চলতি অর্থবছরে রপ্তানি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ১২.৪ শতাংশ: বাণিজ্য উপদেষ্টা
চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে রপ্তানির আয়ের প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ১২.৪০ শতাংশ ধরা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ।
তিনি বলেন, 'অবস্থার প্রেক্ষিতটা পরিবর্তন হয়েছে। এ কারণে এবার রপ্তানি আয় আগের থেকে কমবে না। বরং আগের থেকে বেশি হবে। আমেরিকাও সবদিক থেকে ইতিবাচক দৃষ্টি রাখবে।'
রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) ১৪৬তম বাংলাদেশ ফরেন ট্রেড ইনস্টিটিউটের ৫৯তম পরিচালনা পর্ষদ সভা শেষে তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এসব কথা বলেন।
রপ্তানি আয়ের ক্ষেত্রে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রক্ষেপণ কী—সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, 'আমরা রিয়েলাইজড করেছি, এটা (রপ্তানি প্রবৃদ্ধি) মোটামুটি ভালো হবে। অবস্থার প্রেক্ষিতটা চেঞ্জ হয়েছে, অতএব আগের থেকে কমবে না, আগের থেকে বেশি হবে।
চলতি অর্থবছরে রপ্তানি আয়ের প্রবৃদ্ধি কতো হতে পারে—সাংবাদিকেরা এমন প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, এবার রপ্তানি আয়ের প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছে ১২.৪ শতাংশ।
সালেহউদ্দিন আহমেদ আরও বলেন, 'রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা হবে যুক্তিসংগত। বিভিন্ন কম্পোনেন্ট আছে রপ্তানির, এগুলো দেখব। বিভিন্ন পণ্য আছে, ওগুলো দেখব। আর রপ্তানির ক্ষেত্রে যেসব বাধা আছে রেগুলেটরি, ট্যাক্স-সংক্রান্ত, সেগুলো আমরা রিভিউ করব। রপ্তানি যেন ডাইভারসিফাইড (বহুমুখীকরণ) করা হয়, সেটা আমাদের লক্ষ্য।'
আরেক প্রশ্নের উত্তরে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, 'রপ্তানি নিয়ে কিছু কিছু তথ্যগত ইস্যু ছিল। আমরা এগুলো নিয়ে আলাপ করেছি। যারা যারা তথ্য সংগ্রহ করে, আমরা সবগুলো চালু রাখব। আমরা সবগুলো সমন্বয় করে সত্য চিত্র দেব। এক একজন এক একরকম তথ্য দেবে, সেটা হবে না। কিছুটা পার্থক্য থাকে, এটা স্বীকার করতে হবে। বিরাট অসংগতি দূর করা হবে।'
এবার বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রে জিএসপি সুবিধা পাবে কি না—সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে এমন প্রশ্ন করা হলে সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, 'জিএসপি সুবিধার জন্য ইতিমধ্যে তাদের বলা হয়েছে। আমরা আবার চেষ্টা করব। আমরা আশা করি, আমেরিকা আমাদের প্রতি ইতিবাচক দৃষ্টি রাখবে সবদিক থেকে। অতএব জিএসপিটা পজিটিভ। আমরা অন্যদের সঙ্গে আলাপ করছি রপ্তানির বিষয়ে।'