বিষাক্ত মদপানে পাঞ্জাবে ৯৮ জনের মৃত্যু
ভারতের পাঞ্জাবের তিন জেলায় রবিবার পর্যন্ত গত কয়েকদিনে বিষাক্ত মদপানে ৯৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে পুরো পাঞ্জাবে তোলপাড় পড়ে গিয়েছে বলে জানিয়েছে দ্য ওয়াল।
জুলাইয়ের ২৯ তারিখ থেকে ভেজাল মদের মৃত্যুর খবর আসা শুরু হয়। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
নিহতদের মধ্যে তরন জেলায় ৭৫ জন, গুরুদাসপুরে ১২ জন ও অমৃতসরে ১১ জন রয়েছেন।
ভারতের সংবাদ মাধ্যম দ্য ওয়াল এক প্রতিবেদনে জানায়, এখনও প্রায় শতাধিক মানুষ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। ফলে মৃত্যুর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রশাসনের।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরেন্দ্র সিং বিষাক্ত মদে মৃত্যুর ঘটনায় কর্তব্যে অবহেলার অভিযোগে আবগারি দপ্তরের ৬ জন আর ৬ পুলিশ কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করে দিয়েছেন। বিষাক্ত মদ তৈরি ও বিক্রির সঙ্গে জড়িত থাকার সাথে জড়িতদের আটক করতে শনিবার পাঞ্জাবে ১০০'র বেশি অভিযান চালায় পুলিশ। ইতিমধ্যে ২৫ জনকে গ্রেফতার করেছে তারা।
এ নিয়ে সরাসরি কংগ্রেস সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলেছে পাঞ্জাবের শিরোমনি আকালি দল। আকালি দলের নেতা সুখবীর সিং বাদল সংবাদমাধ্যমে বলেছেন, এই গণমৃত্যুর দায় নিয়ে অবিলম্বে মুখ্যমন্ত্রী অমরেন্দ্র সিংয়ের পদত্যাগ করা উচিত।
আকালি নেতা সুখবীর সিং বাদল সংবাদমাধ্যমে এই ঘটনায় সরাসরি কংগ্রেসকে কাঠগড়ায় তুলেছেন। তার কথায়, 'কংগ্রেসের নেতা ও বিধায়কদের লাইসেন্সেই এই বেআইনি ব্যবসা চলছিল। এত মানুষের মৃত্যুর দায় কংগ্রেসকেই নিতে হবে।'
এর পাল্টা জবাবে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী অমরেন্দ্র সিং বলেছেন, 'মৃত্যু নিয়ে রাজনীতি করা কোনো দায়িত্বশীল দলের কাজ নয়। এখন করোনা সংক্রমণ চলছে। তার মধ্যেই এই ঘটনা ঘটেছে। প্রশাসন প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছে।'
তিনি আরও বলেন, সরকারের যদি মনোভাব থাকত কাউকে আড়াল করবে তাহলে এতজনকে গ্রেপ্তার ও বহিষ্কার করত না।