নন-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঋণের সর্বোচ্চ সুদ হবে ১৩.১৮ শতাংশ
উচ্চ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে অ্যানতে কেন্দ্রীয় নীতি সুদহার (রেপো রেট) বাড়ানোর দিনতিনেক পরেই– ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঋণের সুদ হার শূন্য দশমিক ২৫ বেসিস পয়েন্ট বাড়িয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ফলে এসব প্রতিষ্ঠান গ্রাহক পর্যায়ে ঋণে সর্বোচ্চ সুদ নিতে পারবে ১৩.১৮ শতাংশ।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠানের আমানতে সুদহারও শূন্য দশমিক ২৫ বেসিস পয়েন্ট বাড়িয়েছে। অর্থাৎ প্রতিষ্ঠানগুলো গ্রাহকদের থেকে সর্বোচ্চ ১০.১৮ শতাংশ সুদে আমানত গ্রহণ করতে পারবে।
আজ বুধবার (২৯ নভেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের জারি করা এক প্রজ্ঞাপন সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যানুযায়ী, গত অক্টোবর মাসে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর গ্রাহক পর্যায়ে ঋণের সর্বোচ্চ সুদহার ছিল ১২.৭০ শতাংশ।
বুধবারের সার্কুলারে বাংলাদেশ ব্যাংক বলেছে, 'সিক্স মান্থ মুভিং এভারেজ রেট অব ট্রেজারি বিল বা স্মার্ট সুদহার এরসঙ্গে ঋণের ক্ষেত্রে যোগ হবে ৫.৭৫ শতাংশ। আর আমানতের ক্ষেত্রে যোগ হবে ২.৭৫ শতাংশ। বর্তমানে স্মার্ট রেট হচ্ছে ৭.৪৩ শতাংশ।
ব্যাংকাররা বলছেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংক মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ না আসা পর্যন্ত সংকোচনমূলক পদক্ষেপ অব্যাহত রাখবে। এক্ষেত্রে বাজারের তারল্য আরও আঁটসাঁট করতে সব ধরনের ঋণের সুদ হার বাড়াবে। সেই পদক্ষেপের ধারাবাহিকতায় ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঋণের সুদহার বাড়াচ্ছে।
এর আগে গত ২৬ নভেম্বর নীতি সুদহার (পলিসি) আরও ৫০ বেসিস পয়েন্ট বাড়িয়ে ৭ দশমিক ৭৫ শতাংশ করার সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে বাণিজ্যিক ব্যাংকের অর্থ ধারের খরচ বাড়বে এবং তাঁদের গ্রাহক পর্যায়ে ঋণের সুদও চড়া হবে। সংকোচনমূলক এ মুদ্রানীতি প্রয়োগের মাধ্যমে বাজারে অর্থ সরবরাহ কমিয়ে মূল্যস্ফীতি হ্রাসের লক্ষ্যই নীতি সুদহার বাড়ানো হয়।
সবশেষ নীতি সুদহার বাড়ানোর মধ্যে দিয়ে গত দুই মাসেরও কম সময়ে এটি ১২৫ পয়েন্ট বাড়ানো হয়েছে।
রেপো রেট হিসেবেও পরিচিত নীতি সুদহার। নির্ধারিত এই হারে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে অর্থ ধার দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক।