দেশের সর্ববৃহৎ তেলবাহী ট্যাংকার জাহাজ কেনার চুক্তি করেছে এমজেএল বাংলাদেশ

দক্ষিণ কোরিয়ার জাহাজ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান- ডিএইচ শিপবিল্ডিংয়ের সাথে তৃতীয় প্রজন্মের একটি তেলবাহী ট্যাংকার জাহাজ কেনার চুক্তি সই করেছে এমজেএল বাংলাদেশ। ৭৫ মিলিয়ন ডলার বা প্রায় ৮০০ কোটি টাকায় জাহাজটি কেনা হচ্ছে।
গত ২০ জুলাই উভয় প্রতিষ্ঠানের মধ্যে চুক্তিটি সই হয়। ২০২৬ সালের প্রথম প্রান্তিকে জাহাজটি প্রথম সাগরে ভাসানোর পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানান এমজেএল বাংলাদেশ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক আজম জে চৌধুরী।
তেলবাহী নতুন ট্যাংকারটি হবে এলএনজি- রেডি। মোট সক্ষমতা হবে ১ লাখ ১৫ হাজার ডেডওয়েট টন। এটিই হবে বাংলাদেশের পতাকাবাহী সবচেয়ে বড় জাহাজ।
দেশের সমুদ্রগামী জাহাজ মালিকদের সমিতি– বাংলাদেশ ওশেন গোয়িং শিপ ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের তথ্যমতে, বর্তমানে ৬০টির বেশি বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজ থাকলেও, তার কোনোটির সক্ষমতাই ১ লাখ ১৫ হাজার ডেডওয়েট টন নয়।
বর্তমানে ২০১৫ সালে নির্মিত একটি এলআর২ ট্যাংকার এবং তিনটি এলপিজি ক্যারিয়ার জাহাজ পরিচালনা করছে এমজেএল বাংলাদেশ।
সাম্প্রতিক ক্রয় উদ্যোগের আগে, তাদের বহরে জ্বালানি তেল পরিবহনের জন্য ১ লাখ ৭ হাজার ডেডওয়েট টন সক্ষমতার একটি জাহাজ ছিল। যদিও, তাদের কোনো জাহাজই একেবারে নতুন নয়।
আজম জে চৌধুরী জানান, সার্বিকভাবে দাম বাড়তে থাকায় এবং সেকেন্ডহ্যান্ড জাহাজ রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিচালন ব্যয় বৃদ্ধির কারণে নতুন জাহাজ ক্রয়ে বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
তিনি আরও বলেন যে, নতুন ট্যাংকারটি হবে আর্থিকভাবে লাভজনক। পরিচালন আয়ুষ্কাল ২৪ বছর হওয়ায়, দীর্ঘ মেয়াদে এটি পুরোনো জাহাজের চেয়ে উচ্চ পরিমাণে আয় করতে পারবে। সে তুলনায়, পুরোনো জাহাজের পরিচালন আয়ুষ্কাল এর অর্ধেক হয়, আর তা থেকে কোম্পানির রাজস্বও আসে কম।