যুক্তরাষ্ট্রে তেলের দামে ঐতিহাসিক পতন

করোনার ফলে থমকে গিয়েছে আন্তর্জাতিক অর্থনীতির গতি। তার বিপুল প্রভাব পড়েছে বাজারে। সোমবার তার প্রমাণ মিলল হাতেনাতে। পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে, ওই দিন যুক্তরাষ্ট্রের অপরিশোধিত তেলের দাম কমতে কমতে শূন্যের নিচে অর্থাৎ মাইনাসে নেমে যায়।
ওই দিন এক ব্যারেল (প্রায় ১৫৯ লিটার) অপরিশোধিত তেল বিক্রি হয়েছে মাইনাস ৩৭.৬৩ ডলারে। যদিও মঙ্গলবার সেই হতাশাজনক চিত্রটা সামান্য হলেও কাটিয়ে উঠেছে। এ দিন অপরিশোধিত তেলের দাম মাইনাসের ঘর ছাড়িয়ে উপরে ওঠে।
বিশ্বের অর্থনীতির অন্যতম নিয়ন্ত্রক তেল। অথচ তার দামই নেমে গিয়েছে শূন্যের নিচে! সোমবার এমনই অবাক করা ছবির সাক্ষী থেকেছে সারা বিশ্ব। ওই দিন আমেরিকার তেলের দামের সূচক ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট ফিউচার্স বা ডব্লুটিআই ফিউচার্স মাইনাস ৩৭.৬৩ ডলারে নেমে যায়। খবর রয়টার্স ও আনন্দবাজার পত্রিকার।
এক মাস পর তেলের দাম কত হবে তা স্থির করে ডব্লিউটিআই ফিউচার্স। অর্থাৎ মে মাসে তেলের দাম কত হবে তা স্থির হবে এপ্রিলে। মঙ্গলবার শেষ হচ্ছে এর মেয়াদ। যদিও ডব্লিউটিআই ফিউচার্সে জুন মাসে ব্যারেল প্রতি অপরিশোধিত তেলের দাম ২০.৪৩ ডলার ও জুলাই মাসে ২৬.১৮ ডলার ধরা হয়েছে।
অপরিশোধিত তেলের দামের এই বিপুল পতনের কারণ হিসাবে করোনাভাইরাসকেই দায়ী করছেন অর্থনীতিবিদরা। তাদের মতে, করোনা রুখতে অনেক দেশই লকডাউনের পথে হেঁটেছে। তার ফলে তেলের চাহিদাও প্রায় ৩০ শতাংশ কমে গিয়েছে। বন্ধ আন্তর্জাতিক উড়ানও। দাম তলানিতে নেমে যাচ্ছে দেখে, ১০ শতাংশ তেলের উৎপাদন কমানোর সিদ্ধান্ত নেয় অর্গানাইজেশন অব পেট্রোলিয়াম এক্সপোর্টিং কান্ট্রিজ (ওপেক)-এর সদস্য এবং মিত্র দেশগুলো। কিন্তু তাতেও পতন ঠেকানো যায়নি।