ডিসেম্বরে রেকর্ড ৪৯১ কোটি ডলার রপ্তানি বাংলাদেশের
রপ্তানিতে নতুন রেকর্ড গড়েছে বাংলাদেশ। গত ডিসেম্বরে দেশের রপ্তানি আয় হয়েছে ৪৯১ কোটি মার্কিন ডলার, যা কোনো একক মাস বিচারে সর্বোচ্চ। পশ্চিমা দেশগুলোতে আবার তৈরি পোশাকের চাহিদা বাড়ার কারণে এই অর্জন সম্ভব হলো।
এর আগে গত বছরের অক্টোবরে এক মাসে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রপ্তানি আয় হয়েছিল ৪৭৩ কোটি মার্কিন ডলার।
রোববার চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের জুলাই-ডিসেম্বর সময়ের রপ্তানির পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি)। এতে করোনা মহামারির মাঝেও রপ্তানিতে বাংলাদেশের আশাব্যঞ্জক অগ্রগতির ধারা লক্ষণীয়।
ইপিবির তথ্যানুযায়ী, ডিসেম্বরের জন্য নির্ধারিত ৩৯১ কোটি ডলারের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যায় রপ্তানি আয়, প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৪৮.২৭ শতাংশ।
গত মাসে তৈরি পোশাক রপ্তানি ৫২.৬ শতাংশ বেড়ে রপ্তানির পরিমাণ দাঁড়ায় ৩১৬ কোটি ডলার। এর ফলে ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রথমার্ধে মোট রপ্তানি আয় উন্নীত হয় ২,৪৬৯ কোটি ডলারে।
হিমায়িত খাবার, কৃষি, প্লাস্টিক পণ্য, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, পাট ও পাটজাত পণ্যও রপ্তানির এ প্রবৃদ্ধিতে ভালো অবদান রেখেছে। তবে ডিসেম্বরে ওষুধ শিল্পের রপ্তানি প্রবৃদ্ধি ৯.৮ শতাংশ কমেছে।
তৈরি পোশাক রপ্তানিকারকরা আগামী কয়েক মাসে রপ্তানি বাড়ার ব্যাপারে আশাবাদী হলেও তারা এটাও উল্লেখ করেন যে, ইনভেনটরির ঘাটতি ও কাঁচামালের মূল্যবৃদ্ধির কারণে এই প্রবৃদ্ধি আগামী অর্থবছরে অব্যাহত থাকবে না।
বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) পরিচালক আব্দুল্লাহ হিল রাকিব বলেন, "করোনা মহামারির কারণে ইউরোপের পোশাক পণ্য দোকানগুলো টানা দুই মৌসুম আমাদের থেকে পণ্য কেনেনি। এখন তাদের প্রতিটি স্টোর ইনভেনটরি ঘাটতির সমস্যায় ভুগছে। সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আসার পর তারাও বিপণীর খালি তাক পূরণে দ্রুত অর্ডার দিচ্ছে। গেল সেপ্টেম্বর থেকে রপ্তানি আয়ের তারই প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে।"
তিনি আরো বলেন, "বেশিরভাগ পশ্চিমা দেশ জীবন ও জীবিকা দুই-ই রক্ষা করতে চায়। এজন্য ওমিক্রন বিস্তার সত্বেও দোকানপাট খোলা রাখা হয়েছে।"
তৈরি পোশাক খাতের রপ্তানি প্রবৃদ্ধির বিষয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে বিজিএমইএ পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, রপ্তানি উপাত্ত আশাব্যঞ্জক দেখালেও চ্যালেঞ্জও বাড়ছে।
তিনি দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, "টেক্সটাইল, পণ্য পরিবহন ব্যয়, রং ও রাসায়নিকের খরচসহ কাঁচামালের দাম খুবই বেশি। মূল্যের উপর চাপ আছে, কারণ খরচ যে হারে বেড়েছে, সেভাবে দাম বাড়েনি।"