চার বছর পর মিশরের জেল থেকে আল জাজিরার সাংবাদিকের মুক্তি
চার বছর পর কাতার ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার একজন সাংবাদিককে মুক্তি দিল মিসর।
২০১৬ সালে দোহা থেকে কায়রোতে আসার পর সাংবাদিক মাহমুদ হুসেইনকে আটক করা হয়। তার বিরুদ্ধে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ, নিষিদ্ধ দলে যোগদান এবং বিদেশি কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অর্থ গ্রহণের অভিযোগ আনা হয়।
তবে এখন পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে কোনো আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন করেনি মিসর সরকার।
সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন ও মিশর জানুয়ারিতে কাতারের সাথে তাদের কূটনৈতিক, বাণিজ্য ও ভ্রমণ সম্পর্ক পুনরুদ্ধারের পরেই তাকে মুক্তির এ সিদ্ধান্ত দেয়া হলো। কাতার সন্ত্রাসবাদের সমর্থক, এমন অভিযোগ এনে দেশগুলো ২০১৭ সালে কাতারের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করে। তবে দোহা বরাবরই এ অভিযোগ অস্বীকার করে এসেছে।
কায়রোর একটি আদালত হুসেইনকে "সতর্কতামূলক ব্যবস্থা" গ্রহণ সহযোগে মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দেয়। মাহমুদের ভাই নাগেহ হুসেন এবং আইনজীবী তাহের আবু আল-নসর রয়টার্সকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
আবু আল-নসর বলেছেন, রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কোন আপিল করেনি।
এখন পর্যন্ত মুক্তির ওপর স্পষ্টভাবে কোন শর্ত আরোপ না হলেও নাগেহ হুসেইন জানিয়েছেন তার ভাইকে সপ্তাহে বেশ কয়েক ঘন্টা থানায় কাটাতে হতে পারে।
আল জাজিরা মিডিয়া নেটওয়ার্ক এই সংবাদকে স্বাগত জানিয়েছে।
"গত চার বছর মাহুমদের সাথে যা হয়েছে এই পরিণতি যেন আর কোনো সাংবাদিককে ভোগ করতে না হয়", নিজেদের ওয়েবসাইটে জানায় আরব নেটওয়ার্কটি।
সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে মাহমুদের ভাইয়ের পোস্ট করা একটি ভিডিওতে দেখা যায়, মাহমুদকে কায়রোতে প্রতিবেশি ও আত্মীয়-পরিজনেরা ঘিরে আনন্দে মেতে উঠেছেন।
২০১৫ সালে মিশর তিনজন আল জাজিরার সাংবাদিক, একজন অস্ট্রেলিয়ান, একজন মিশরীয়-কানাডিয়ান এবং একজন মিশরীয়কে মুক্তি দেয়।
এদিকে দ্য কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্ট মিশরের বিরুদ্ধে সাংবাদিকদের কারাগারে পাঠানোর অভিযোগ এনেছে; ২০২০ এর শেষেও তাদের কারাগারে ২৭ জন বন্দী ছিল বলে তারা উল্লেখ করে।
মিশরীয় কর্তৃপক্ষ জানায়, যারা আইন ভঙ্গ করেছেন কেবল তাদের বিরুদ্ধেই আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
- সূত্রঃ রয়টার্স