করোনা মোকাবিলায় ‘ঝলমলে সাফল্যের’ দাবি উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের
করোনাভাইরাসের মোকাবিলায় উত্তর কোরিয়া 'ঝলমলে সাফল্য' অর্জন করেছে মন্তব্য করে কর্মকর্তাদের প্রশংসায় ভাসিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট কিম জং উন।
তবে তিনি এটাও বলেছেন, ভাইরাস মোকাবিলায় তড়িঘড়ি করে সব ধরণের সতর্কতামূলক বিধিনিষেধ উঠিয়ে দিলে সেটা উল্টো বিধ্বংসী হবে দেশের জন্য।
শুক্রবার উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম কেসিএনএ'তে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশের শীর্ষ রাজনীতিবিদদের নিয়ে করা এক বৈঠকে কিম বলেছেন, ব্যাপক পরিসরে লকডাউন করে দেশের ভেতর করোনার ছড়িয়ে পড়াকে থামিয়ে দিয়েছেন তারা।
তিনি বলেন, "আমরা সামগ্রিকভাবে এই মারাত্মক ভাইরাসটির আক্রমণ প্রতিরোধ করেছি। যেখানে সারাবিশ্ব স্বাস্থ্য সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে সেখানে আমরা আমরা মহামারিহীন একটি স্থিতিশীল পরিস্থিতি বজায় রেখেছি যা একটি ঝলমলে সাফল্য।"
তবে আত্মতুষ্টিতে ভোগার জন্য কর্মকর্তাদের কঠিন কঠিন কথাও শুনিয়ে দেন স্বৈরাচারী প্রেসিডেন্ট কিম।
তিনি বলেন, "মহামারি প্রতিরোধে নেওয়া কঠোর পদক্ষেপগুলো দ্রুত কমিয়ে দিলে তার ফলাফল হবে অকল্পনীয় এবং সংকট থেকে বেরিয়ে আসা অসাধ্য হবে।"
রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম কেসিএনএ তে প্রকাশিত ওই বৈঠকের একটি ছবিতে দেখা যায়, প্রেসিডেন্ট কিমের সভাপতিত্বে কয়েক ডজন কর্মকর্তা সেই বৈঠকে অংশ নেন, যাদের কারও মুখেই মাস্ক ছিলো না এবং কেউই নূন্যতম সামাজিক দূরত্ব মানছিলেন না।
তবে পিয়ংইয়ং এর কূটনৈতিক সূত্র সিএনএনকে জানিয়েছে, দেশের রাস্তাগুলোতে লোকজন মাস্ক পরেই ঘোরাঘুরি করে এবং সামাজিক দূরত্ব মেনে চলে। রাজধানীতে জীবনযাত্রা অনেকটাই স্বাভাবিক হয়ে গেছে। জুনের দিকে উত্তর কোরিয়ার স্কুলগুলোও খুলে দেওয়া হয়।
ওই কূটনৈতিক সূত্র বলছে, উত্তর কোরিয়ার কর্মকর্তারা দৃঢ়ভাবে মনে করেন, তারা পুরো দেশে বিশেষ করে পিয়ংইয়ং এ ভাইরাসকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পেরেছেন। অন্য একটি সূত্র বলছে, দেশটিতে কাউকে কখনো কোভিড-১৯ পরীক্ষা করা হয়েছে কিনা সেটি নিয়েও তার সন্দেহ রয়েছে।