বৈশ্বিক প্রাণহানি এক লাখ ছাড়াল

দেশে দেশে নতুন আতঙ্কের নাম এখন করোনাভাইরাস। জীবন বাঁচানোর দায় থেকেই সামাজিক সংক্রমণ এড়িয়ে চলছেন মানুষ। এর মাঝেও বন্ধ হচ্ছে না প্রাণহানি।
শুক্রবার বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ বিশ্বব্যাপী করোনা তাণ্ডবে মৃত্যুর সংখ্যা এক লাখ ছাড়িয়েছে। প্রথম ৫০ হাজার মানুষের মৃত্যু হয় ৮৩ দিনে এবং পরের ৫০ হাজার মৃত্যু ঘটে মাত্র ৮ দিনে।ওয়ার্ল্ডোমিটার ডটকম সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
তাদের দেওয়া সর্বশেষ তথ্যানুসারে এই সংখ্যা এখন এক লাখ ২৬৮ জন। আর আক্রান্তের সংখ্যা ১৬ লাখ ৪৭ হাজার ৮৯৬ জন। সেরে উঠেছেন তিন লাখ ৬৯ হাজার ১৭৩ জন।
অবশ্য অপেক্ষাকৃত নির্ভরযোগ্য সূত্র জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের করোনাভাইরাস আপডেট সেন্টার প্রাণহানির সংখ্যা ৯৮ হাজার ৪০১ জন বলে জানিয়েছে।
তাদের হিসাবে আক্রান্তের সংখ্যা ১৬ লাখ ৩১ হাজার ৩১০ জন। আর সেরে উঠেছেন তিন লাখ ৬৫ হাজার ৭২২ জন।
তবে অন্ধকারের মাঝেও ক্ষীণ আশার আলো দেখা যাচ্ছে কোথাও কোথাও। করোনায় বিশ্বের মাঝে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ প্রাণহানি হয়েছে স্পেনে, ১৫ হাজার ৮৪৩ জনের। শুক্রবার রাত্রি নাগাদ মারা গেছেন ৬০৫ জন। গত ২৩ মার্চের রেকর্ড সংখ্যক ১৭২০ জন নাগরিকের মৃত্যুর পর থেকেই দেশটিতে স্বাস্থ্য কর্মী ও সরকারের আপ্রাণ চেষ্টায় মৃতের সংখ্যা কমে আসছে।
যদিও নতুন করে ৪ হাজার ৫৭৬ জনের কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হওয়ার কথা জানা গেছে। এর ফলে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখ ৫৭ হাজার জনে উন্নীত হলো।
আক্রান্তের সংখ্যায় বিশ্ব মাঝে শীর্ষ স্থানে যুক্তরাষ্ট্র। সেখানে মোট আক্রান্তের সংখ্যা চার লাখ ৭৫ হাজার ৭৪৯ জন বলে জানায় জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র। আর মারা গেছেন ১৭ হাজার ৯২৫ জন। সেই তুলনায় মরণ রোগে আক্রান্ত হওয়ার পর এ থেকে মুক্তি পেয়েছেন ২৬ হাজার ৬৪৫ জন রোগী।
করোনা মহামারিতে সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত নিউইয়র্ক রাজ্যে শুক্রবার রাত্রি নাগাদ মারা গেছেন ৭৭৭ জন। নতুন করে সংক্রমণ ধরা পড়ে ৯ হাজার ৮ জনের দেহে। ফলে মোট সংক্রমিতের সংখ্যা দাঁড়ায় এক লাখ ৭০ হাজার ৫১২ জনে। আর মোট মৃত ৭ হাজার ৮৪৪ জন।
তবে মার্কিন অঙ্গরাজ্যটিতে সংক্রমণের ফলে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে এমন রোগীর সংখ্যা কমে তা মাত্র ১ শতাংশ বেড়েছে।