করোনা থেকে বাঁচতে জিরাফ সাজে হাসপাতালে
জীবাণু সংক্রমণে প্রাণহানি অতীত ইতিহাসে সব দেশের মানুষের মাঝেই আতঙ্ক তৈরি করেছে। সতর্ক থাকার প্রতিক্রিয়ায় দেখা গেছে নানা বিচিত্র কাণ্ড। সাম্প্রতিক সময়ে চীনেও করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) ছড়িয়ে পড়ার পর থেকেই নানা আজব কাণ্ড ঘটছে।
টয়লেট পেপার ডাকাতি, মাস্ক সংকটে ফলের খোসা দিয়ে মাস্ক তৈরি ইত্যাদি নানা খবর ইতোমধ্যেই আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমে মজার সব শিরোনামের জন্ম দেয়।
তবে সম্প্রতি এক চীনা নারী করে বসেছেন আর এক অদ্ভুত কাণ্ড। বাতাস দিয়ে ফোলানো জিরাফের পোশাক পড়ে হাসপাতালে অসুস্থ বাবার জন্য ওষুধ সংগ্রহ করতে যান তিনি। কস্টিউমটির গলায় বসানো এক স্বচ্ছ প্লাস্টিকের আবরণ দিয়ে থেকে বাইরে দেখার ব্যবস্থাও ছিল।
সিচুয়ান প্রদেশের লুঝৌ শহরের এক হাসপাতালে পার্টি ড্রেসে উপস্থিত ওই নারীর ভিডিও প্রকাশের পর তা এখন সামাজিক গণমাধ্যমে ভাইরাল আকারে ছড়িয়ে পড়েছে। খবর অডিটি সেন্ট্রালের।
এ নিয়ে অবশ্য মিসেস হে নামক ওই নারী খুব একটা চিন্তিত নন। তিনি একে নিজের আপদকালীন পরিস্থিতির এক আবিষ্কার বলেই দাবি করেন।
তিনি বলেন, আমার বৃদ্ধ বাবা ভাইরাস সংক্রমণের আগে থেকেই শ্বাস কষ্টে ভুগছেন। ওয়েবক্যামের মাধ্যমে যোগাযোগ করার পর লুঝৌ হাসাপাতালের চিকিৎসকরা তাকে কিছু ওষুধ সেবনের পরামর্শ দেন। কিন্তু, আমি ছাড়া এই ওষুধ সংগ্রহ করার অন্য কেউ নেই। পরিবারে এখন আমিই সবচেয়ে সমর্থ ব্যক্তি।
এই অবস্থায় বাড়িতে একটি পুরোনো মেডিক্যাল মাস্ক ছাড়া নিরাপত্তার কোনো ব্যবস্থা ছিল না। ওটা পড়ে হাসপাতালে গিয়ে আমি ভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি নিতে চাইনি। আমার মাধ্যমে পরিবারের অন্যদের মাঝেও তা ছড়িয়ে পড়তে পারতো। একারণেই আমি জিরাফ আকৃতির পার্টি কস্টিউমটি ব্যবহার করি।
এদিকে ভিডিওটি লুঝৌ হাসপাতালের কর্মীরাই রেকর্ড করেছিলেন। ভিডিওতে হে নামের ওই নারীকে জিরাফের পোশাক পড়ে হাসপাতালে চলাফেরা করতে দেখা গেছে।
চীনের সামাজিক গণমাধ্যমে এই ভিডিও দেখে সাধারণ চীনা নাগরিকেরাও খুব আনন্দ পাচ্ছেন। মিসেস হু’র ভিডিও তাদের ঠোঁটের কোণে আনন্দের হাসি ফোটাচ্ছে। সংকটের এই সময়ে এমন নির্ভার বিনোদন এখন চীনাদের খুবই দরকার।