বন্যার প্রভাবে ডিমের দাম ডজনপ্রতি ৫-১০ টাকা বাড়লো
বন্যার প্রভাবে দেশের অন্তত ১১ জেলায় পোলট্রি ও ডেইরি ফার্ম ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় সপ্তাহের ব্যবধানে ঢাকার বাজারে ডজনপ্রতি ডিমের দাম ৫-১০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে ১৬৫ টাকায় পৌঁছেছে। তবে কাঁচা শাক-সবজিসহ অন্যান্য পণ্য সরবরাহ ও দাম অনেকটাই স্বাভাবিক রয়েছে।
শুক্রবার (৩০ আগস্ট) সকালে রাজধানীর কারওয়ান বাজার, মগবাজার, কল্যাণপুর বাজার ঘুরে দেখা গেছে, এক সপ্তাহের ব্যবধানে ডিমের দাম ডজনে ১০ টাকার বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকায়। একই সময়ে প্রায় সব ধরনের সবজির দাম কেজিতে ৫-১০ টাকা কমেছে।
নিম্ন আয়ের মানুষেরা সাধারণত ডিম দিয়ে মেটান আমিষের চাহিদা। সেই ডিমের দামও আবার বাড়তে শুরু করেছে। ক্রেতারা বলছেন, এমনিতেই চাল, ডাল থেকে শুরু করে বাজারে বেশির ভাগ নিত্যপণ্য বাড়তি দরে কিনতে হচ্ছে। নতুন করে ডিমের দর বাড়ায় খরচ বাড়ছে ক্রেতাদের।
শুক্রবারে কথা হয় শিক্ষার্থী মোহম্মদ রাহাতের সঙ্গে। তিনি বলেন, "৪টা ডিম কিনেছি ৫৫ টাকা দিয়ে। এক ডজন ডিম কিনলে দাম ১৬০ টাকা রাখে। মাছের দাম বেশি, তাই ডিম সবজি বেশি খাওয়া হয়।"
কারওয়ান বাজারে ডিম বিক্রেতা মোহম্মদ লিটন বলেন, "ডিমের দাম একটু বেড়েছে, কারণ এখন বর্ষাকাল, ডিমের সাপ্লাই কম। মুরগিতেও এই সময় কম ডিম পাড়ে। এ ছাড়া বন্যার ও প্রভাব পড়েছে। সেখানে অনেক খামারি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।"
শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর থেকে প্রায় তিন সপ্তাহ ধরে সবজির বাজারে অনেকটা স্বস্তি রয়েছে। বন্যার মধ্যেও অনেক সবজির কেজি ৫০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহের চেয়ে কেজিতে আরও ৫ টাকা করে কমেছে।
মগবাজারের বিক্রেতা হাবিব বলেন, প্রতিটি সবজিতে কেজিতে ৫ টাকা কমেছে। ঢ্যাঁড়শ ৫০ টাকা, বেগুন ৫৫ টাকা, টমেটো ১৪০ টাকা কেজি।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গত সপ্তাহের চেয়ে কেজিতে ৫০ টাকা কমে ২২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে কাঁচামরিচ।
এদিকে, দেশি গত সপ্তাহের দামেই দেশি পেঁয়াজ কেজি ১২০ টাকা দরে ও আলু কেজিতে ৫৫ টাকা বিক্রি হচ্ছে। ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে ৫ টাকা কমে ১৬৫ টাকা বিক্রি হচ্ছে।
এক মাস আগে চালের যে চড়া দাম ছিল সেটা এখনও আছে। বাজারে মিনিকেট চাল ৭৫ থেকে ৭০ টাকা, পাইজাম ৬০ টাকা, মোটা চাল স্বর্ণা বিক্রি হচ্ছে ৫৮ টাকা।
কল্যাণপুরে কথা হয় মোহম্মদ রিপনের সঙ্গে। তিনি বলেন, "একবার দাম বেড়ে গেলে আর কমতে চায় না। নতুন সরকারের কাছে আমাদের অনুরোধ, চালের বাজারে যেন মনিটরিং করা হয়। এক কেজি চাল কিনতেই ৭০ টাকা চলে যায়। ভালো মানের চাল যেন অন্ততপক্ষে ৫০ টাকা কিনতে পারি, সে ব্যবস্থা যেন করে।"