ডিজিটাল সেবাদানে আরব আমিরাতের সেরা ও বাজে শীর্ষ পাঁচ সরকারি সংস্থার নাম প্রকাশ
ডিজিটাল সেবাদানে দেশের সবচেয়ে সেরা ও বাজে পাঁচ সরকারি সংস্থার নাম ঘোষণা করেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। শুক্রবার সংযুক্ত আরব আমিরাতের উপ-রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও দুবাইয়ের শাসক শেখ মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুম এক টুইটবার্তায় সংস্থাগুলোর নাম প্রকাশ করেন।
ডিজিটাল সেবাদানকারী সেরা পাঁচ সংস্থার মধ্যে শীর্ষে রয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নাম। তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ফেডারেল অথরিটি ফর আইডেনটিটি অ্যান্ড সিটিজেনশিপ (আইসিএ)। এর বাইরে, তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম সেরা সংস্থার তালিকায় যথাক্রমে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, জলবায়ু ও পরিবেশ বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও কমিউনিটি উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের নাম রয়েছে।
শুক্রবার শেখ মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুম টুইটবার্তায় লিখেন, "ভাই ও বোনেরা...তিন মাস আগে আমরা যথাযোগ্য কর্তৃপক্ষকে বিভিন্ন সরকারি সংস্থার ডিজিটাল সেবাদান মূল্যায়নের নির্দেশনা প্রদান করি। সরকারের ৩০টি সংস্থার ৫৫ হাজার গ্রাহকের জনমত জরিপের ভিত্তিতে আমরা সরকারের সবথেকে সেরা ও বাজে পাঁচ সংস্থার নাম ঘোষণা করছি। সবথেকে বাজে সেবা দেওয়া সংস্থাগুলোকে আমরা পরিষেবা ব্যবস্থা উন্নত করতে ৯০ দিন সুযোগ দিচ্ছি। সংস্থাগুলোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে আমরা পুনঃমূল্যায়ন করব।"
তালিকায় সবচেয়ে বাজে সেবা দানকারী প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শীর্ষে রয়েছে সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নাম। দ্বিতীয় অবস্থানে আছে ফেডারেল ট্যাক্স অথরিটি। তালিকায় তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চমে রয়েছে যথাক্রমে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড কমোডিটিজ অথরিটি (এসসিএ), জেনারেল পেনশন অ্যান্ড সোশাল সিকিউরিটি অথরিটি এবং সরকারের জ্বালানি শক্তি ও অবকাঠামো বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে নিয়মিত ভিত্তিতে সরকারি সংস্থার মূল্যায়ন ও জবাবদিহিতার ওপর জোর দেন শেখ মোহাম্মদ।
ফেডারেল সরকারের পারফরম্যান্স, সেবার মান ও যেকোনো সময় যেকোনো জায়গায় গ্রাহকের পাশে থাকা ইত্যাদি মূল্যায়নে নির্দেশক হিসেবে সাধারণ মানুষের মতামতই সঠিক হবে বলেও জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, "সরকারের সেবা ও কাজের মান নির্ণয়ে কমিউনিটিকে যুক্ত করার পাশাপাশি মূল্যায়নকৃত সংস্থাগুলোর ফলাফল জনসম্মুখে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আরব আমিরাত সরকার। আমাদের বিশ্বাস, সরকারের কার্যক্রম ও সেবাদানের মূল্যায়নে আমাদের সমাজব্যবস্থাই সবথেকে সেরা।"
"বিশদভাবে মূল্যায়নের প্রথম দফার পরেই প্রতিযোগিতায় টিকতে পিছিয়ে পড়া প্রতিষ্ঠানগুলোকে আমরা তরুণ, দক্ষ ও আত্মবিশ্বাসী যারা সরকারি সংস্থায় নতুনত্ব আনতে পারবে, তাদের সুযোগ দেওয়ার ওপর জোর দিয়েছি," বলেন তিনি।
"সেসব সংস্থা সেবাদানে সেরাটা দিয়েছে, তারা প্রশংসার দাবিদার। আরব আমিরাত সরকারকে বিশ্বের সবথেকে সেরা সেবাদানকারীতে পরিণত করার লক্ষ্য পূরণে আমরা এখন তাদের কাছে আরও বেশি আশা রাখছি।"
"ডিজিটাল সরকারি পরিষেবায় আমরা ৯০ শতাংশ গ্রাহকের সন্তুষ্টি চাই। আমাদের সরকারি দলের সক্ষমতায় আমরা আত্মবিশ্বাসী। দ্রুততম সময়ে দক্ষতা পুরোপুরি অর্জন করা সম্ভব হবে বলে আশা করছি," বলেন শেখ মোহাম্মদ।
"যেসব সংস্থা চাহিদা অনুযায়ী ডিজিটাল সেবাদান উন্নত করতে পারেনি তাদের সংশোধন ও সেরা ফলাফল অর্জনের জন্য আমরা ৯০ দিন অপেক্ষা করব। ডিজিটাল সেবার মানোন্নয়নে ডিজিটাল সরকারকে তদারকি করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এই সংস্থাগুলোর সেবার মান পুনরায় মূল্যায়ন করা হবে। সার্বিকভাবে ডিজিটাল রূপান্তর নিয়ে আসার প্রাথমিক লক্ষ্য পূরণ নিশ্চিত করতেই তা করা হবে," বলেন তিনি।
মাঠ পর্যায়ের গবেষণায় আরব আমিরাত সরকারের ৫৫ হাজার গ্রাহকের জনমত জরিপের মাধ্যমে এই মূল্যায়ন করা হয়। প্রায় তিন মাস ধরে জরিপের কাজ চলে। ৩০টি সরকারি সংস্থার সেবাদানের মান নিয়ে জরিপ পরিচালিত হয়। দেশজুড়ে ৫৮টি ডিজিটাল চ্যানেলের মাধ্যমে সংস্থাগুলো এক হাজার ৩০০টির বেশি পরিষেবা দিয়ে থাকে।
- সূত্র: গালফ নিউজ