বিশ্বজুড়ে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়াল ৪ কোটি
গতবছরের শেষদিকে চীনের উহান থেকে ছড়িয়ে পড়া মহামারি করোনাভাইরাসে মাত্র ৯ মাসেই আক্রান্ত হয়েছে বিশ্বের ২১৩টি দেশ ও অঞ্চল। শতাব্দীর সবচেয়ে শক্তিশালী এই মহামারিতে এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে বিশ্বের চার কোটিরও বেশি মানুষ।
করোনা ভাইরাসে আক্রান্তদের সংখ্যা ও প্রাণহানির পরিসংখ্যান রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারের সোমবারের হালনাগাদ করা তথ্য অনুযায়ী, এ পর্যন্ত সারা বিশ্বে কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়েছেন ৪ কোটি ২ লাখ ৮১ হাজার ৮০ জন যার মধ্যে মারা গেছেন ১১ লাখ ১৮ হাজার ৩২৬ জন।
বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৩ কোটি ১ লাখ ১৬ হাজার ২২৮ জন। বর্তমানে চিকিৎসাধীন ৯০ লাখ ৪৬ হাজার ৫২৬ জন। এদের মধ্যে ৮৯ লাখ ৭৪ হাজার ৫৩১ জনের শরীরে মৃদু সংক্রমণ থাকলেও ৭১ হাজার ৯৯৫ জনের অবস্থা গুরুতর।
ভাইরাসটির আক্রমণে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা প্রভাবশালী দেশ যুক্তরাষ্ট্রের। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ২ লাখ ২৪ হাজার ৭৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে কোভিড-১৯ এ। আক্রান্ত হয়েছেন ৮৩ লাখ ৮৭ হাজার ৭৯৯ জন।
মৃতের সংখ্যায় যুক্তরাষ্ট্রের পরের অবস্থানে উঠে এসেছে ব্রাজিল। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ১ লাখ ৫৩ হাজার ৯০৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া আক্রান্তের সংখ্যা ৫২ লাখ ৩৫ হাজার ৩৩৪ জন।
মৃত্যুর তালিকায় ব্রাজিলের পরই দক্ষিণ এশিয়ার দেশ ভারতের অবস্থান। দেশটির ৭৫ লাখ ৫০ হাজার ২৭৩ জন এ পর্যন্ত কোভিড-১৯ শনাক্ত হয়েছেন। মারা গেছেন ১ লাখ ১৪ হাজার ৬৪২ জন। এছাড়া দক্ষিণ আমেরিকার আরেক দেশ মেক্সিকোতেও কোভিড ১৯ এ ৮৬ হাজার ১৬৭ জনের প্রাণ গেছে।
পৃথিবীর মানচিত্রের সবচেয়ে বেশি জায়গাজুড়ে থাকা ইউরেশিয়ান দেশ রাশিয়াতেও সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে ১৩ লাখ ৯৯ হাজার ৩৩৪ জনের।
ভাইরাসটি প্রথম শনাক্ত হয় চীনে। সেখানে এ ভাইরাসে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ৮৫ হাজার ৬৮৫ জন এবং মারা গেছেন ৪ হাজার ৬৩৪ জন।
বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত ভাইরাসটি শনাক্ত হয়েছে ৩ লাখ ৮৮ হাজার ৫৬৯ জনের শরীরে। এদের মধ্যে মারা গেছেন ৫,৬৬০ জন এবং সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন ৩ লাখ ৩ হাজার ৯৭২ জন।
ডিসেম্বরে চীনে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ নিশ্চিত হওয়া গেলেও বাংলাদেশে ভাইরাসটি শনাক্ত হয় ৮ মার্চ। ওইদিন তিন জন করোনা ভাইরাসের রোগী শনাক্ত হওয়ার কথা জানিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এরপর থেকে এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত শনাক্তকৃত রোগীর সংখ্যা অনেকটাই সমান্তরাল ছিল। কিন্তু এরপর থেকে বাড়তে থাকে রোগীর সংখ্যা।