জ্বালানি, বিদ্যুৎ, গ্যাস ও সারের পেছনে ৮২,৭৪৫ কোটি টাকার ভর্তুকি
প্রস্তাবিত ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটে জ্বালানি, বিদ্যুৎ, গ্যাস ও সারের পেছনে ৮২,৭৪৫ কোটি টাকা ভর্তুকি বরাদ্দ করা হয়েছে।
আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি ও এর পরিপ্রেক্ষিতে অভ্যন্তরীণ বাজারে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখা হবে ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটের বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য প্রধান চ্যালেঞ্জ হিসেবে উল্লেখ করেছেন অর্থমন্ত্রী। তিনি বলেন, 'আন্তর্জাতিক বাজারে মূল্য বৃদ্ধির কারণে বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ৯টি পণ্যের (জ্বালানি তেল, এলএনজি, গম, রাসায়নিক সার, পাম অয়েল, সয়াবিন তেল, কয়লা, ভুট্টা ও চাল) একই পরিমাণ আমদানি করতে বাংলাদেশকে ২০২১ সালের তুলনায় ২০২২ সালে সম্ভাব্য অতিরিক্ত ব্যয় হিসেবে ৮.২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার পরিশোধ করতে হবে।'
মন্ত্রী বলেন, 'এ অবস্থায় সরকারের ভর্তুকি ব্যবস্থাপনার ওপরেও চাপ সৃষ্টি হয়েছে। ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের বাজেটের প্রাথমিক প্রাক্কলনে ভর্তুকি ও প্রণোদনা বাবদ ব্যয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮২.৭৪৫ কোটি টাকা (জিডিপি'র ১.৯০ শতাংশ)। কিন্তু, আন্তর্জাতিক বাজারে তেল, গ্যাস ও সারের মূল্যের সাম্প্রতিক যে গতিপ্রকৃতি তাতে ভর্তুকি ব্যয় আরও ১৫-২০ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে, যা আগামী অর্থবছরের বাজেট ব্যবস্থাপনাতে একটি চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করবে।'
এর আগে, ২০২১-২০২২ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে ে খাতে ভর্তুকি ও প্রণোদনা বাবদ প্রাক্কলিত ব্যয় ছিল ৬৬.৮২৫ কোটি টাকা (জিডিপি'র ১.৭০ শতাংশ)।