানোর সময় অর্থনৈতিক অসদাচরণের জন্য চারটি আলাদা ধারায় মামলার জামিনে ছিলেন ঘোসেন; যদিও তিনি তার সব অপরাধ অস্বীকার করেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রসিকিউটর তার এই পলায়নকে 'সাম্প্রতিক ইতিহাসের সবচেয়ে অদ্ভুত ও সুপরিকল্পিত পলায়ন' বলে উল্লেখ করেছেন।
লেবাননে আসার পর ঘোসেনের বক্তব্য ছিল, জাপানে তাকে 'জিম্মি' করে রাখা হয়েছিল এবং সে কারণেই তিনি পালাতে বাধ্য হয়েছেন।
তাকে বিমানে উড়িয়ে নিয়ে আসার অপরাধে তুরস্কের আদালত সেই তুর্কি জেট কোম্পানি এমএনজি'র এক কার্যনির্বাহী ও দুই পাইলটকে অভিযুক্ত করেছে।