করোনার প্রতিষেধক তৈরি হচ্ছে কানাডায়

বিশ্ব যখন কোভিড-১৯ মহামারির মুখোমুখি লড়ছে, এমন সময় কানাডায় একটি প্রতিষেধক তৈরির কাজ চলছে। কানাডার সাসকাচোয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষাগারে করোনা ভাইরাস ভ্যাকসিন আনুষ্ঠানিকভাবে পরীক্ষার পর্যায়ে রয়েছে। যদিও এই প্রতিষেধক মানুষের ব্যবহার উপযোগী করার জন্য আরও অনেকদিন অপেক্ষা করতে হবে। সংশ্লিষ্টরা অবশ্য কঠোর পরিশ্রম করছেন, অনুদানের অর্থ আসায় কাজ চলছে দ্রুতগতিতে।
২০২০ সালের জানুয়ারিতে সাসকাচোয়ান বিশ্ববিদ্যালয়কে কোভিড-১৯-এর একটি প্রতিষেধক তৈরির কাজ শুরুর অনুমতি দেয় কানাডার জনস্বাস্থ্য সংস্থা। সেই থেকে গবেষণাটি পরিচালনার অনুদান পাচ্ছেন গবেষকরা।
এটি সম্পূর্ণ হতে এক বছরের মতো সময় লেগে যেতে পারে। যদিও সাসকাচোয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের ভ্যাকসিন এবং সংক্রামক ব্যাধি সংস্থা- আন্তর্জাতিক ভ্যাকসিন কেন্দ্র নিশ্চিত করেছে, ভ্যাকসিনটি ইতোমধ্যেই এখন প্রাণীদের ওপর পরীক্ষা করা হচ্ছে।
এটি কখন মানুষের ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত হতে পারে- সে সম্পর্কে কোনো নির্দিষ্ট সময় জানানো হয়নি।
ভিআইডিও-ইন্টারভ্যাকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও পরিচালক ভোলকার গার্ডস বলেছেন, সার্স-এর প্রাদুর্ভাব থেকে যা কিছু জানা গেছে, তা গবেষকদের প্রতিষেধকটির চেহারা কেমন হবে, তার ধারণা দেয়। তবে প্রতিষেধকটি শতভাগ কাজ করবে বলে আশা করছেন গবেষকরা।
প্রাণীর শরীরে সফল পরীক্ষার পরই মেডিকেলে মানুষের শরীরে পরীক্ষার জন্য ভ্যাকসিনটি পাঠানো হবে।
করোনা ভাইরাসের প্রতিষেধক তৈরির জন্য সম্প্রতি ১০ লাখ ডলার অনুদান দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, কানাডায় করোনা সংক্রমণ বাড়ছে। শুক্রবার এই ভাইরাসে আক্রান্ত হন প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর স্ত্রী সোফি গ্রেগরি। দেশটির ৭০ শতাংশ মানুষ করোনায় আক্রান্ত হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।