করোনা ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা অর্ধসহস্রের ঘরে

করোনা ভাইরাসে চীনে মৃতের সংখ্যা এখন পাঁচশ’র কাছাকাছি বা ৪৯০ জনে পৌঁছেছে। গত ১১ দিনে নতুন করে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ডাবল ডিজিট আকারে এমন দ্রুত গতিতে বাড়ছে যে এই প্রকোপ কমার কোনো লক্ষ্মণ এখন পর্যন্ত দেখা যাচ্ছে না। খবর নিউ ইয়র্ক টাইমস ও ব্লুমবার্গের।
ইতোমধ্যেই মৃতের সংখ্যা ২০০২-০৩ সালে সার্স ভাইরাসে প্রাণহানিকে অতিক্রম করেছে। উল্লেখ্য, সার্সের প্রাদুর্ভাবে ওই সময় চীনের মূল ভূখণ্ডে মোট ৩৪৯ জন মারা যান।
চীনের বাইরে জাপান এবং সিঙ্গাপুরে নতুন সংক্রমণের খবর জানা গেছে। দেশদুটির স্বাস্থ্যসেবা কতৃপক্ষ বিষয়টি নিশ্চিত করে।
এরপরেও অবশ্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা করোনা ভাইরাস এখনো পৃথিবীব্যাপী মহামারি তৈরির মতো শক্তিশালী অভিযোজন সক্ষমতা অর্জন করেনি বলে জানিয়েছে।

এখন পর্যন্ত সিংহভাগ নতুন সংক্রমণ এবং মৃতের সংখ্যার প্রায় পুরোটাই হচ্ছে চীনের হুবেই প্রদেশে। তবে এর প্রভাব পুরো বিশ্বকেই শঙ্কায় ফেলে। বৈশ্বিক পুঁজি, মুদ্রা ও জ্বালানি তেলের বাজারে করোনার প্রভাব এখন খুবই স্পষ্ট।
এদিকে জাপান নিশ্চিত করে একটি প্রমোদতরিতে অবস্থানরত ১০ ব্যক্তিকে তারা করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হিসেবে শণাক্ত করেছেন। সিঙ্গাপুরে পরীক্ষার পর নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন আরও ৬ ব্যক্তি। এদের মাঝে চারজনই ইতোপূর্বে আক্রান্ত ব্যক্তিদের সংস্পর্শে আসার ফলে ভাইরাস কবলিত হন। দক্ষিণ কোরিয়াও দুটি নতুন কেস যোগ করেছে ।
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও উদ্বিগ্ন। ট্রাম্পের স্টেট অব দ্য ইউনিয়ন বা জাতির উদ্দেশ্যে দেয়া ভাষণেও করোনা ভাইরাস প্রসঙ্গ উঠে আসে। ট্রাম্প জানান, ভাইরাসের আরও ব্যাপক সংক্রমণ ঠেকাতে যুক্তরাষ্ট্র চীনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে। তার প্রশাসন মার্কিন জনগণের সুরক্ষায় প্রয়োজনীয় সকল পদক্ষেপ নিচ্ছে বলেও জানান মার্কিন রাষ্ট্রপতি।