চীনের সব অঞ্চলে করোনা ভাইরাস
চীনের উহান থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনা ভাইরাসে দেশটির সব অঞ্চলের মানুষ আক্রান্ত হয়েছে। সবশেষ দেশটির স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল তিব্বতে একজনের আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।
এ ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৭০ জনে দাঁড়িয়েছে।
চীনের স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে বিবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়, বুধবার পর্যন্ত দেশটিতে ভাইরাসে সাত হাজার ৭১১ জনের আক্রান্ত হওয়ার বিষয় নিশ্চিত হওয়া গেছে।
চীনের পাশাপাশি আরও অন্তত ১৬টি দেশে ছড়িয়েছে ভাইরাস।
এমন পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার বৈঠকে বসছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। এতে করোনা ভাইরাসকে বৈশ্বিক স্বাস্থ্যবিষয়ক জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা উচিত কি না, তা নিয়ে আলোচনা করা হবে।
এর আগে বুধবার জার্মানি, ভিয়েতনাম ও জাপানের দিকে ইঙ্গিত করে ডব্লিউএইচওর মহাপরিচালক টেডরোস আধানম গেবরেয়েসুস বলেন, "গত কয়েক দিনে বিশেষত কয়েকটি দেশে, মানুষের কাছ থেকে মানুষে ভাইরাসটির বিস্তার আমাদের উদ্বেগে ফেলেছে।"
তিনি আরও বলেন, "যদিও চীনের বাইরে (আক্রান্তের) সংখ্যাটা তুলনামূলক কম, তারপরও এগুলো বড় ধরনের প্রাদুর্ভাবের শঙ্কা তৈরি করছে।"
করোনা ভাইরাস থেকে আরোগ্যের সুনির্দিষ্ট কোনো ব্যবস্থা বা ভ্যাকসিন নেই।
এ ভাইরাসে আক্রান্ত অনেকের সামান্য কিছু লক্ষণ দেখা যায় এবং এগুলো সেরেও যায়।
তবে ভাইরাসটি শ্বাসতন্ত্রে মারাত্মক প্রদাহের সৃষ্টি করতে পারে, যাতে আক্রান্ত ব্যক্তির মৃত্যু হতে পারে।
সার্স ও ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো করোনা ভাইরাসেও প্রাপ্তবয়স্ক এবং আগে থেকে রোগাক্রান্ত লোকজনের ঝুঁকি বেশি।
এখন পর্যন্ত এ ভাইরাসে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ও মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে চীনের হুবেই প্রদেশ ও এর রাজধানী উহানে।
ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে উহান শহর কার্যত অবরুদ্ধ।
ভাইরাসের বিস্তার রোধে চীন কর্তৃপক্ষ অসংখ্য স্থানে যানবাহন চলাচলে নিয়ন্ত্রণ আরোপ করেছে।