শেষ মুহূর্তে ১৪৩ জনকে ক্ষমা করলেন ট্রাম্প

আজ বুধবার (২০ জানুয়ারি) হোয়াইট হাউস ত্যাগের আগে দন্ড মওকুফ এবং শাস্তি কমানোর মাধ্যমে ১৪০ জনের বেশি অপরাধীকে ক্ষমা করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। গত মঙ্গলবার রাতে ও আজ সকালে তিনি এসব ক্ষমা ঘোষণায় স্বাক্ষর করেন।
তবে গুজব থাকলেও নিজেকে এবং পরিবারের কাউকে ক্ষমা করেননি বিদায়ী প্রেসিডেন্ট। ট্রাম্পের শেষবেলায় ক্ষমাপ্রাপ্তদের তালিকায় আছে প্রতারণার দায়ে অভিযুক্ত ট্রাম্পের প্রাক্তন কৌশলবিদ স্টিভ ব্যাননের নাম।
হোয়াইট হাউজের বিবৃতি অনুযায়ী ৭৩ জনকে সম্পূর্ন ক্ষমা করেছেন ট্রাম্প। অন্যদিকে ৭০ জনের শাস্তি কমানো হয়েছে।
ওয়াশিংটন পোস্টের সূত্র অনুযায়ী, গত রোববার ওভাল অফিসের এক বিশেষ সভায় ট্রাম্প, কন্যা ইভাঙ্কা, জামাতা জ্যারেড কুশনারসহ ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠজনেরা মিলিতভাবে ক্ষমাপ্রার্থীদের তালিকাটি তৈরি করেন।
দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে যে, ইভাঙ্কা ট্রাম্প হোয়াইট হাউস কাউন্সিল অফিসের অনুমোদনের জন্য চূড়ান্তা তালিকাটি জমা দেন। তবে বিচার বিভাগের পারডন অফিস সাধারণ ক্ষমার বিষয়ে তদারকি করে থাকলেও, রাষ্ট্রপতি হিসাবে ট্রাম্পের ক্ষমা প্রক্রিয়ার সঙ্গে প্রতিষ্ঠানটি সম্পৃক্ত নয়।
তবে রুডি জুলিয়ানি, জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ, এডওয়ার্ড স্নোডেন এবং জো এক্সোটিকের মতো অনেকে ক্ষমা পেতে চলেছেন বলে গুজব শোনা গেলেও, ক্ষমাপ্রার্থীদের তালিকায় তাদের নাম নেই।
গতমাসে ট্রাম্প ৪৬ জনকে ক্ষমা করেন এবং ৮ জনের শাস্তি কমিয়ে দেন। সেই তালিকায় ছিল ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ বহু ব্যক্তির নাম। বাকিদের সাথে ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠতা না থাকলেও গণমাধ্যমের সূত্র অনুযায়ী, লবিং এর মাধ্যমে তারা এই তালিকায় আসতে পেরেছিলেন।
স্টিভ ব্যানন ছাড়াও ক্ষমাপ্রার্থীদের তালিকায় আছে জ্যারেড কুশনারের বাবা আবাসন সম্পত্তি ব্যবসায়ী চার্লস কুশনার, ট্রাম্পের প্রচার দলের প্রাক্তন পরিচালক পল ম্যানাফোর্ট, দীর্ঘকালীন উপদেষ্টা রজার স্টোন, অস্ত্র অপরাধে অভিযুক্ত র্যাপার লিল ওয়েইন এবং কোডাক ব্ল্যাক প্রমুখ।
এছাড়া, নভেম্বরে ট্রাম্প তার প্রাক্তন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইকেল ফ্লিনকেও ক্ষমা করেন। ফ্লিন রাশিয়ার সাথে আঁতাতের ঘটনায় এফআইকে মিথ্যা তথ্য দেওয়ায় অভিযুক্ত ছিলেন।
সংবিধান অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের হাতে অপরাধীদের ক্ষমা করার অসীম ক্ষমতা থাকে। তবে ট্রাম্পের ক্ষমাপ্রার্থীদের তালিকায় থাকা অধিকাংশ ব্যক্তির নামই এসেছে তার ঘনিষ্ঠ মহল থেকে।
হোয়াইট হাউজ ক্ষমাপ্রার্থীদের তালিকা প্রকাশের আগে সিএনএনকে একটি সূত্র জানায়, ট্রাম্প তাদেরকেই ক্ষমা করার কথা ভাবছেন যাদের মাধ্যমে ক্ষমতা ছাড়ার পর সুবিধা পাবেন।
"সবকিছুই হলো বিনিময়," সিএনএনকে জানায় সূত্রটি। "ট্রাম্প ক্ষমা করতে ভালোবাসেন কারণ এটা দ্বিপাক্ষিক। তিনি তাদেরকেই সাহায্য করতে ভালোবাসেন, যারা প্রতিদানে কিছু দিবে," জানায় সূত্রটি।
- সূত্র: বিজনেস ইনসাইডার