দিল্লির আগুনে ঘুমের মধ্যে প্রাণ গেল ৪৩ জনের
ভারতের রাজধানী দিল্লির রাণী ঝাঁসি রোড এলাকায় একটি কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে ৪৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।
রোববার ভোরে বহুতল ওই কারখানাটিতে লাগা এই আগুনে আহত হয়ে হাসপাতালে আছেন আরও অনেকে। আহতদের মধ্য থেকেও মৃতের সংখ্যা বাড়ছে। খবর হিন্দুস্তান টাইমসের।
দিল্লি ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ভোর ৫টা ২২ মিনিটে স্থানীয়দের ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় তাদের ১৫টি ইউনিট। পরে আরও ১৫টি ইউনিট পাঠানো হয়। বেশ কিছুক্ষণের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। কারখানার ভিতরে আরও কেউ আটকে রয়েছেন কিনা, তা পরীক্ষা করে দেখছেন তারা।
দিল্লি ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক অতুল গার্গ বলেন, বহুতল ওই ভবনের ভেতর প্রায় ৬০ জন ঘুমাচ্ছিলেন। তারা সবাই ছিলেন ওই কারখানার শ্রমিক। মূলত ‘ধোঁয়ায় দম বন্ধ হয়েই’ অধিকাংশের মৃত্যু হয়েছে। ভবনের ভেতর থেকে জীবিত ও মৃত অবস্থায় মোট ৬৩ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক আরও জানান, আগুনে লাগার কারণ সম্পর্কে এখনো তারা অনিশ্চিত। ভবনে কোন অগ্নিনির্বাপক উপকরণ ছিল কিনা সেটিও তদন্তের বিষয় কারণ ভবনটি বেশ পুরনো ছিল।
দুর্ঘটনার পরপরই এর কারণ খতিয়ে দেখতে একটি তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছে দিল্লি সরকার। কমিটিকে সাতদিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পর দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল বলেন, এটা খুবই দুঃখজনক ঘটনা। আমি এ ঘটনা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছি। অগ্নিকাণ্ডে যাদের মৃত্যু হয়েছে তাদের পরিবারকে ১০ লাখ রুপি এবং যারা আহত হয়েছে তাদেরকে ১ লাখ রুপি ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। যারা আহত হয়েছে তাদের চিকিৎসার সকল ব্যয়ভার সরকার বহন করবে।
ঘটনায় নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে টুইট করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
এক টুইট বার্তায় তিনি লিখেছেন, ভয়ঙ্কর এই অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের পরিবারকে সমবেদনা জানাই। আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করি। কর্তৃপক্ষ সব রকম সাহায্য করছে।
শোকবার্তা জানিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও টুইট করেছেন।
তিনি লিখেছেন, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জরুরি ভিত্তিতে সব রকম সাহায্যের নির্দেশ দিয়েছি।
শোকবার্তা জানিয়েছেন বিরোধী দল কংগ্রেস পার্টির রাহুল গান্ধীও।