এবার বেজোসকে এক হাত দেখে নিলেন এলন মাস্ক
মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসার বড় ধরনের একটি চুক্তিকে চ্যালেঞ্জ করার পরই জেফ বেজোসকে এক হাত দেখে নিলেন টেসলা প্রধান এলন মাস্ক। এর মধ্য দিয়ে মহাকাশ নিয়ে বিশ্বের শীর্ষ দুই ধনীর মধ্যকার প্রতিদ্বন্দ্বিতা আবারও তুঙ্গে উঠেছে।
২০২৪ সাল নাগাদ চাঁদে নতুন মহাকাশযান পাঠানোর পরিকল্পনা করছে নাসা। এই মহাকাশযান নির্মাণ নিয়েই সরকারের সাথে বহুল আকাঙ্খিত চুক্তি করতে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামেন প্রযুক্তি খাতের দুই শীর্ষ প্রধান।
জিতে গিয়ে চন্দ্রযান নির্মাণের চুক্তি বাগিয়ে নেন মাস্ক। কিন্তু তাতে খুশি হতে পারেননি বেজোস।
বেজোসের প্রতিষ্ঠান ব্লু অরিজিন সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের গভর্নমেন্ট অ্যাকাউন্টেবিলিটি অফিসের (জিএও) কাছে নাসার বিরুদ্ধে শেষ মুহূর্তে চুক্তি নিয়ে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ দায়ের করে।
তবে, স্পেসএক্সের সিইও মাস্কও চুপচাপ বসে থাকেননি। নাম উল্লেখ না করে টুইটে বেজোসকে নিয়ে ব্যঙ্গ করে করেন তিনি। সেখানে বেজোসকে অক্ষম বলে খোঁচা দিলেও ব্র্যাকেটে পুনরায় কক্ষপথে যেতে না পারার অক্ষমতার বিষয়টিও আলাদা করে উল্লেখ করেন মাস্ক।
টুইটারে বেশি কিছু খোলাসা না করলেও ২০১৯ সালে টুইটারে বেজোসের চন্দ্রযান উন্মোচনের একটি প্রতিবেদনের স্ক্রিনশটও তুলে ধরেন তিনি।
মহাকাশ পরিবহনের ক্ষেত্রে স্পেসএক্স এবং ইউনাইটেড লঞ্চ অ্যালায়েন্সের (ইউএলএ) থেকে পিছিয়ে আছে ব্লু অরিজিন। ২০২২ সালে শুরু হওয়া যুক্তরাজ্যের নিরাপত্তা বিষয়ক হাজার কোটি টাকার চুক্তি হারায় বেজোসের এই প্রতিষ্ঠান।
মূলত কম খরচে কক্ষপথে গ্রাহকের স্যাটেলাইট প্রেরণই নতুন গৃহীত এই উদ্যোগগুলোর মূল লক্ষ্য। খরচ বাঁচাতে রকেটের বিভিন্ন অংশের পুনঃব্যবহারের পরিকল্পনাও করা হয়েছে।
এ মাসের শুরুতে নাসা ব্লু অরিজিন এবং প্রতিরক্ষা কন্ট্রাক্টর ডায়নেটিকসকে বাদ দিয়ে স্পেসএক্সের হাতে চন্দ্রযান চুক্তি তুলে দেয়। এই প্রকল্পের মাধ্যমে ১৯৭২ সালের পর প্রথমবারের মতো চাঁদে মানুষ পাঠানোর পরিকল্পনা করছে নাসা।
- সূত্র: এনডিটিভি