কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন পরিবহনে লাগবে ৮ হাজার বিমান
এয়ারলাইন্স ইন্ডাস্ট্রির মতে, করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পৌঁছে দেওয়ার কাজটি হবে 'স্মরণকালের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ'।
ইন্টারন্যাশনাল এয়ার ট্রান্সপোর্টেশন এসোসিয়েশনের (আইএটিএ) মতে, ভ্যাকসিন পৌঁছানোর কাজে এই সময়ে প্রয়োজন হবে ৮ হাজার বোয়িং ৭৪৭ বিমান৷
এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসের কোনো ভ্যাকসিন বের না হলেও ভ্যাকসিনের পরিবহন নিয়ে আইএটিএ ইতোমধ্যে এয়ারলাইনস, এয়ারপোর্ট, স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বৈশ্বিক সংস্থাগুলোর সঙ্গে কাজ করা শুরু করেছে৷
বণ্টনের এই পরিকল্পনাটি এমনভাবে করা হয়েছে যাতে প্রত্যেক মানুষ একটি করে ভ্যাকসিন পায়।
আইএটিএ'র প্রধান নির্বাহী অ্যালেক্সান্দ্রে দ্য জুনিয়াক বলেন, "করোনার ভ্যাকসিন নিরাপদে সব দেশে পৌঁছে দেওয়া গ্লোবাল এয়ার কার্গো ইন্ডাস্ট্রির জন্য শতাব্দীর সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। কিন্তু যথেষ্ট পরিকল্পনা ছাড়া এটা সম্ভব না৷ এবং এখনই এটা করার সময়।"
বিবিসি'র এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সব বিমানে করে এই ভ্যাকসিন পরিবহন করানোও যাবে না৷ কারণে ভ্যাকসিনের সংরক্ষণের জন্য ২ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে শূন্য ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রারও প্রয়োজন হতে পারে।
এই কার্গো ট্রান্সপোর্টেশন সংস্থার ইন্ডাস্ট্রিয়াল প্রধান গ্লিন হগ বলেন, "আমরা এই প্রক্রিয়াটি জানি। আমাদের যেটা করতে হবে তা হল, আমাদের সবকিছু আগে থেকেই গুছিয়ে রাখতে হবে।"