মহামারি শিথিল হতেই আরও গতিশীল হওয়ার অঙ্গীকার আরএমজি সাসটেইনিবিলিটি কাউন্সিলের
নিরাপদ কর্মপরিবেশ তৈরির লক্ষ্যে তৈরি পোশাক কারখানা ভবনের কাঠামো এবং অগ্নি ও বৈদ্যুতিক নিরাপত্তা রক্ষা কার্যক্রমকে গতিশীল করতে তিন পক্ষের সমন্বয়ে গঠিত প্ল্যাটফর্ম আরএমজি সাসটেইনিবিলিটি কাউন্সিলের (আরএসসি) কার্যক্রমকে আরো গতিশীল করতে সম্মত হয়েছে সব পক্ষ। বিশেষত যেসব কারখানার সংস্কার কার্যক্রমে পিছিয়ে রয়েছে, তাদের সংস্কার কাজ দ্রুত সম্পন্ন করা এবং আরএসসির অ্যাকাউন্টেবিলিটি নিশ্চিত করা ও স্বাধীন প্রতিষ্ঠান হিসেবে যাতে কাজ করতে পারে, তাও গুরুত্ব পেয়েছে।
শনিবার রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে আরএসসির বোর্ড অব ডিরেক্টরসের এক সভায় এসব বিষয় আলোচনায় উঠে আসে।
বৈঠক সূত্র জানায়, ২০২০ সালের মে মাসে গঠিত হওয়ার আগে থেকেই বিশ্বব্যাপী কোভিড-১৯ এর প্রকোপ শুরু হওয়ার কারণে আরএসসির কার্যক্রমে প্রত্যাশিত গতি আসেনি বলে সবাই স্বীকার করেছেন।
বাংলাদেশ গার্মেন্টস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল ওয়ার্কার্স ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক বাবুল আক্তার বলেন, "আরএসসি গঠিত হওয়ার মধ্যে করোনা ধাক্কা আসায় এর গতি কমে গিয়েছিলো। কীভাবে এর গতি বাড়ানো যায়, ফান্ড বাড়াতে সাপ্লাইয়ারদের অংশগ্রহণ, স্বচ্ছতা ও দ্রুততার সঙ্গে অভিযোগ নিষ্পত্তি করা, সেফটি ইস্যুতে বন্ধ হওয়া কারখানা শ্রমিকের পাওনা কীভাবে পরিশোধ করা যাবে – এমন বিষয়গুলো আলোচনায় এসেছে।"
"আমরা বলেছি, কারখানার বিষয়ে যে কোন অভিযোগ আসলে তা যাতে দ্রুত ও স্বচ্ছতার সাথে নিষ্পত্তি করা হয়," বলেন তিনি।
বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সহ-সভাপতি মিরান আলী বলেন, "কীভাবে রেমিডিয়েশনের হার বাড়ানো যায় এবং কারখানাগুলোকে দ্রুত সনদ দেওয়া যায়, তা আলোচনায় এসেছে।"
সভা অত্যন্ত ফলপ্রসূ হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বোর্ড অব ডিরেক্টরসের ১৮ সদস্যের সবাই উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনা সভায় অংশগ্রহণকারীরা বলছেন, আরএসসি একটি স্বতন্ত্র এবং দায়িত্বশীল সংস্থা হওয়ার অঙ্গীকার করেছে যা তার বর্ধিত কার্যক্রমের সাথে তৈরি পোশাক খাতে বিশ্বমানের এবং টেকসই কর্মক্ষেত্র তৈরি করবে।
কাঠামোগত, বৈদ্যুতিক ও অগ্নি দুর্ঘটনা, লাইফ সেফটি এবং বয়লার নিরাপত্তা পরিদর্শন নিশ্চিত করা এর মূল দায়িত্ব হবে।
বর্তমানে আরএসসিতে তালিকাভুক্ত কারখানার সংখ্যা ১,৭০০ এর বেশি। আরএসসি এসব কারখানার সংস্কার কার্যক্রমের অগ্রগতি তদারক করছে।
সভায় আরএসসির ম্যানেজিং ডিরেক্টর ইকবাল এম হুসেইন সহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।