করোনাভাইরাস: মৃত্যুর মিছিল ৫৫ হাজার অতিক্রম করলো

করোনাভাইরাসের বিশ্ব মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়ার ঘটনা বেশিদিন আগের কথা নয়। কিন্তু এর মধ্যেই নিজের ভয়ঙ্কর রূপ বিশ্বের কাছে তুলে ধরা শুরু করেছে কোভিড-১৯ ভাইরাস।
করোনাভাইরাস বিস্তারের প্রথম ৫৫ দিনে মাত্র এক লাখ মানুষ এতে সংক্রমিত হয়েছিলেন। এরপর ৭৬ দিনের মাথায় আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ায় পাঁচ লাখে। সেই পাঁচ লাখই এখন দশ লাখ ছাড়িয়েছে মাত্র গত আট দিনে।
আজ শুক্রবার নাগাদ এতে আক্রান্তের সংখ্যা ১০ লাখ ছাড়িয়ে দাঁড়ায় ১০ লাখ ৪০ হাজার ৯৯৭ জনে। আর বৈশ্বিক প্রাণহানির সংখ্যা ৫৫ হাজার ছাড়িয়েছে।
এদিন সবচেয়ে বেশি মানুষের প্রাণহানি হয়েছে ইতালিতে। এরপরেই দ্বিতীয় এবং তৃতীয় অবস্থানে ছিল স্পেন ও যুক্তরাষ্ট্র।
ইতালিতে শুক্রবার নাগাদ কোভিড-১৯ প্রাণ কেড়েছে ১৩ হাজার ৯১৫ জনের। এটি সমগ্র বিশ্ব মাঝে শীর্ষ মৃত্যুহার হলেও প্রকৃত সংখ্যা এর চেয়েও বেশি বলে ধারণা করছেন অনেক বিশেষজ্ঞ। সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে প্রভাবশালী মার্কিন দৈনিক ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল একথা জানিয়েছে।
এই ব্যাপারে করোনাভাইরাসে বিপর্যস্ত ইতালির কোকাজিলো শহরের মেয়র ইউজিনিও ফস্যাটি দৈনিকটিকে বলেন, আনুষ্ঠানিকভাবে যতো মানুষকে মৃত ঘোষণা করা হয়েছে- প্রকৃত সংখ্যা তার চাইতে অনেক বেশি।

তিনি বলেন, অনেক মানুষ সংক্রমণ শনাক্তকরণ ছাড়াই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। এর প্রধান কারণ আমাদের হাতে সবাইকে পরীক্ষা করার মতো যথেষ্ট সময় ও সম্পদ ছিল না।
মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বিশ্বব্যাপী ৫৫ হাজার ১৯৫ জন মারা গেছেন। এখন পর্যন্ত এ ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে ১০ লাখ ৪০ হাজার ৯৯৭ জনের শরীরে।
আক্রান্তদের মধ্যে সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন ২ লাখ ২২ হাজার ৩৩২ জন। বর্তমানে চিকিৎসাধীন ৭ লাখ ৬৩ হাজার ৪৭০ জন। এদের মধ্যে ৭ লাখ ২৫ হাজার ৫৫ জনের অবস্থা স্থিতিশীল এবং ৩৮ হাজার ৪১৫ জনের অবস্থা গুরুতর।
এখন পর্যন্ত এ ভাইরাস সবচেয়ে বেশি শনাক্ত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। দেশটিতে এ ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে ২ লাখ ৪৫ হাজার ৪৪২ জনের শরীরে। সেখানে মারা গেছেন ৬ হাজার ৯৯ জন।
আক্রান্তের দিক থেকে তৃতীয় অবস্থানে থাকলেও মৃত্যুর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি ইতালিতে। দেশটিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখ ১৫ হাজার ২৪২ জন। সেখানে মারা গেছেন ১৩ হাজার ৯১৫ জন।
ভাইরাসটির উৎপত্তিস্থল চীনে এ ভাইরাসে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ৮১ হাজার ৬২০ জন এবং মারা গেছেন ৩ হাজার ৩৩২ জন।
বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত ভাইরাসটি শনাক্ত হয়েছে ৬১ জনের শরীরে। এদের মধ্যে মারা গেছেন ছয়জন এবং সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন ২৬ জন। বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ২৯ জন।