আগামী তিন বছরে ১২ লাখের বেশি অভিবাসী নেবে কানাডা
আগামী তিন বছরে ১২ লাখের বেশি অভিবাসী নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে কানাডা। দেশটিতে শ্রমবাজারের শূন্যতা পূরনে এবং অর্থনীতির ওপর কোভিড-১৯ এর প্রভাব কাটিয়ে উঠতেই এসিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটি। গত শুক্রবার কানাডার অভিবাসন বিষয়ক মন্ত্রী মার্কো মেনডিসিনো এসব কথা জানান।
রাজধানী অটোয়ায় এক সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেন, কানাডা সরকার ২০২১ -২৩ সালে যথাক্রমে; ৪ লাখ এক হাজার, ৪ লাখ ১১ হাজার এবং ৪ লাখ ২১ হাজার স্থায়ী বাসিন্দা নেওয়ার লক্ষ্যে কাজ শুরু করেছে। তিনি জানান, কানাডার আরও কর্মী প্রয়োজন এবং অভিবাসন-ই তার উপযুক্ত উপায়।
তিনি আরও বলেন, মহামারির প্রাদুর্ভাবের আগে অভিবাসীদের মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে উচ্চাকাঙ্খী লক্ষ্য ছিল। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে এটি গুরূত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। খবর সিএনএনের।
এবিষয়ে ইউনিভার্সিটি অব ক্যালগারি স্কুল অব পাবলিক পলিসির অভিবাসন নীতি গবেষক রবার্ট ফ্যালকোনা এক টুইটার বার্তায় বলেন, সরকার এ লক্ষ্য অর্জনে সক্ষম হলে ১৯১১ সালের পর আগামী ৩ বছরে অভিবাসনের রেকর্ডই সর্বোচ্চ হবে।
বিস্তারিত নোটিশে জানানো হয়েছে, ২০২১ সালের মধ্যে দুই লাখ ৩২ হাজার ৫০০ অভিবাসী অর্থনৈতিক ক্যাটাগরিতে সুযোগ পাবেন।
কানাডায় ইতোমধ্যে অবস্থানরত অভিবাসীদের পরিবারের সদস্য হিসেবে এক লাখ ৩ হাজার ৫০০ জন, শরনার্থী হিসেবে ৫৯ হাজার ৫০০ জন ও মানবিক কারণে আরও ৫,৫০০ জনকে সুযোগ দেয়া হবে।
কোভিড-১৯ মহামারির কারণে মার্চেই দেশটির সীমান্ত বন্ধ করে দেয়া হয়। তারপরও আগস্টে নতুন এক লাখ ২৮ হাজার ৪২৫ জন অভিবাসী প্রবেশ করেছেন দেশটিতে। যদিও এ সংখ্যা ২০২০ সালের অভিবাসী গ্রহণের লক্ষ্যমাত্রা ৩ লাখ ৪১ হাজারের অর্ধেকেরও কম।
অনেক আশ্রয়প্রার্থী এবং শরনার্থীরা স্বাস্থ্যসেবা, খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ ও খামারের মতো কানাডার প্রধান শিল্পখাতগুলোতে চাকরির পেতে সমস্যার সম্মুখীন হন।
স্থায়ী অভিবাসনের মর্যাদার দাবীতে বিগত কয়েক মাস ধরেই আন্দোলন চলছে কানাডায়। আন্দোলনকারীদের অনেকেই সংক্রমনের ঝুঁকিতে থেকেও কাজ করে যাচ্ছেন। চলমান এই পরিস্থিতির মধ্যেই অভিবাসী নেওয়ার এই ঘোষনা আসে।